ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএসএমএমইউতে দুর্নীতি ও বৈষম্য তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
বিএসএমএমইউতে দুর্নীতি ও বৈষম্য তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ডা. মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলন। ছবি : খবরের কাগজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত ১৬ বছরে হওয়া দুর্নীতি ও বৈষম্য তদন্তে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ ‘তদন্ত কমিশন’ গঠনসহ ১০ দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় শাহবাগে হাসপাতালের ডা. মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।

বিগত ‘আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনাসলে বিএসএমএমইউ-তে সংগঠিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্সচারী ঐক্য পরিষদ বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল) শাখা। 

এই পরিষদের সভাপতি ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন ১৬ বছরের দুর্নীতির চিত্র তুলে ১০ দাবি উপস্থাপন করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসাপতাল প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন সেন্টার নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি করা হয়েছে। ফলে আজ তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে নিয়োগ হওয়া শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের যে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি, পদাবনতি ও উচ্চশিক্ষা অর্জনের বাধা এবং বৈষম্যের মাধ্যমে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

প্রায় ২৭৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এবং সামাজিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের বিপরীতে কম যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে মেধাশূন্য করা হয়েছে। পাশাপাশি জনগনকে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি না দিয়ে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচার হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, রিঅ্যাজেন্ট ও ওটি সরঞ্জামাদি ক্রয়ে গুণগত মান যাচাই-বাছাই না করে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেজন্য বর্তমান সরকার ও প্রশাসনেরর কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরছি। দাবিগুলো হলো-

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকার ও বাধা প্রদানকারী চিকিৎসকদের তালিকা করে বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে।

শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

গত ১৬ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সব দুর্নীতি ও অনিয়মের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে এবং সব কেনাকাটা, টেন্ডার ও নির্মাণে অনিয়মের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণে যে সব শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী চাকরিচ্যুত, পদাবনতি ও বরখাস্ত হয়েছেন তাদেরকে স্ব স্ব পদে বহালের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি এবং উচ্চশিক্ষা অর্জনে যে বৈষম্যমূলক বাধা প্রদান করা হয়েছে তা দূর করতে হবে।

বৈষম্যের শিকার শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের অতি দ্রুত ভূপাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে।

বিগত ৪ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে সাবেক উপাচার্যের একান্ত সচিব এবং সাবেক প্রক্টরের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী সন্ত্রাসী শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী পরিকল্পিতভাবে শাহবাগের আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ আক্রমণ করে বহু ছাত্র-জনতাকে হতাহত করে এবং আগুনসন্ত্রাসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও ভস্মীভূত করার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও মামলা দায়ের করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত থেকে শুরু করে স্বৈরাচার কর্তৃক নিয়োগকৃত সব ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরদের এবং অন্যান্যদের দূর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের হিসাব দুদকের মাধ্যমে তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে সে বিষয়ে অতিসত্ত্বর মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের আতুরঘর হিসাবে বিবেচিত মুজিববাদ প্রেরণার উৎস হিসেবে পরিচিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অনতিবিলম্বে পরিবর্তন ও ৫ আগস্টের বিপ্লবের চেতনাবিরোধী সব ম্যুরাল ও মূর্তি সরিয়ে ফেলতে হবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরে সংগঠিত সব অনিয়ম, দুর্নীতির ও বৈষম্য তদন্তে একটি শক্তিশালী আভ্যন্তরীণ ‘তদন্ত কমিশন’ গঠন করতে হবে।

২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসদের পদোন্নতি সংক্রান্ত ২০০৮ সালের প্রজ্ঞাপন ২০০৯ সালের ৩৩তম সিন্ডিকেট সভায় বাতিল করার আদেশটি অনতিবিলম্বে বাতিল করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিতে হবে।

আরিফ সাওন/অমিয়/

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে স্বার্থের ভিত্তিতে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে স্বার্থের ভিত্তিতে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দু’দেশের স্বার্থের ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ভারতকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমরা ভালো সম্পর্ক চাই তবে সেটা দুপক্ষেরই সমান স্বার্থের ভিত্তিতে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কিছু সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমরা সরে যাব, তারা দেশ চালাবেন। তবে সবারই দায়িত্ব নিতে হবে পুনরায় যেন ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় নেমে আসতে না হয়, ছেলে-মেয়েদের প্রাণ যেন আর না ঝরে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহিদ হোসেন, এমআরডিআইয়ের উপদেষ্টা মো. সাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার কমোডোর মো. খালিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহসান হাবীব বিপ্লব, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট অলিউর রহমান কাওসার প্রমুখ।

অমিয়/পপি/

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: তাপমাত্রা আরও কমবে

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: তাপমাত্রা আরও কমবে
ছবি : খবরের কাগজ

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পঞ্চগড়, রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন।

সুমন/পপি/অমিয়/

বেড়েছে সামাজিক বৈষম্য, বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতা: সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
বেড়েছে সামাজিক বৈষম্য, বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতা: সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা
শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় মতামত দেন সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার বক্তারা। ছবি:খবরের কাগজ

স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও ক্ষমতায় থাকা কোনো রাজনৈতিক দলই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যবিলোপ নিশ্চিত করতে পারেনি বলে অভিমত প্রকাশ করেছে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মতামত দেন শিক্ষক ও অধিকারকর্মীরা।

তারা বলেন, ‘বাস্তবে সামাজিক বৈষম্য যেমন বেড়েছে তেমনি বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতার।’

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার যুগ্ম সমন্বয়ক মনীন্দ্র কুমার নাথ। 

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশের নানা এলাকায় ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ২০১০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০ আগস্টের পরেও এ ধরণের সহিংসতা বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে হলেও আজও তা অব্যাহত আছে। দুঃখজনকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং কিছু রাজনৈতিক দল এ ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রলেপ লাগিয়ে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইছে। নিপীড়নের ঘটনাকে লঘু করে দেখা বা যথারীতি অতীতের ন্যায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়া প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।’

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করতে গেলে কোনো কোনো পক্ষ নানা ধরনের ট্যাগ লাগিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মনীন্দ্র নাথ।

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুন্ড্ররিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলার প্রসঙ্গও আসে লিখিত বক্তব্যে।

মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংবিধান স্বীকৃত আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তার মৌলিক মানবাধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে না? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা কতটুকু যৌক্তিক সে ব্যাপারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের নানা এলাকায় সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষিত হচ্ছে কিনা তা বিরাট প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে।’

হাইকোর্টে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর প্রশ্নে রুলের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিদ্যমান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া প্রসঙ্গ তুলেছেন। 

এর প্রতিক্রিয়ায় মনীন্দ্র নাথ বলেন, ‘সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিতে বলা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে অসামঞ্জ্যপূর্ণ নয় কি?’

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিশনগুলোতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান কার্জন, জোবায়দা নাসরীন; জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালের পাল পুরোহিত অ্যালবার্ট ডি রোজারিও পাল পুরোহিত, কারিতাস ডেভেলপমেন্টের পরিচালক থিও থিল নকরেকসহ আরও অনেকে।

জয়ন্ত সাহা/সাদিয়া নাহার/

কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা সম্পন্ন
বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা। ছবি: খবরের কাগজ

কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কবির পরিবার, ভক্ত-অনুরাগীসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, আজ বাদ জোহর কবির দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

কবি হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়বেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

কবির মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার বারহাট্টায় নেওয়া হবে না বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কবির বড়ভাই দুলাল এ হাফিজ।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

অমিয়/

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা
ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে ঢাকার বাতাসে একিউআই স্কোর ছিল ২৮১।

একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২১৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৭৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং ১৭৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের কাবুল।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });