সংস্কার কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়ের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সুস্পষ্ট মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানী আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের ১২তম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এই কমিশনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি (সদস্য) হিসেবে যোগ দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিকা আরমান।
কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা ১২টি সভা করেছি, যার সবই ফরমাল। এ ছাড়া ইনফরমালি আরও আলাপ-আলোচনা করেছি। এসব আনুষ্ঠানিক বৈঠকে নির্বাচনের বিভিন্ন আইনকানুন নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। যে ইস্যুগুলো আমরা চিহ্নিত করব, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন অংশীজনের (রাজনৈতিক দল) মতামত নেব। তাদের মতামত নেওয়ার পর আমরা সুপারিশমালা প্রস্তুত করব। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবেন (সংলাপে) কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজটা হলো কারিগরি। সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল। তাদের সঙ্গে কোনো মতবিনিময়ের প্রয়োজন নেই। কারণ আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো এখতিয়ার নেই। কাজেই আমি মনে করি, অংশীজনদের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসার দরকার নেই। তবে দলগুলোর কাছ থেকে আমরা সুস্পষ্ট মতামত নেব।’ আগামী নির্বাচনে প্রবাসী ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
সংস্কার কমিশনপ্রধান বলেন, ‘সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। নির্বাচনিব্যবস্থা বা নির্বাচনি কার্যক্রম সুন্দরভাবে করার জন্য আমাদের কাজ হলো কিছু সুপারিশ করা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের সুপারিশ তৈরি করার সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা এর মধ্যেই সুপারিশগুলো জমা দিতে চাই।’
নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন হয়ে গেছে, কিন্তু আপনারা সার্চ কমিটি সংস্কারের প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন রয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। সার্চ কমিটি তার মতো কাজ করবে এবং আমরা আমাদের মতো কাজ করব।’
এর আগে অনুষ্ঠিত সংস্কার কমিশনের ১১টি বৈঠকে কোনো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছিলেন না। গতকাল কমিশনের ১২তম বৈঠকে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি (সদস্য) হিসেবে যোগ দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিকা আরমান। বৈঠকে কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, জেসমিন টুলী, ড. মো. আবদুল আলীম, ডা. জাহেদ উর রহমান, মীর নাদিয়া নিভিন, মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস, ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এবং ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।