দেশের ১৪তম নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছ থেকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম আহ্বান করেছে এ বিষয়ে গঠিত সার্চ কমিটি। ওইদিন বিকেল ৫টার মধ্যে অনধিক ৫ জনের নাম প্রস্তাব করা যাবে। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ আগ্রহীরা প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অথবা সার্চ কমিটির ই-মেইলে পাঠাতে পারবেন।
এ বিষয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুযায়ী ৫ সদস্যের নতুন ইসি কমিশন নিয়োগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করছে অনুসন্ধান কমিটি। এ বিষয়ে আগ্রহী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন আগামী ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য অনধিক ৫ জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অথবা সার্চ কমিটি নির্ধারিত ই-মেইল ([email protected]) এর মাধ্যমে পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হলো।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে করা সার্চ কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে এই সভায়- কমিটির সদস্য হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং পদাধিকারবলে সদস্য বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শুরুর আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোকদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আইনে তাই বলা হয়েছে। আমি সার্চ কমিটির মেম্বার নই। আমরা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবো। বৈঠকে সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে হবে সেগুলো নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেবেন তারা।
কবে নাগাদ নির্বাচন কমিশন গঠন হবে- জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আইন অনুযায়ী এই কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেটা তো আমরা বলতে পারবো না’।
গত ৩১ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি নামে ছয় সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে সরকার। এবারের সার্চ কমিটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আইন অনুযায়ী, এই অনুসন্ধান কমিটিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দু'জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে পাঠাতে হবে।
এলিস/এমএ/