কর্মশালায় বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
দ্রুত নগারায়নের ফলে স্বস্থ্যসেবার চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ কারণেই সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা আরও জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপিএইচই অডিটোরিয়ামে ‘নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচির’ অগ্রগতি ও মতবিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রোগ নিরাময় করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এমন বাস্তবতায় নগরাঞ্চলে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে সেফটিনেট বাংলাদেশ। শুধু মহানগরে নয়, সারা দেশেই রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
২০২০ সালে চালু হওয়া এই কর্মসূচি দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে জনস্বাস্থ্য সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। এ ছাড়া ১২টি সিটি করপোরেশনে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার প্রশংসাও করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্র এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সেফটিনেট বাংলাদেশ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডা. সৈয়দ হাসান আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ও ইউএসসিডিসি বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. নিলি।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও দেশের প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্যবিদ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএসসিডিসি সেফটিনেট গত চার বছরে কর্মসূচিটি শহুরে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার মতো অসংক্রামক রোগ এবং ডেঙ্গু ও হেপাটাইটিস বি-এর মতো সংক্রামক রোগগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করে জনস্বাস্থ্য প্রচারণা পরিচালনা করেছে। যা হাজার হাজার শহুরে বাসিন্দাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া কর্মসূচিটি Applied Epidemiology and Public Health Management Fellowship নামক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে, যা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এবং চিকিৎসা পেশাজীবীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাতে তারা জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।
পাশাপাশি ছয়টি প্রধান সিটি করপোরেশনে একটি সংক্রামক রোগ নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে, যা শহরগুলোর রোগ শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত করেছে।
মতবিনিময় সভায় অভিজ্ঞতার প্রতি আলোকপাত ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সালমান/