ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে ভারতে গেলেন জানেন না বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে ভারতে গেলেন জানেন না বিজিবি মহাপরিচালক
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর অনেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদ গণমাধ্যমে বের হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা কীভাবে ভারতে গেলেন, তা জানেন না বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। 

এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশ থেকে যারা পালিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে শুধুই কী বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে গেলেন তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তে পিঠ দেখাব না। সীমান্ত রক্ষার প্রশ্নে বিএসএফকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। ৫ আগস্টের পর বিজিবির প্রধান এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে অত্যন্ত খোলাখুলি কথা বলেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘৬ আগস্ট থেকে যে স্ক্রল দেখেছেন, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন। এই কাজ, নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেওয়ার যেসব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন, তাহলে কাজটা সহজ হয়।’

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছে। মাদক কারবারি বদিকে ধরার জন্য বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেল, তিনি ট্রলারে মায়ানমার পালিয়ে গেছেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হলেন সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে। এ রকম একদিকে যাওয়ার আওয়াজ দিয়ে অন্যদিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছে অনেকে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিএসএফ সদস্য একজন কৃষককে ধাওয়া করলে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। এই ক্ষেত্রে ওই বিএসএফ সদস্য ভুল স্বীকার করে তাহলে কিছু নিয়মনীতি আছে। সে কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করবে না মর্মে জানায়, তাহলে বিওপি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি আমি সিরিয়াসলি নিয়েছি। কারণ কিছুদিন আগে কুলাউড়ায় স্বর্ণা দাস, ঠাকুরগাঁওয়ে জয়ন্ত মারা গেছেন, যারা সাবালক নয়। তাহলে তাদের হত্যা করতে হবে কেন? তারা তো নিরস্ত্রও ছিল। ওই হত্যাকাণ্ড আমরা মেনে নিতে পারিনি।’ 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজিবিপ্রধান বলেন, ‘সীমান্তে যারা মাইনোরিটি আছে তারা চলে যেতে পারে। এই ধরনের অপপ্রচারণা অতিরঞ্জিতভাবে প্রচার করা হচ্ছিল। সে সময় বিএসএফ তাদের ক্যাম্পগুলোতে জনবল বাড়িয়েছে। তাদের অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের সেনাবাহিনী আসার কথা নয়। কিন্তু সে সময়ে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ির মুভমেন্ট পর্যন্ত দেখেছি, যেখানে তাদের আসার কথা না। হয়তো তারা শঙ্কায় ছিল যে বড় সংখ্যক একটা অংশ ভারতে যায় কি না। আমরা এটার লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ করেছি। পরে ডিজি পর্যায়ে বিএসএফের সঙ্গে যে মিটিং হবে, সেখানে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’ 

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যদি বিজিবির কোনো সদস্য অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
৬০ ঘণ্টা অবরোধের পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে অবরোধ করে রাখা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬০ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পর সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক শেষে আগামী রবিবার টিএনজেড কারখানার শ্রমিকদের প্রথম কিস্তিতে ছয় কোটি টাকা বেতন পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে আরও ১০ কোটি টাকা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট বকেয়া পরিশোধ করা হবে। মালিকপক্ষ সরকারকে এই টাকা পরিশোধ করবে। এই সিদ্ধান্তে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা।’

তা ছাড়া, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যেসব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেসব কারখানাও সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন গাজীপুর শিল্পাঞ্চল শান্ত।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, অবরোধ তুলে নেওয়ায় যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলও।

পলাশ প্রধান/মেহেদী/অমিয়/

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন একাডেমি ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
ছবি: সংগৃহিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ হওয়া ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বনভূমির এ বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


চিঠিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বন্দোবস্ত করা কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার বিএস-১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত বিএস ২৫০০১ নম্বর দাগের ‘পাহাড়’ শ্রেণির ৪০০ একর ও বিএস ২৫০১০ নম্বর দাগের ‘ছড়া’ শ্রেণির ৩০০ একর, মোট ৭০০ একর জমি রক্ষিত বনের গেজেটভুক্ত হওয়ায় এ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।


