ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

গণহত্যার সমর্থন, উস্কানিদাতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ এএম
গণহত্যার সমর্থন, উস্কানিদাতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে: নাহিদ ইসলাম
গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনুদানের চেক হস্তান্তরের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং  তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: বাসস

যারা সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, উস্কানি দাতা ছিল এবং গণহত্যার সমর্থন করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অনুদানের চেক হস্তান্তরকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, যদি কোন সাংবাদিক বা তার পরিবার মনে করে যে মামলার মাধ্যমে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। 

আহত ও নিহতদের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল টিম কাজ করছে। আমরা স্পেশাল ট্রাইবুনালে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। বিষয়টি চলমান রয়েছে। 

আহতদের বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তারা দেশের বীর সন্তান। আন্দোলনে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন তাদের সেই আত্মত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেন,আমরা অনুরোধ করবো শহিদ এবং আহতদের যেন আমরা কোন দল বা ব্যানার দিয়ে ভাগ করে না ফেলি। আমরা যেন তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করি। 

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন,ঢাকা মেডিকেলে আসার আগে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের সেই খরচ আমরা দিয়ে দিবো।

চেক হস্তান্তরকালে ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত জামাল হোসেন বয়স্কদের মাসিক ভাতা এবং তরুণদের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। 

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দ্রুতই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে, যাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের হত্যার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যরা যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

এসময় ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহতদের মাঝে বিতরণ করা অনুদানের হিসাব সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরে জানান, এ পর্যন্ত মোট একশ বাইশ জনকে জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে এক কোটি বাইশ লাখ চৌষট্টি হাজার চারশ টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

তিনি জানান, এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ৩০ জনের মধ্যে ২৩ জনকে জনপ্রতি ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে বাকি ৭ জনের নাম সম্পূর্ণ না থাকায় তাদের বিকাশের মাধ্যমে আজই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন ৩৩ জনের বিকাশে এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূর্নবাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ৫৯ জনের বিকাশে টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১৭৬ জন আহতকে মোট এক কোটি একাত্তর লাখ বিয়াল্লিশ হাজার পঞ্চাশ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলেনি: দুদক আইনজীবী

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলেনি: দুদক আইনজীবী
বেগম খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কোনো অর্থ আত্মসাৎ হয়নি বলে তদন্ত শেষে রবিবার  (১০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান। এই মামলায় হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির শেষ দিনে আদালতকে তিনি এ তথ্য জানান।

এদিকে শুনানি শেষ হওয়ায় সোমবার (১১ নভেম্বর) এ বিষয়ে রায় (আদেশ) ঘোষণা করতে পারেন সর্বোচ্চ আদালত। 

রবিবার আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান আদালতে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি মামলার নথি থেকে খালেদা জিয়া এ মামলার অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন- এমন উপাদান পেশ করেন। মামলার চার্জশিট পড়ে আদালতকে তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমরা জিয়া অরফানেজের এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের তথ্য পেয়েছি, তবে এখানে অর্থ আত্মসাতের কোনো প্রমাণ পাইনি। মামলার এফআইআরে অর্থ আত্মসাতের তথ্য মেলেনি। বরং সুদে-আসলে সব অর্থ ব্যাংকেই জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।’

এর ফলে এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া তার খালাসের বিরুদ্ধে আজ আপিলের অনুমতি পেতে পারেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া। পরে গত ৪ নভেম্বর তার ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের ওপর শুনানির জন্য গতকাল আপিল বিভাগে শুনানি নেন চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে এ মামলায় বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে। কারণ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের জবানবন্দি ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। খালেদা জিয়ার এ জবানবন্দি তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে। 

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে বিচারের প্রেক্ষাপট, হয়রানির বিষয় এবং বিচার বিভাগের ওপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণের নানা দিক তুলে ধরেন। আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আইনগতভাবে এই মামলার মোকাবিলা করব। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়।’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাকি চার আসামি হলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন।

একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। পরে সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। আর সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি শেষ হয় রবিবার।

এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি। 

তবে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমার পরও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। মামলাটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে তিনি আইনজীবীদের বলেছেন।

অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হলো আরও ১১৮ সাংবাদিকের

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হলো আরও ১১৮ সাংবাদিকের

তৃতীয় দফায় আরও ১১৮ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর। 

গত ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামুল কবীর সাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

তাদের মধ্যে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিবেদক রয়েছেন।

এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে এসব সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে এর আগে ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।

এর আগে প্রথম দফায় গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের পরে দ্বিতীয় দফায় ৩ নভেম্বর আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে সরকার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৭ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করলো অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

আনিসুর রহমান/অমিয়/

বিমানযাত্রীর পেটে ৩ হাজার ইয়াবা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
বিমানযাত্রীর পেটে ৩ হাজার ইয়াবা
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার জুয়েল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ কৌশলে পেটের ভেতরে তিন হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে বিমানে করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন জুয়েল মিয়া (৩৩)। কিন্তু এমন কৌশল খাটিয়েও পার পাননি মাদকচক্রের এই সদস্য। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটকের পর হাসপাতালে নিয়ে পেটের ভেতর থেকে বের করা হয়েছে তিন হাজার ৮০ পিস ইয়াবা। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এ তথ্য জানিয়েছে।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মাদ সিহাব কায়সার খান জানান, জুয়েল মিয়া রবিবার কক্সবাজার থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচারের গোপন খবর থাকায় জুয়েলকে সন্দেহ করেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জুয়েল জানান, কলার সঙ্গে বিশেষ কায়দায় ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে ইয়াবাগুলো গিলে ফেলেছেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসকদের সহায়তায় তার পেটের ভেতর থেকে ইয়াবা বের করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর জুয়েল মিয়াকে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। 

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সুযোগসন্ধানী অপরাধীরা নিত্য-নতুন কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনে এয়ারপোর্ট ব্যবহার করার অপচেষ্টা আগে থেকেই করে আসছে। এ জাতীয় অপরাধ দমনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

আলমগীর/অমিয়/

৭ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম
৭ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অন্তর্বর্তী সরকারে শপথ নিলেন নতুন আরও তিন উপদেষ্টা। তাদের মধ্যে দুজন দপ্তর পেয়েছেন। একই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্যের দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর পরই উপদেষ্টা পরিষদের নতুন এই সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্যদের মধ্যে সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।

আদেশে প্রধান উপদেষ্টাসহ কিছু সদস্যের দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সালেহউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়।

ড. আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রাণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ পেয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সেদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৪ জন উপদেষ্টা দায়িত্ব নেন। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায়। আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ১৬ আগস্ট আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন।

দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনার নিয়োগে বাছাই কমিটি

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনার নিয়োগে বাছাই কমিটি
দুর্নীতি দমন কমিশন। খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হককে এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বাছাই কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’ অনুযায়ী তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে কমিশন কমিটি গঠিত হয়। তাদের মধ্য থেকে একজন হন চেয়ারম্যান। কমিশনারদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।

আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী এই বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও মো. মাহবুব হোসেন (সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব)।

বাছাই কমিটি কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে উপস্থিত সদস্যদের কমপক্ষে ৩ জনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ২ জন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করবে। এরপর আইনের ধারা ৬-এর অধীনে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, কমপক্ষে ৪ জন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হবে। এই বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ২৯ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন।