ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : খবরের কাগজ

এবারের দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পূজায় সবসময়ের মতো পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি এবার র‌্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে পূজার আয়োজন নিয়ে কোনো ধরনের অসুবিধার আশঙ্কা নেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পূজা উৎসবেই নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে, এবারও করবে। তবে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপন করতে পারব।’

বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছি। সিন্ডিকেট থাকলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা ভেঙে দেবে। জনগণের স্বস্তির জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজবের ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাজীপুরে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তা সঠিকভাবে তুলে ধরুন। এতে জনসচেতনতা বাড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। মব কালচার আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা তা রোধ করতে পারে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, বারি মহাপরিচালক ড. আব্দুল্লাহ ইউসুফ আকন্দ, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরিফীন এবং পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।

পলাশ প্রধান/সালমান/ 

সংবিধান সংশোধন ও দ্বিকক্ষ সংসদ ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১০:২৩ এএম
সংবিধান সংশোধন ও দ্বিকক্ষ সংসদ ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বারবার আলোচনার পরও সংবিধান সংশোধন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে ঐকমত্য কমিশনকে। আগামী রবিবার এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সংধিবানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। তবে গণভোট ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় হাত দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠায় নেতারা একমত হতে না পারায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কমিশনের ওপরই দিয়েছেন। এ বিষয়ে রবিবার সিদ্ধান্ত দেবে ঐকমত্য কমিশন। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতেও দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।

রাষ্ট্র সংস্কারের অমীমাংসিত মৌলিক ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ১৪তম দিনের আলোচনা শেষে এসব তথ্য জানান তিনি।

কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ আমন্ত্রিত ২৮টি রাজনৈতিক দল ও ২টি জোটের প্রতিনিধিরা। আগে আংশিক ঐকমত্য হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামো এবং সোমবার আলোচিত সংসদে নারী আসন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়ে আগামী রবিবার সিদ্ধান্ত দেবে ঐকমত্য কমিশন। সেটা আসার পর আমরা সম্মতি বা অসম্মতির বিষয়ে জানাতে পারব। আর দেশের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে একেক জন একেক প্রস্তাব দিচ্ছেন। কেউ চান পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি। এখানে আবার পাওয়ার ফাংশনের বিষয় আছে। সাধারণ বিল কীভাবে পাস হবে, সংবিধান সংশোধন হলে উচ্চকক্ষে কীভাবে পাস হবে- এমন নানা কথা বলা হচ্ছে। তিন দিন আলোচনা করেও এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা যায়নি। তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ভবিষ্যতে কেউ যেন হাত দিতে না পারে, সে জন্য সংবিধানে শক্তিশালী সংশোধনী এনে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থা কোনো বড় একটি দলের বিরোধিতায় আটকে গেলে তা হবে অবিচার। এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। 

তিনি বলেন, এনসিপি, চরমোনাই পীর, সব ইসলামী দল, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ দলই পিআর নির্বাচনব্যবস্থার পক্ষে। আমাদের কোনো এক জায়গাতে একটা সমাধানে আসতে হবে। 

সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠিত না হলে অথবা গঠিত হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থন প্রয়োজন হবে। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ, যেমন- প্রস্তাবনা, অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা (অনুচ্ছেদ ৫৮ক, ৫৮খ এবং ৫৮ঙ) সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে। কমিশন আশা করছে, আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কীভাবে নিযুক্ত হবেন, সে বিষয়ে একটি সমাধান আসবে। 

নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সাংবিধানিক মর্যাদার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণআন্দোলনে, বিশেষ করে গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের অনবদ্য ভূমিকার কথা স্মরণ করে তাদের সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।

গত ৩ জুন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ পর্যন্ত ১৩টি বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফা আলোচনায় এ পর্যন্ত ৮টি বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সম্পর্কিত বিধান, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ, উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা। দ্বিতীয় দফা বৈঠকে এ পর্যায়ে আরও বেশ কিছু ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে আংশিক ঐকমত্য হয়েছে। এখনো ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয় অমীমাংসিত। কয়েকটি মৌলিক ইস্যু এখনো আলোচনায় আসেনি। 

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গতকালের বৈঠকের পর এসব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার কমিশন নিজেরা আলোচনা করবে। এরপর দুই দিন বিরতির পর দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের বৈঠক বসবে আগামী রবিবার।

শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন বৈষম্যহীন নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার: ড. ইউনূস

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৩ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম
শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন বৈষম্যহীন নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

‘জুলাই শহিদ দিবস’ আজ ১৬ জুলাই। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে আজ। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘জুলাই শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার।’

দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এ দিনটিকে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বলেছেন, জুলাই শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশের পথে দৃপ্ত পদভারে একযোগে সবাই এগিয়ে যাব- আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহিদ দিবস’। এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ও সন্ত্রাসীদের হামলায় এই দিনে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় অন্তত ছয়জন শহিদ হন। ক্ষণজন্মা অকুতোভয় এই বীরদের আত্মদান আন্দোলনে তীব্র গতির সঞ্চার করে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নেমে আসে লাখো শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতা। আন্দোলনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শহিদদের সংখ্যা। বৈষম্য ও কোটাবিরোধী আন্দোলন অচিরেই রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। সর্বস্তরের মানুষের দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে হয় মুক্তির নতুন সূর্যোদয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের জুলাই শহিদরা চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে এক মহাকাব্যিক বীরত্বগাথা রচনা করে গেছেন। শহিদ ও আহত জুলাইযোদ্ধাদের অবদানকে সমুন্নত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরেই তাদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ এবং ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে। জুলাই শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও গেজেট প্রকাশের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে ও মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আহত জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণেও অনুরূপ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।”

জুলাই শহিদ দিবস আজ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৩ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৫ এএম
জুলাই শহিদ দিবস আজ
প্রতীকী ছবি

‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।

এ উপলক্ষে আজ বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

শহিদদের মাগফিরাতের জন্য আজ সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। 

এরই মধ্যে এ দিনটিকে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন
ছবি: সংগৃহীত

আর্মড ফোর্সেস ওয়্যার কোর্সের (এএফডব্লিউসি) প্রশিক্ষণার্থী অফিসারগণ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন।

রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসস্থ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) চলমান এএফডব্লিউসি-২০২৫ প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীগণের জন্য এ পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।

এনডিসির চিফ ইনস্ট্রাক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদলের নেতৃত্ব দেন।

ছবি: সংগৃহীত

পরিদর্শনকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পরে অতিরিক্ত আইজিপি (ডেভেলপমেন্ট) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরীর সভাপতিত্বে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মিশন, ভিশন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বীরোচিত অবদান ইত্যাদি সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

পরে প্রশিক্ষণার্থী অফিসারগণ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়ে সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রশিক্ষণার্থীগণকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে আইজিপিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি (ডেভেলপমেন্ট) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, দেশের যেকোনো সংকটকালে সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করে থাকে। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিদর্শন কার্যক্রমের ফলে সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে বিরাজমান পেশাগত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে।

প্রশিক্ষণার্থী দলে ৫৩ জন অফিসার ছিলেন।

ইসির ৫১ কর্মকর্তাকে একসঙ্গে বদলি

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
ইসির ৫১ কর্মকর্তাকে একসঙ্গে বদলি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এবার একযোগে ৫১ জন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমানের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, ‘পল্লবী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রাজিয়া সুলতানা, ডেমরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব এবং কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদ হোসেনকে বদলি করা হলেও তাদের অংশটুকু সংশোধন করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বদলি করা কর্মকর্তারা আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় ২৩ জুলাই তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন’।

মেহেদী/