
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সেই তালিকা প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে আগামী বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন, ঈদুল আজহায় ছয় দিন ও দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি থাকবে।
২০২৫ সালের অনুমোদিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী সাধারণ ছুটি ১২ দিন, নির্বাহী আদেশে ১৪ দিন থাকবে। তবে সাধারণ ছুটির মধ্যে পাঁচ দিন ও নির্বাহী আদেশে ছুটির চার দিন সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে পড়েছে।
সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৮ মার্চ জুমাতুল বিদা, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ১ মে ‘মে’ দিবস, ২১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ৭ জুন ঈদুল আজহা, ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন।
নির্বাহী আদেশে ছুটির মধ্যে রয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে বরাত, ২৮ মার্চ শবে কদর, ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে-পরে দুই দিন হিসাবে চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ৫ ও ৬ জুন দুই দিন এবং পরে ৮, ৯ ও ১০ জুন মোট পাঁচ দিন, ৬ জুলাই আশুরা এবং ১ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমীর দিন।
ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ, ৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ১১ জুন ঈদুল আজহার পরে চতুর্থ দিন, ২০ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার শোম্বা এবং ৪ অক্টোবর ফাতেহা ইয়াজ দাহম।
হিন্দু পর্বের মধ্যে রয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রী ব্রত, ১৪ মার্চ দোলযাত্রা, ২৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৩১ অক্টোবর শ্যামাপূজা।
এ ছাড়া ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ৫ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৭ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।
ঐচ্ছিক ছুটির বৌদ্ধ পর্বের মধ্যে রয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ১০ ও ১২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা, (আগের ও পরের দিন), ৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
আদেশে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।