এর আগে গত ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে আধা সরকারি পত্র পাঠিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। উপদেষ্টার পাঠানো আধা সরকারি পত্রে বলা হয়েছে, বন্দোবস্ত করা এলাকা ১৯৩৫ সাল থেকে বন আইন ১৯২৭-এর ২৯ ধারার আওতায় রক্ষিত বন হিসেবে ঘোষিত। এই ২১৪৫ দশমিক শূন্য ২ একর ভূমির অংশে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং হাতি, বানর, বন্য শূকরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই বনভূমিতে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে এ চিঠি পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার আইজিপি বরাবর এই চিঠি পাঠানো হয়েছে৷

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসা অসংখ্য মামলার ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক গণহত্যার আসামিদের ফেরাতে শিগগিরই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি হবে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছে আওয়ামী লীগ। যা সরকার আমলে নিচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, আমরা এখনো দলের বিচারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করিনি। যদিও আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা যে তদন্তগুলো করছি, প্রত্যেকটি জায়গায় কিন্তু আওয়ামী লীগের যুক্ত থাকার বিষয়টি পাচ্ছি। যেমন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়-প্রেসিডিয়াম, যুবলীগ-ছাত্রলীগের যে কেন্দ্রীয় কমিটি আছে তাদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ আমরা ক্রমাগত পাচ্ছি।

অমিয়/

১১ নিত্যপণ্য আমদানি ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট গ্রহণে অনুমতি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট গ্রহণে অনুমতি
রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বৈদেশিক ঋণে নিত্যপণ্য আমদানির সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বৈদেশিক ঋণে নিত্যপণ্য আমদানির সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মোট ১১টি পণ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য ঋণ (বায়ার্স বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট) সুবিধা নিতে পারবেন আমদানিকারকরা। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর। 

বায়ার্স বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট হলো স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ। বায়ার্স ক্রেডিটের ক্ষেত্রে এদেশীয় আমদানিকারক তার ব্যাংকের সহায়তায় বিদেশি ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানি করার সুবিধা পায়। সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় সাধারণত বিদেশি পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বা রপ্তানিকারক নিজেই বাকিতে ক্রেতাকে পণ্য দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (১১ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, পবিত্র রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিত্যপণ্যের আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে বিক্রয় মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এ সুবিধার আওতায় আমদানি করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এর আগে ওই সব পণ্য আমদানিতে ব্যাংকগুলোকে শূন্য মার্জিনে বা নগদ পরিশোধ ছাড়াই ঋণপত্র স্থাপনের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার কথাও বলা হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লিখিত পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার প্রদান ও একক গ্রাহক ঋণসীমা তুলে দিতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘আগামী রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহে যেন কোনো সংকট না হয় সে জন্য আমদানি নীতিমালা সহজীকরণ করা হয়েছে। দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সংকট নেই। তাই আমদানিতে প্রয়োজনীয় ডলারের সংকট হবে না।

ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারে কর্মসংস্থান করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারে কর্মসংস্থান করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়তো চাকরির ব্যবস্থা হবে না কিন্তু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, তারা যাতে নিজেরাই আয় করতে পারেন সেই চেষ্টা করা হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এসডিএফ সদস্য পরিবারভুক্ত শহিদ এবং আহতদের পরিবারকে এসডিএফের পক্ষ থেকে অনুদান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসডিএফের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।

অনুষ্ঠানে নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে, গুরুতর আহতদের এক লাখ টাকা করে এবং ৩৩ জন আহতদেরকে ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধের ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিনিময়ে অর্জন হয়েছে এ বিজয। ১৯৭১ সালেও এভাবে আমরা সবাইকে অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। তাদের ঋণ সবসময় মনে রাখা হবে। 

তিনি বলেন, অর্থের সংস্থান করা খুবই কঠিন। তার পরও বিশ্ব ব্যাংক নেগোসিয়েট করেছে এসডিএফকে সহাতা করার। জন্য। সেই অর্থ যাতে যথাযথ ব্যবহার করি, যাতে খেয়ে না ফেলি, যাতে সবাই উপকার পাই।

সিডিএফ চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, জীবন বাজি রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতরা জীবন বাজি রেখে মুক্তির সংগ্রামের ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এসডিএফ।

জাহাঙ্গীর আলম/অমিয়/