ঢাকা ২৪ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম
সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
দেশের ডিমের চাহিদা পূরণে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ছবি: খবরের কাগজ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার৷ 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়৷

প্রাথমিকভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ এক কোটি পিস করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়৷

এর মধ্যে মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে এক কোটি পিস, মের্সাস সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে এক কোটি পিস, মের্সাস প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং মের্সাস জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন/অমিয়/

এলএনজি আমদানি দেশের জন্য আর্থিক বোঝা: আনু মুহাম্মদ

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
এলএনজি আমদানি দেশের জন্য আর্থিক বোঝা: আনু মুহাম্মদ
জাতীয় প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি এবং এলএনজির আমদানি দেশের জন্য আর্থিক বোঝা এবং প্রাণ-প্রকৃতির বিনাশের সঙ্গে জড়িত।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মার্কেট ফোর্সেস এবং ফসিল ফ্রি চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্পের ব্যয় ও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি হয়।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বিগত সরকার যে এনার্জি পরিকল্পনা তৈরি করেছে তা অনিবার্য ছিল না। এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রযুক্তিগত বিকাশ দামে সস্তা। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিগত সরকারের এই জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। নীতিগত জায়গা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে এই মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। পিএসসিসহ অন্যান্য সব নীতির পরিবর্তন না হলে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। এজন্য বাংলাদেশি পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করতে হবে আর বিদেশিদের দিয়ে প্রস্তুত সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ধরার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদাদের সভাপতিত্বে এবং ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া অ্যানার্জি অ্যানালিস্ট মুনিরা চৌধুরী। 

মার্কেট ফোর্সেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনালগুলির জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলোর কারণে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে, একই সাথে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ খরচের চাপে রয়েছে এবং ব্যয়বহুল আমদানি করা এলএনজির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নতুন বিশ্লেষণে আরও প্রকাশিত হয়েছে যে, যখন দেশটি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বিদ্যুতের চাহিদার সংকটে রয়েছে, এলএনজির ওপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের এ বিনিয়োগের পরিবর্তে বাংলাদেশ ৬২ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ।

ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই গ্যাস ও এলএনজি প্রকল্পগুলো আমাদের জনগণের সম্পদ দখল করে গড়ে উঠেছে। 

মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক এবং প্রতিবেদনটির লেখক মুনিরা চৌধুরী বলেছেন, অন্যায্যভাবে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে দূষণকারী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে নির্ভরশীল করার চেষ্টা করছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক এবং ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, জাইকা এবং আইইইজে কর্তৃক প্রণীত ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) অবশ্যই সংশোধন করা উচিত, কারণ এটি বাংলাদেশকে এলএনজির ওপর নির্ভরশীল করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক মুনিরা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানি টার্মিনাল এবং ৪১টি নতুন এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ। যার সম্মিলিত ক্ষমতা দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন বহরের চেয়ে বেশি।’

তিথি/এমএ/

রাজধানীর হোটেল কক্ষ থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
রাজধানীর হোটেল কক্ষ থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মিরপুরের রোজ হ্যাভেন রেসিডেন্সিয়াল হোটেলের একটি কক্ষ থেকে আকবর আলী মন্ডল (৩৮) নামে এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। 

নিহতের বন্ধু ফারজু মন্ডল জানান, আমরা ৬ বন্ধু মিলে ভারত থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য আসি। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় মিরপুর-১০ নম্বরের রোজ হেভেন রেসিডেন্সিয়াল হোটেলে আমরা সবাই ওই হোটেলে উঠি। হঠাৎ রাতে ঘুমের মধ্যে আকবর আলী চিৎকার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে আমরা তাকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে মিরপুর-২ নাম্বার হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের বাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা ডোমকল থানার কাটা কোপরা এলাকার মো. আমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, শনিবার ভোর ৪টার দিকে ভারতীয় এক নাগরিকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

আল-আমীন/এমএ/

আ.লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
আ.লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে দেশে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ বা প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা সমাবেশ, জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।

অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা বরদাশত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শফিকুল আলম।

ফেসবুক পোস্টে তার বক্তব্যের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এত বড় গণহত্যা চালানোর পরও দলটির মধ্যে কোনো ধরনের অনুশোচনা নেই। 

এই গণহত্যাকারী দলটি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে তাদের মোকাবিলা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: বাসস

অমিয়/

‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা পরিকল্পনার বাইরে’

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা পরিকল্পনার বাইরে’
বিআইপির সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির সেমিনার কনফারেন্স হলে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা এখনো স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রয়েছে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপির) এক গবেষণায়।
 
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির সেমিনার কনফারেন্স হলে ‘সমগ্র দেশের পরিকল্পনা করি, বৈষম্যহীন সুষম বাংলাদেশ গড়ি’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।
 
বিআইপির সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, থাইল্যান্ডের অ্যাশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইমিরেটাস অধ্যাপক এ টি এম নুরুল আমিন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইপির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। 

সেমিনারে সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা এখনো স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা দুর্যোগপূর্ণ। এই বিশাল এলাকা এখনো পরিকল্পনার বাইরে থাকার মূল কারণ হল, আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর দুর্বলতা। শহর ও গ্রামীণ পরিকল্পনার মধ্যেও বিস্তর ব্যবধান রয়ে গেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পল্লী উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেখা যায়, ২০ বছর আগে অ্যাজেন্ডা নেওয়া হয়, এরপর ওই এলাকাটি যখন পুরান ঢাকার মতো হয়ে যায় তখন তারা এলাকাটিকে পৌরসভা বানাতে চান। স্থানিক পরিকল্পনায় রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রশাসনের পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। এটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ডিটেইল অ্যারিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) নিয়ে রাজউক এখন অনেক চাপে আছে। বিগত দিনে ড্যাপে বিশেষ কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসে বলেছেন, সংশোধিত ড্যাপ প্ল্যান বাদ দেন, ২০০৮ সালের আগে ফিরে যান। এ ছাড়া ড্যাপ অ্যারিয়াতে যাদের জমি পড়েছে, তারা এখন জমি ছাড়তে নারাজ।’ 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজধানীর পূর্বাচলে আবাসন অবকাঠামোর অনেক কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আইনি দিকটি সমাধান হলে পূর্বাচলের পাশাপাশি উত্তরা, ঝিলমিলে রাজউকের প্রকল্প এলাকায় ৫০ লাখ নাগরিককে আবাসন সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
 
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ড্যাপ বাস্তবায়নের পথে নগরীর চারটি নদী পাড়ের এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব দেবে রাজউক। নদী পাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে নগরের মধ্যভাগে জনঘনত্ব কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ড্যাপের খসড়ায়।’ 

রাজউক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে নগরীর জলাভূমি সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে করে বলেন, ‘জলাভূমি দখল করে কেউ পার পাবেন না।’ 

তুরাগের ওপাড়ে যারা বালু তুলে জলাভূমি ভরাট করছে তাদের হুশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে রাজউক সেই বালু তুলে বিক্রি করে দেবে।’

জয়ন্ত/পপি/

আইসিএসসির সদস্য হলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
আইসিএসসির সদস্য হলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত

আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য বাংলাদেশ, চীন ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে ২.০ নির্বাচিত করেছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে। আর এটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।’

তিনি ২০২৫ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য আইসিএসসির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আইসিএসসি হলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।

এটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য বাধ্যতামূলক প্রধান সংস্থা।

পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি বর্তমানে ইউএনজিএর দ্বিতীয় কমিটি (অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটি) চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালে জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান, ২০২৩ সালে ইউএন পিসবিল্ডিং কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে যথাক্রমে ইউএন-ওমেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

বাসস/অমিয়/