ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে। এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। পাশাপাশি মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিসকক্ষে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর দেশে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু করেছে। যাতে দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।’ দেশ পুনর্গঠনে নরওয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সরকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।
রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, ‘নরওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
রাষ্ট্রদূত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে রয়েছেন। সর্বশেষ দুর্গাপূজায় তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছুটি বাড়ানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিল। তারা সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অথচ তাদের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তারা বিচার করেনি।’
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বহির্বিশ্বে নানারকম নেতিবাচক প্রচারণা করা হচ্ছে এ বিষয়ে সত্য ঘটনা প্রচার করতে নরওয়ের সহযোগিতা কামনা করেন নাহিদ ইসলাম। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়ান রাবে ন্যাভেলসউরড এ সময় উপস্থিত ছিলেন।