ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম
সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
দেশের ডিমের চাহিদা পূরণে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ছবি: খবরের কাগজ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার৷ 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়৷

প্রাথমিকভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ এক কোটি পিস করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়৷

এর মধ্যে মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে এক কোটি পিস, মের্সাস সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে এক কোটি পিস, মের্সাস প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং মের্সাস জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন/অমিয়/

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
পুরোনো ছবি

আগামী শনিবার (৭ জুন) উদযাপিত হতে যাওয়া পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম ও শেষ জামাত পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

তা ছাড়া, ঢাকা শহরের প্রসিদ্ধ মসজিদগুলোর ঈদ জামাত ও বৃহত্তর জেলাগুলোর প্রধান জামাতের সময়সূচি ঈদের আগের দিন শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো হবে।

ঈদে বৃষ্টির আশঙ্কা কম, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
ঈদে বৃষ্টির আশঙ্কা কম, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঈদের দিন এবং ঈদ-পরবর্তী বৃষ্টির আশঙ্কা কম। এ সময়ে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা বেড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের অধিকাংশ স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বৃষ্টির আশঙ্কা কম হলেও এ সময় সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাস থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ের পরবর্তী ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার (৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। 

বন্যার অবনতি হতে পারে সিলেটে
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র মঙ্গলবার জানায়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এসব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সারিগোয়াইন, যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী, ধলাই নদীসমূহের পানি কমতে পারে। এই সময়ে সিলেট জেলার প্রধান নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। 

জানা গেছে, সিলেটে গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও ভারতের পাহাড়ি ঢল থামেনি।  ফলে সিলেট জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণের ফলে দ্রুত বাড়ছে কুশিয়ারার পানি। কুশিয়ারা বয়ে গেছে সিলেটের জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা দিয়ে। এই তিন উপজেলা ইতোমধ্যে পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এলাকার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এই দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভারতের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারার বাঁধে আরও ভাঙন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সুরমা, কুশিয়ারা নদী ছাড়াও সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী সারি, সারিগোয়াইন, ডাউকি, ধলাই ও লোভা নদীতে পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট,  কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ উদ্বেগের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার বেলা ৩টায় কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জ উপজেলার আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি  কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার ও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য সিলেটের কয়েকটি উপজেলার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন।’

 

এমনভাবে আইন সংস্কার করতে চাই যাতে ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয় : আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২০ পিএম
এমনভাবে আইন সংস্কার করতে চাই যাতে ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয় : আইন উপদেষ্টা
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আইনের এমন সংস্কার করতে সরকার কাজ করছে, যেন আরেকটি ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা আছে এটা করার, আমরা তাদের (স্বৈরশাসকদের) জন্য আইন যতটা সম্ভব কঠিন করে যেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা আইন করতে গেলে বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। সংসদে অনেকবার রিভিউ হয়, বারবার খসড়া হয়। তবু আমরা দ্রুত এ কাজগুলো করছি কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণত জনকল্যাণমুখী আইন করার ব্যাপারে আগ্রহ থাকে না।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই করার চেষ্টা করছি। কাজ করছি। তবু দেখা যাচ্ছে অনেকেই বলছেন কোথায় সংস্কার? আবার বলেন এত দ্রুততা কেন? যারা সমালোচনা করেন তাদের মানসিকতারও একটু সংস্কার প্রয়োজন। এমন অনেক কাজও আমরা করেছি, যা এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। কিছুদিন আগে প্রণীত সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশোধনের প্রশংসা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আমরা এটার জন্য অনেক গভীরে গিয়ে কাজ করেছি। আমাদের এই সংস্কার কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।’

আগের সময়ের তুলনায় এখন সরকারের বিপক্ষে সমালোচনার অবারিত স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটিও আমাদের একটা বড় সংস্কার বলে আমরা মনে করছি।’

মামলার জট কমাতে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল সার্ভিস অ্যাক্টের ভেতর বড় একটা পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা করছি। এ ক্ষেত্রে পেটি অফেন্স, আপসযোগ্য মামলা, পারিবারিক মামলা, এনআই অ্যাক্টের মামলার ক্ষেত্রে অবশ্যই লিগ্যাল এইডে যেতে হবে, আগে কোর্টে আসা যাবে না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইজিপি বাহারুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওমর ফারুক ফারুকী, মো. ইকবাল হোসেন ও মো. বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন প্রমুখ।

