ঢাকা ২৪ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

রিক্রুটিং লাইসেন্স শ্রেণিবিন্যাস আইনের প্রতিবাদে বায়রার মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
রিক্রুটিং লাইসেন্স শ্রেণিবিন্যাস আইনের প্রতিবাদে বায়রার মানববন্ধন
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে বায়রার মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

রিক্রুটিং লাইসেন্স শ্রেণিবিন্যাস আইন নতুন করে বাস্তবায়নের চেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রিক্রুটিং লাইসেন্স শ্রেণিবিন্যাস বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থী। আমাদের দাবি, সবাই সমান সুযোগ পাবে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে দেশকে বৈষম্যমুক্ত করার জন্য এ সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই এ সরকারের মাধ্যমে কোন বৈষম্য হোক তা আমরা চাই না। এ ধরনের বৈষম্য কোনভাবেই বাস্তবায়ন করা যাবে না।

তারা বলেন, দেশের সকল রিক্রুটিং এজেন্সি দেশের প্রচলিত আইনে, সরকার নির্ধারিত জামানত দিয়ে সমঅধিকারের ভিত্তিতে লাইসেন্স পেয়েছে। লাইসেন্সের শ্রেণিবিন্যাসের মূল ভিত্তি হিসেবে অধিকসংখ্যক কর্মী প্রেরণকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু সৌদি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে সীমিত সংখ্যক এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ করে দেওয়ায় অধিকাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

বক্তারা এ সেক্টরকে বৈষম্যহীনভাবে পরিচালিত করার জন্য রিক্রুটিং লাইসেন্সের অনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস বন্ধ করে ব্যবসার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বায়রার যুগ্ম মহাসচিব টিপু সুলতান, বায়রার সাবেক মহাসচিব কাজী মফিজুর রহমান, বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল, বায়রার ইসি সদস্য আরিফুর রহমান, বায়রার অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম, বায়রা কল্যাণ পরিষদের সদস্য লিমা আক্তার, মেজবাউদ্দিন, শান্তদেব সাহা, ফাতেমা বেগম প্রমুখ।

টিপু সুলতান বলেন, ‘আজকে বৈষম্যবিরোধী সরকার যেখানে রয়েছে সেখানে বায়রাতে কেন বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে? ২০১৩ সালে এই শ্রেণিবিন্যাসের আইন করেছিল তৎকালীন সরকার। সেই সময় আমাদের তীব্র আন্দোলনের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। শতশত ছাত্র জনতা রক্ত দিয়েছে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য। আজকে এ বৈষম্যমূলক আইন বাস্তবায়ন করতে চাইছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা বন্ধ করতে হবে, না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

বায়রার সাবেক মহাসচিব কাজী মফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৮০ সাল থেকে ব্যবসা করছি, শ্রেণিবিন্যাস কী বুঝতে পারিনি। ওনারা আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন, আমাদের চেকলিস্ট দিয়েছেন, ওনারা মার্কিং করে আমাদের শ্রেণিবিন্যাস করবেন। আমি মনে করি এটা কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়, সম্ভবও নয়। যেহেতু স্বৈরাচারী সরকার এটা করতে পারেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এ সরকারও তা পারবে না। এ অপকৌশল থেকে সরকার বিরত থাকবে এটাই আমার প্রত্যাশা। 

বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার বলেন, ‘এই কালো আইন রহিত করা হোক। সবাই যাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে পারে সেজন্য সরকারকে সুযোগ করে দিতে হবে। ’

বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, ‘এই আইন নতুন করে করা হয়নি, ২০১২/১৩ সালে করা হয়েছে। খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকার সময়। ওই মানবপাচার আইনের কিছু ধারা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এটি সংস্কারের সরকার। সরকারের কতিপয় দুষ্ট প্রকৃতির লোক তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এটা হলে আমাদের মধ্যে বিভাজন হবে, সংঘাত সৃষ্টি হবে। এটা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

বায়রার ইসি সদস্য আরিফুর রহমান বলেন,‘আমাদের মূল দাবি হচ্ছে লাইসেন্সে যে শ্রেণিবিন্যাস, এ বি সি ডি ক্যটাগরি তৈরি করা হচ্ছে তা আমরা চাই না। এতে এখানে বৈষম্য তৈরি হবে।’

বায়রার অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন,‘বিগত সরকার ২০১৩ সালের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ এর ৪৮ নস্বর আইনের ধারা ১৬/১,২,৩ এ রিক্রুটিং এজেন্টের শ্রেণিবিন্যাস করে চরম বৈষম্যের সৃষ্টি করে। কিন্তু ওই ধারা প্রণয়নে প্রধান স্টেকহোল্ডার রিক্রুটিং এজেন্সি তথা বায়রার সদস্যদের সঙ্গে কোন আলোচনা করেনি। আমাদের আন্দোলনের কারণে বিগত ১২ বছরে এ কালো আইন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আজকে নতুন করে তা করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’

ফাতেমা আক্তার লিমা বলেন,‘আমরা শ্রেণিবিন্যাস চাই না। শ্রেণিবিন্যাস হলে এ সেক্টরের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। লাইসেন্সের মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লাখ লাখ লোক বিদেশে কাজ করে রেমিট্যান্স পাঠায়, আমরা নিজেরা এর কারিগর। আমরা সবাই সমঅধিকারের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই।’

মেজবাউদ্দিন বলেন, পুরানো সমস্যাগুলো সমাধান না করে তারা নতুন নতুন সমস্যা তৈরির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শ্রমবাজারকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। যে শ্রমবাজারগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো খোলার বিষয়ে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

শান্তদেব সাহা বলেন, ‘আজকে যখন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা তার ঘর ভাড়া দিতে পারছেন না, কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না, বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার বন্ধ হচ্ছে তখন শ্রেণিবিন্যাসের ইস্যু তোলা হচ্ছে কেন? ২০১৩ সালে আইন হলেও এতোদিন তা বাস্তবায়ন হয়নি, এখন কে বা কারা এটা করছে এটা আমার প্রশ্ন।’

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এক প্রতিনিধি দল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী প্রেরণে সকল রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য সমঅধিকার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স শ্রেণিবিন্যাস করার উদ্যোগকে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত অনভিপ্রেত ও বাস্তবতা বিবর্জিত বলে উল্লেখ করা হয়। এ শ্রেণিবিন্যাস বাস্তবায়ন রহিত করার জন্য উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

এমএ/

আ.লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
আ.লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে দেশে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ বা প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা সমাবেশ, জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।

অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা বরদাশত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শফিকুল আলম।

ফেসবুক পোস্টে তার বক্তব্যের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এত বড় গণহত্যা চালানোর পরও দলটির মধ্যে কোনো ধরনের অনুশোচনা নেই। 

এই গণহত্যাকারী দলটি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে তাদের মোকাবিলা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: বাসস

অমিয়/

‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা পরিকল্পনার বাইরে’

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা পরিকল্পনার বাইরে’
বিআইপির সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির সেমিনার কনফারেন্স হলে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা এখনো স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রয়েছে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপির) এক গবেষণায়।
 
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির সেমিনার কনফারেন্স হলে ‘সমগ্র দেশের পরিকল্পনা করি, বৈষম্যহীন সুষম বাংলাদেশ গড়ি’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।
 
বিআইপির সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, থাইল্যান্ডের অ্যাশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইমিরেটাস অধ্যাপক এ টি এম নুরুল আমিন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইপির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। 

সেমিনারে সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা এখনো স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা দুর্যোগপূর্ণ। এই বিশাল এলাকা এখনো পরিকল্পনার বাইরে থাকার মূল কারণ হল, আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর দুর্বলতা। শহর ও গ্রামীণ পরিকল্পনার মধ্যেও বিস্তর ব্যবধান রয়ে গেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পল্লী উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেখা যায়, ২০ বছর আগে অ্যাজেন্ডা নেওয়া হয়, এরপর ওই এলাকাটি যখন পুরান ঢাকার মতো হয়ে যায় তখন তারা এলাকাটিকে পৌরসভা বানাতে চান। স্থানিক পরিকল্পনায় রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রশাসনের পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। এটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ডিটেইল অ্যারিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) নিয়ে রাজউক এখন অনেক চাপে আছে। বিগত দিনে ড্যাপে বিশেষ কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসে বলেছেন, সংশোধিত ড্যাপ প্ল্যান বাদ দেন, ২০০৮ সালের আগে ফিরে যান। এ ছাড়া ড্যাপ অ্যারিয়াতে যাদের জমি পড়েছে, তারা এখন জমি ছাড়তে নারাজ।’ 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজধানীর পূর্বাচলে আবাসন অবকাঠামোর অনেক কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আইনি দিকটি সমাধান হলে পূর্বাচলের পাশাপাশি উত্তরা, ঝিলমিলে রাজউকের প্রকল্প এলাকায় ৫০ লাখ নাগরিককে আবাসন সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
 
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ড্যাপ বাস্তবায়নের পথে নগরীর চারটি নদী পাড়ের এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব দেবে রাজউক। নদী পাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে নগরের মধ্যভাগে জনঘনত্ব কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ড্যাপের খসড়ায়।’ 

রাজউক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে নগরীর জলাভূমি সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে করে বলেন, ‘জলাভূমি দখল করে কেউ পার পাবেন না।’ 

তুরাগের ওপাড়ে যারা বালু তুলে জলাভূমি ভরাট করছে তাদের হুশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে রাজউক সেই বালু তুলে বিক্রি করে দেবে।’

জয়ন্ত/পপি/

আইসিএসসির সদস্য হলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
আইসিএসসির সদস্য হলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত

আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য বাংলাদেশ, চীন ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে ২.০ নির্বাচিত করেছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে। আর এটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।’

তিনি ২০২৫ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য আইসিএসসির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আইসিএসসি হলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।

এটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য বাধ্যতামূলক প্রধান সংস্থা।

পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি বর্তমানে ইউএনজিএর দ্বিতীয় কমিটি (অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটি) চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালে জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান, ২০২৩ সালে ইউএন পিসবিল্ডিং কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে যথাক্রমে ইউএন-ওমেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

বাসস/অমিয়/

শিক্ষাঙ্গন নিরাপদে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
শিক্ষাঙ্গন নিরাপদে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
ছবি : খবরের কাগজ

শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করার জন্য সবাইকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মতো অন্য কেউ যেন দানবের ভূমিকা নিতে না পারে সেজন্য জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নিরাপদ বাংলাদেশ চাই সংগঠনের আয়োজনে এতে ‘ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস সন্ত্রাস : ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারাচ্ছন্ন এক যুগ’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পিএইচডি স্কলার শাহাদাৎ স্বাধীন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে। তারা যেন বিশ্বের যেকোনো একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এটার জন্য আমাদের আদর্শ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ক্যাম্পাসগুলো যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের আড্ডার আখড়া বানাতে দেওয়া না হয়। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। সামনে যে সরকারই আসুক না কেন, এটা চেষ্টা করবে। এর জন্য আমদের সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বাংলাদেশকে যেন গড়ার অনুপ্রেরণা ক্যাম্পাস থেকে পায়। ক্যাম্পাসগুলোকে আইডিয়াল ডিবেটের জায়গা হতে হবে। একটা মহৎ আন্দোলন এই ক্যাম্পাসের ছেলে-মেয়েরা করেছে। বাংলাদেশে এই রকম মহৎ আন্দোলন কয়টা হয়েছে? এটার যে ব্যপ্তি, মানুষকে নাড়া দেওয়া। তারা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেল পুরো পৃথিবীর কাছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে ফ্যাসিবাদের মূল ফোর্স (চালিকা শক্তি) উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ফ্যাসিবাদের বয়ান তৈরি করেছে। পুরো জাতিকে ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা একটা জিম্মি অবস্থায় রেখেছিল। আন্দোলনে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে মারল, এদের অনেকের ব্যাকগ্রাউন্ড ছাত্রলীগ। ভয়ানক একটা পুলিশি রাষ্ট্র তৈরি হয়েছিল। এটার মূল উপাদানটা ছিল ছাত্রলীগ। বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে হলে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে। সবাই মিলে করতে হবে।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, শিক্ষাঙ্গনকে আমরা নিরাপদ কীভাবে করব, এটা নিয়ে ডিবেট হওয়া উচিত। কীভাবে করলে আরেকটা ছাত্রলীগ তৈরি হবে না। এটার জন্য গ্রামেগঞ্জে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই ধরনের মনস্টার (দানব) আমরা সোসাইটিতে চাই না। বাংলাদেশ যেন নিরাপদ হয়, সেটা আমরা চাই। আমরা শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে চাই। আমাদের ডরমিটরি (আবাসিক হল) যেন সন্ত্রাসমুক্ত থাকে এ ব্যাপারে জনমত গড়তে তুলতে হবে। রাষ্ট্র মেরামতের বড় অংশ শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে। শুধুমাত্র সংবিধান, জুড়িশিয়ারি সংস্কার করে হবে না। সোসাইটিতে যারা সন্ত্রাস করে, তারা যেন এটা না করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

কবির/অমিয়/

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৬৬ মামলা, জরিমানা ৭৬ লাখ

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৬৬ মামলা, জরিমানা ৭৬ লাখ
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ১৬৬টি মামলায় ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ও শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা এবং জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া অভিযানে ১৮৪টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ৯৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

তুলি/নাইমুর/পপি/