অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এখন থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বও পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, স্পিকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজ ছিল। এখন যেহেতু স্পিকারের পদটি শূন্য, সেই কাজটি কে করবে? সেই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সেটা দেখবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের পদটি শূন্য। এমতাবস্থায় গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পরিচালনার লক্ষ্যে আইন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব অর্পণের সিদ্ধান্ত হয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা যে আন্দোলন করছেন, সেটাকে সরকার কোনো ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে না। দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পরে অনেক কারখানার মালিক পালিয়ে গেছেন, ফলে ওই সব কারখানা বেতন দিতে পারছে না। সেখানে আন্দোলন হচ্ছে। আগেও এ রকম কিছু কারখানায় আন্দোলন চলত। এই আন্দোলনকে সরকার কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা হিসেবে দেখছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই মুহূর্তে তৈরি পোশাক খাতের ৯৯ শতাংশ কারখানা চালু আছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সরকার যে সার্চ কমিটি করেছে, তারা নিরপেক্ষ ও দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ঢাকা নগরীর যানজটের আশু সমাধানের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, গত ১৫ বছর দেশে কুশাসন এমন পর্যায়ে ছিল যে কেউ তখন কোনো ধরনের আন্দোলন করতে পারেনি। এখন তারা ভাবছেন অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সরকার, ফলে অনেকে এখন তাদের দাবি নিয়ে মাঠে আন্দোলন করছেন। তবে যানজট নিরসনে বর্তমান সরকারের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। উপদেষ্টা পরিষদে যানজট নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।