আইজিপি বাহারুল আলম আইন উপদেষ্টাকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনা আগেও হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ থেকে কাউকে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। এ ধরনের আলোচনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে এটিই প্রথম।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খসড়ায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির মেডিকেল এক্সামিনেশন কথার উল্লেখ থাকলেও কারা এই মেডিকেল এক্সামিনেশন করতে পারবেন তার উল্লেখ নেই, এটি থাকলে ভালো হতো।’

ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খসড়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের শাস্তি দেওয়ার আওতা বৃদ্ধি করা একটি সময়োপযোগী ব্যাপার। তবে তা করা হলে বর্ধিত আওতার বিচারিক প্রক্রিয়াকে সঞ্চালনা করতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। সেই সঙ্গে ‘পুলিশ’ ও ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’কে একইভাবে সংজ্ঞায়িত না করে আলাদা আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করলে বিভিন্ন বিভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।’

খসড়া অনুযায়ী বেত্রাঘাতের বিধানকে বাতিল করার চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘এখানে যেসব চেঞ্জ (সংশোধন) নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে করা গেলে আমি মনে করি, ২৫ বছর ধরে যে পরিবর্তনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, সেটা আমরা পেয়ে যাব।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ অ্যাক্ট, প্রিজন্স অ্যাক্ট, প্রিজনার্স অ্যাক্ট এবং জেল কোড ইত্যাদির ভেতর থেকে ঔপনিবেশিকতা বাদ দিতে হবে।’

বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্লি বারগেইনিং প্রণয়নের যৌক্তিকতা, শাস্তি ঘোষণা হওয়ার আগে কনডেম সেলে প্রেরণ না করা, আটক বা গ্রেপ্তারে শুধু ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, আটক বা গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে থানা ব্যতীত কোথাও নেওয়ার অনুমতি না দেওয়া, মামলাজট থেকে রেহাই পেতে আপসযোগ্য অপরাধের আওতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ের ওপর মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে আরও গভীর আলোচনা সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সীমান্তে পুশইন বন্ধে দিল্লিকে আবারও চিঠি দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
সীমান্তে পুশইন বন্ধে দিল্লিকে আবারও চিঠি দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মানুষকে ঠেলে পাঠানো (পুশইন) অব্যাহত রেখেছে ভারত। এটি বন্ধে ভারত সরকারকে আজ বা আগামীকাল (বুধবার) আরেকটি চিঠি দেবে বাংলাদেশ। এছাড়া এই সমস্যা সমাধানে কনস্যুলার পদ্ধতির (কনস্যুলার ডায়লগ) আওতায় ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চায় ঢাকা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পুশইন ঠেকানো সম্ভব নয় স্বীকার করে তৌহিদ হোসেন বলেন, পুশইন হচ্ছে, ফিজিক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা বলেছি, এটা যেন সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী হয়। তারা কিছু ক্ষেত্রে বলেছে, এক্ষেত্রে কিছু জট আছে, তোমরা সেগুলো ঠিকমতো করছ না।  আমরা চেক করে দেখেছি, দীর্ঘদিন আগের তালিকা (ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি) আছে একটা এবং আমরা পাশাপাশি এটাও দেখেছি যে, আসলে তাদের তালিকা অনুযায়ী আমরা চেকআপ করে অনেককে নিয়েছি।

উপদেষ্টা বলেন, কাজেই দুপক্ষেরই বক্তব্য থাকতে পারে এখানে। আমরা চেষ্টা করছি, কনস্যুলার ইস্যু নিয়ে একটা মেকানিজম আছে, সেটাকে ব্যবহার করে এ জিনিসটাকে একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার। আমরা চাইলে নিয়মিত পদ্ধতিতে জিনিসটি হতে পারে। নিয়মের বাইরে যেন না যায়।

কনস্যুলার ডায়ালগে বসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা চিঠি পাঠাব। যেটাতে আমরা কিছু পদ্ধতির কথা আরেকবার উল্লেখ করব এবং আমাদের যে পদ্ধতি আছে, কনস্যুালার আলাপ-আলোচনার, সেটাও আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করব। কনস্যুলার ডায়াগল হতে পারে। যেহেতু এখন একটা ইস্যু আছে। এটাও হতে পারে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাস করছিলেন। আর বাংলাদেশ সরকার বলছে, এভাবে পুশইন ঠিক নয়। যদি কোনো অবৈধ বাংলাদেশি ভারতে থেকে থাকে সেটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যেন ফেরত দেওয়া হয়।

সরকারের সংশ্লিষ্টদের তথ্য বলছে, ভারত থেকে পুশ ইন বন্ধে এখন অবধি পাঁচটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এখন আরেকটি চিঠি যাবে দিল্লিতে।

পুশইন করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় ভারত: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
পুশইন করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় ভারত: কাদের গনি চৌধুরী
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ভারত ‘পুশইন’ কৌশল বেছে নিয়েছে। বাংলাভাষী ও রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক পুশইন করে ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তিনি বলেন, জোরপূর্বক এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঠেলে দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত অবৈধ পুশইন বন্ধ এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী করিডোর প্রদান বন্ধের দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

বিচারপতি আবদুস সালাম মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এটিএম জিয়াউল হাসান, কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এম শাহজান সাজু, ড. নাসির আহমেদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোস্তফা আল ইযায।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন বহির্ভূতভাবে বাংলাদেশে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়- জানিয়ে বাংলাদেশ চিঠি দিলেও, মোটেই তা আমলে নিচ্ছে না ভারত সরকার। এ ছাড়া বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও চোরাপথে বা বিজিবির অগোচরে পুশইনের ঘটনা বেড়ে চলছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাঁধাতে চায়।

তিনি বলেন, শুধু পুশইন নয়, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। সেখানে হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেটি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা অগ্রহণযোগ্য। 

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ভারতের আচরণ বরাবরই আক্রমণাত্মক। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিয়মিত বাংলাদেশের মানুষকে গুলি করে বা নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। আপনাদের নিশ্চয় ফেলানির কথা মনে আছে। বাংলাদেশি এই মেয়েটাকে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন শুরু হয়েছে সীমান্ত দিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পুশইন করা। এছাড়াও তারা বাংলাদেশের মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, একটি দেশের কোনো নাগরিক আরেকটি দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে তাকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইনকানুন, রীতি-নীতি অনুসরণ করে ফেরত পাঠাতে হয়। কিন্তু কোনো ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভারত এক প্রকার গায়ের জোরে, এই মানুষগুলোকে বাংলাদেশে পুশইন করছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির পরিপন্থি। এখনো সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে পুশইনের জন্য অসংখ্য মানুষকে জড়ো করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে বিএনপি সরকারকে বিরত করতে ২০০২-০৩ সালের দিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে প্রায়ই এ ধরনের পুশইনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর ভারতের সেবাদাস হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকাংশে পুশইন বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি আবারও ভারত কর্তৃক পুশইন করা শুরু হলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পুশইনের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও অপরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে ভারতের অনুগত সরকারের পতনের পর, ভারত নানাভাবে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পুশইন সেই পদক্ষেপেরই অংশ। আদালতের রায় ছাড়া কাউকে ঠেলে পাঠানো বেআইনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে ভারত। উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে হামলাও হয়। এটি ভারতের অতি বাড়াবাড়ি। বাংলাদেশের জনগণ কি এত দুর্বল? মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশ, যে জাতি ৩০ লাখ শহিদের বিনিময়ে স্বাধীনতা আর দেড় হাজার শিশু-কিশোরের রক্তের বিনিময়ে মাত্র কদিন আগেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল, সে জাতিকে দুর্বল করে দেখা ঠিক না। ভারত যদি মনে করে তাদের দেশে অবৈধভাবে কোনো বাংলাদেশি বসবাস করছে, তাহলে সেই মানুষকে চিহ্নিত করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আইনসম্মত যে প্রক্রিয়া আছে, তা অনুসরণ করে দুই দেশের সম্মতিতে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পারে। আমাদের সম্মতি না নিয়ে যে কাউকে পুশইন করে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের গায়েবি অভিযোগ তুলে ভারতের বাড়াবাড়িও চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছে প্রতিবেশীরা। ক্ষমতার পালাবদলের পর এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চলছে বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। তারা নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশে তালেবান সরকারের উত্থানের মতো সব অযৌক্তিক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, উসকে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতাকে। প্রতিবেশীদের মূল লক্ষ্য হলো-বিশ্বে বাংলাদেশকে নেতিবাচক রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ধরনের আলোচনা হচ্ছে তা অত্যন্ত পরিকল্পিত। এটি দুদেশের কারো জন্য সুখকর হবে না।

ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের আহবানের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ ধরনের চিন্তা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি। আমরা মনে করি, এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে ভারতের যে দৃষ্টিভঙ্গি-তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। এ ধরনের কোনো চিন্তাও তাদের মধ্যে থাকা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে এ দেশের মানুষ যেকোনো মূল্যে এই ধরনের চক্রান্তকে রুখে দাঁড়াবে।

মানবিক করিডোর দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলবে।

বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোস করা চলবে না। তিনি বলেন, পুশইনের জবাব হচ্ছে পুশব্যাক। ভারতকে আমরা যেভাবে জবাব দেওয়া দরকার সেটি পারছি না। একইভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছি না।

প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া বলেন, আইন বহির্ভূতভাবে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।