মেট্রোরেল যাত্রায় এখন আর নতুন করে এমআরটি পাস কিনতে পারবেন না যাত্রীরা। তাদের জন্য র্যাপিড পাস নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এই কার্ড তাদের সরবরাহ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনে এমআরটি পাস বিক্রির বুথে নোটিশ সাঁটায় ডিএমটিসিএল।
এতে বলা হয়, এমআরটি পাস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র এমআরটি পাস আর র্যাপিড পাস রিচার্জ করা যাবে।
র্যাপিড পাস মূলত মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিসির নৌযান সার্ভিস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বাস সার্ভিসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পেমেন্ট সুবিধা পেতে ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া র্যাপিড পাস কার্ড। যা ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন শুরু হয়। এটি অনেকটা ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডের মতো কাজ করে। মেট্রোরেলের একটি স্টেশনে এই কার্ড পাঞ্চ করে ঢোকার পর ভ্রমণ শেষে অন্য স্টেশনে নামার সময় গেটে পাঞ্চ করলে নির্ধারিত ভাড়া কেটে রাখে।
ডিটিসিএ বলছে, একটি র্যাপিড পাসের দাম ২০০ টাকা আর রিচার্জ করা থাকে ২০০ টাকা। মোট ৪০০ টাকা দিয়ে কার্ডটি কেনা যাবে। একটি কার্ডে একবারে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা রিচার্জ করা যাবে। তবে কার্ডের ব্যালেন্স ১০ হাজার টাকার বেশি হতে পারবে না। কার্ডে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলেও কার্ড ব্যবহারকারীরা মেশিনে স্ক্র্যাচ করলে একবার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তী রিচার্জে ওই পরিমাণ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হবে।
বাস রুট রেশনালজেশনাল কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম খবরের কাগজকে জানান, চলতি অক্টোবরের ১৩ দিনে ৫ হাজার ৫৬৮টি র্যাপিড পাস বিক্রি করেছে ঢাকা ডিটিসিএ। মেট্রোরেলের চারটি স্টেশনে আলাদা বুথে এই কার্ড পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি জানান, ডিটিসিএ ১ অক্টোবর থেকে প্রাথমিকভাবে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার, মতিঝিল, আগারগাঁও ও সচিবালয় স্টেশনে র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু করেছে। গত ১৩ দিনে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকার কার্ড বিক্রি হয়েছে। আর এসব কার্ডে রিচার্জ করা হয়েছে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফার্মগেট, পল্লবী, উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনেও র্যাপিড পাস বিক্রি করে। আর আগের চারটি স্টেশন দুটি করে বুথ থাকবে।
ধ্রুব আলম বলেন, ‘এখন আর আলাদাভাবে আর এমআরটি পাস বিক্রি হবে না। এখন থেকে র্যাপিড পাস ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার ডিএমটিসিএলের সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, তারা মেট্রোরেলে একক যাত্রার জন্য ২ লাখ ৪৮ হাজার টিকিট এনেছিলেন। এর মধ্যে ১৩ হাজার টিকিট নষ্ট হয়ে গেছে। ২ লাখ টিকিট হারিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া মানে যাত্রীরা এগুলো বিভিন্ন সময়ে স্টেশনে জমা না দিয়ে নিয়ে গেছেন। এটা আইনত অপরাধ।’
আব্দুর রউফ বলেন, ‘ঘরে বসেই যাতে এমআরটি রিচার্জ করা যায়, সে জন্য অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। খুব দ্রুতই চুক্তি হবে, বিষয়টি ফাইনাল স্টেজে আছে। আশা করি, খুব শিগগিরই ভালো সংবাদ দিতে পারব।’
জয়ন্ত/সালমান/