ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৮৬

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৮৬
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

গেল এক দিনে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেড়েছে শনাক্ত রোগী। মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক দিনের ব্যবধানে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ১ হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অথচ আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগী ছিল ৬৬০ জন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

নিয়ে চলতি মাসের ১৪ দিনে ডেঙ্গুতে ৫২ জনের মৃত্যু হলো। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২৮৮ রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২০৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৯, খুলনা বিভাগে ১৫২, ঢাকা বিভাগে ১৩৩, বরিশাল বিভাগে ৯৬, রাজশাহী বিভাগে ৪১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২, রংপুর বিভাগে ২১ ও সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। আর হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৬ জন। এর মধ্যে ১১৪ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। আর ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ও ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ। আর বয়সের বিশ্লেষণে এ বছর মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মশাবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগে সবচেয়ে বেশি ছিলেন ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা। এ বয়সী আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৫। তবে আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা। চলতি বছর এ বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৯৩।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গতবছর। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। আর ডেঙ্গু শনাক্তের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী।

১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ দাবিতে মানববন্ধন
১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের এত সব দিবস থাকলে, উপকূলের জন্য কেন একটি দিবস থাকবে না। যে ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের কেন স্মরণ করা হবে না, তাদের স্মরণে ও উপকূলের উন্নয়নে কেন একটি দিবস হবে না?

বক্তারা আরও বলেন, তিনটি পার্বত্য জেলা নিয়ে মন্ত্রণালয় আছে। উপকূলের ১৯ জেলা নিয়ে কেন মন্ত্রণালয় গঠন করা হবে না?

এ সময় তারা ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণা ও উপকূলবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনের শুরুতে স্বেচ্ছাসেবীরা ১৯৭০এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।

এ কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যসহ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আনুমানিক ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সাগর, নদী, খাল-বিলে ভেসে ছিল অসংখ্য লাশ। এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি গবাদি পশু। ঘরবাড়ি, স্বজন হারিয়ে পথে বসেন উপকূলের লাখ লাখ মানুষ।

২০১৮ সালের মে মাসে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ভয়াবহ প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে এই ঘূর্ণিঝড়টিকে প্রাণঘাতীতে প্রথম স্থানে রাখা হয়। 

সবুজ সংহতি-যুব সমন্বয় কমিটি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম ও বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের (বারসিক) আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, শ্যামনগর উপজেলা সবুজ সংহতির আহ্বাহক কুমুদ রঞ্জন, শ্যামনগর পৌরসভার সভাপতি গাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক তৃপ্তি বিশ্বাস, কোহিনুর ইসলাম, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রতিমা চক্রবর্তী ও বর্ষা গাইন।

সুলতান শাহাজান/সুমন/অমিয়/

বাধ্যতামূলক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা তুলে দিতে গভর্নরকে নতুন প্রস্তাব

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
বাধ্যতামূলক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা তুলে দিতে গভর্নরকে নতুন প্রস্তাব
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে বহুল আলোচিত ‘বাধ্যতামূলক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা’ তুলে দেওয়ার নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও)।

তবে ডিপ্লোমাধারীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫ নম্বর যোগ করা যেতে পারে বলেও অভিমত দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এমডি ও সিইওরা এ দাবি জানান বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা শিখা।
 
মুখপাত্র আরও জানান, এ দাবির বিষয়ে প্রয়োজনে একটি কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও এমডি ও সিইওরা উল্লেখ করেছেন। জবাবে গভর্নর তাদের তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। গভর্নর এ বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মুখপাত্র জানান।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই নিয়ম আরোপের পর গত দুই বছরে অসংখ্য কর্মকর্তা পেশাগত জ্যেষ্ঠতা ও দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার নিরসন করতেই এমডি ও সিইওরা নতুন করে প্রস্তাবনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ওই সভায় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ, রিজার্ভ ও বিনিময় হার সম্পর্কিত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শীর্ষ ব্যাংকাররা এ সময় গভর্নরকে জানান, এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই এবং আগামী জানুয়ারি নাগাদ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
 
মুখপাত্র জানান, যেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে আমদানি দায় পরিশোধে দেরি করার অভিযোগ রয়েছে, সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন ঋণপত্র খোলার অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করে দেন গভর্নর।

মুখপাত্র জানান, গভর্নর এমডি ও সিইওদের অনুরোধ করেন যে সচ্ছল ব্যাংকগুলো তারল্যসংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে যেন এগিয়ে আসে। এ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিশ্রুত গ্যারান্টি কার্যকর রাখা হয়েছে। তারল্য সহায়তা পেলে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের উন্নয়নের সুযোগ পাবে এবং ব্যাংকিং খাত নিয়ে সৃষ্ট নেতিবাচক ধারণার অবসান হবে।

সভায় সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, ব্র্যাক, এনসিসি, এমটিবি, যমুনা ব্যাংকসহ আরও ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি ও সিইওরা যোগ দেন বলে মুখপাত্র জানিয়েছেন।

সিলেটের সাবেক এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
সিলেটের সাবেক এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরী গ্রেপ্তার
নাশকতা ও সহিংসতা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া

সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯ ও র‍্যাব-১।

র‍্যাব-৯ জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গত ২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় নাশকতা ও সহিংসতা মামলা হয় সাবেক এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সদর কোম্পানি, সিলেট ও র‌্যাব-১, সিপিসি-২, ঢাকার যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিউর রহমান সোহেল জানান, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিকে এসএমপি সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানের কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর এই আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন। তিনি গত সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

শাকিলা ববি/সালমান/

বিএমএর ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত হলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
বিএমএর ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান । ছবি :সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার(১১ নভেম্বর)  চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) সপ্তম সেনাপ্রধান হিসেবে গৌরবমণ্ডিত ‘হল অব ফেম’–এ অন্তর্ভুক্ত হন। 

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধানের সহধর্মিণীও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট আর্মি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। 

সোমবার চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ওই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান গতকাল চট্টগ্রামে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ৪৩তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
 
আইএসপিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রামে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ৪৩তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। 

এ ছাড়া আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির সব সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী-হাটহাজারী লিংক রোডসংলগ্ন খিল্লাপাড়ায় ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট আর্মি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই হাসপাতাল নির্মাণ সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং তাদের পরিবারের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

 বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৫ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ১৩ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে কোর অব ইনফেন্ট্রিতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ২০২৪ সালের ২৩ জুন ১৮তম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে। চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে লটারির মাধ্যমে।

গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
 
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ডিজিটাল লটারি-প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

তার মধ্যে রয়েছে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারি ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না; শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফরমের ফি (সরকারি ও বেসরকারি) কোনোক্রমেই ১১০ টাকার বেশি গ্রহণ করা যাবে না; প্রতি শ্রেণি/শাখার বিপরীতে কোনোভাবেই ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না; ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে যৌক্তিক কোনো কারণে সরকারি/বেসরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি-প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে।

তবে সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে; ঢাকা মহানগরীর বাইরে অর্থাৎ জেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত সংশ্লিষ্ট জেলা ভর্তি কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ডিজিটাল/ম্যানুয়ালি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
 
উল্লেখ্য, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের তুলনায় আবেদন সংখ্যা কম হলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো লটারি ছাড়া সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।