ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

গণমাধ্যমের ওপর হুমকি, বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি: টিআইবি

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
গণমাধ্যমের ওপর হুমকি, বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি: টিআইবি

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি। ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের ঢালাও নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তাহীনতা মূলত কর্তৃত্ববাদের পুনরাগমনের পথ সৃষ্টি করবে। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি ফাঁকা বুলি’ প্রশ্ন তুলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করার এই প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের জন্য ভীতিহীন পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনামলে মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৪ বছরে ৪২ ধাপ নেমেছিল বাংলাদেশ। এ সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসংক্রান্ত সব মানদণ্ডেই বাংলাদেশের ক্রমাবনতি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আবারও নির্বিচার হুমকি, হামলা, ঘেরাও, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষোভের বশীভূত হয়ে যথেচ্ছ মামলা বা ঢালাওভাবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা প্রকারান্তরে জনবিরোধী কর্তৃত্ববাদের পরিচায়ক।’ 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিআইবি বিশ্বাস করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে বা যারা সরাসরি কর্তৃত্ববাদের দোসরের ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সহযোগী ‘ট্যাগ’ দিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ মামলা, তথ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল, হুমকি, বরখাস্ত করার মতো ঘটনা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে কোনো ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে না। বরং, ‘ভিন্নমতের কারণেই স্বৈরাচারের দোসর’ অভিযোগ তোলার পেছনে স্বার্থান্বেষীদের দুরভিসন্ধি কাজ করছে। শুধুমাত্র সাংবাদিকতার জন্য কোনো সাংবাদিককে কখনোই শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই পতিত সরকারের দোসর অভিযোগে ‘উইচ হান্টিং’ করে সাংবাদিক হয়রানির চলমান চর্চা অবিলম্বে বন্ধের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান তাদের। একই সঙ্গে, সাংবাদিকতার ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা নিশ্চিতের জন্য গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

এলিস/এমএ/

ডেঙ্গুতে ঝরল আরও ৪ প্রাণ, হাসপাতালে ২৪১

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
ডেঙ্গুতে ঝরল আরও ৪ প্রাণ, হাসপাতালে ২৪১

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৫৪৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪১ জন। এদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯, চট্টগ্রামে ২১, ঢাকা বিভাগে ৬১, ঢাকা উত্তরে ৪১, ঢাকা দক্ষিণে ৪৬, খুলনায় ৪৪, ময়মনসিংহে ৮, রাজশাহীতে ৮, রংপুরে ১ ও সিলেটের হাসপাতালে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৭১৯ জন। চলতি বছরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৮৮ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত ৪ জনের ১ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এ নিয়ে চলতি মাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৯৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ৯৫ হাজার ৮৬১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। সে বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। ২০২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন। ২০২০ সালে করোনার কারণে তেমন একটা ডেঙ্গুর প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে ২০১৯ সালে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়।

৩ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও দুই দিন

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
৩ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও দুই দিন
ছবি: সংগৃহীত

পৌষ ছুঁইছুঁই দিনে রাজশাহী, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও বিস্তৃত হয়ে দুই-তিন দিন চলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, আরও দুই-তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তার হবে। কাল, পরশু তাপমাত্রা কমবে। এরপর তিন থেকে চার দিন বাড়ার পর আবার কমবে। কুয়াশার কারণে শীত বেশি লাগবে।’

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তাদের আয়-উপার্জন কমে গেছে। শীতে বেশি ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষ খুব কষ্টে আছেন। গতকাল সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের এক কৃষক বলেন, ‘এবার ৪ বিঘা জমিতে ইরি ধান লাগিয়েছি। ভোর থেকেই পরিচর্চা করতে হচ্ছে। হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে।’ ভ্যানচালক দীন ইসলাম বলেন, ‘কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে ডিপ ফ্রিজের মধ্যে আছি।’

ঠাকুরগাঁও

জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শহরে রিকশাচালক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘শীতের কারণে ভোরে কাজ শুরু করতে পারি না। রাস্তায় যাত্রীও কম। দিনে আয় অনেক কমে গেছে।’ আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ আরও তীব্র হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।’

পঞ্চগড় 

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হালকা হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে জেলার ওপর দিয়ে। গতকাল সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকালের পরেই দেখা মেলে সূর্যের। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমবে। জেলা শহরের ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাতে অনেক ঠাণ্ডা পড়লেও দিনে গরম পড়ে।’ দিনমজুর আসিয়া বেগম বলেন, ‘এখন তো অনেক রোদ। তবে সন্ধ্যা হলে তীব্র শীত অনুভূত হয়।’

আসছে আরও দুই শৈত্যপ্রবাহ

ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

নাবিল/এমএ/

বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অসংগতি রয়েছে: বদিউল আলম মজুমদার

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অসংগতি রয়েছে: বদিউল আলম মজুমদার
খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা। ছবি: খবরের কাগজ

বিদ্যমান ভোটার তালিকায় কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, জনসংখ্যার বিবেচনায় ভোটার তালিকায় নারী ভোটারের সংখ্যা কমে গেছে। তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন ব্যাহত হবে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তিনি খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এই নির্বাচনিব্যবস্থাকে কীভাবে সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়, সে উদ্দেশ্যে ‘নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। দায়িত্ব অনুযায়ী সব অংশীজনের মতামত গ্রহণ করে আমরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেব। কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে এটি স্বাধীন ও কার্যকরভাবে তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে। একই সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, 'ভোটার তালিকা সংশোধন, জনগণের অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্বাচনি আচরণবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন, নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে সবার পরামর্শ ও মতামত জানা একান্তভাবে দরকার। নির্বাচনি অপরাধের সুযোগ বন্ধ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অসংগতি থাকলে সেগুলোর পরিবর্তন করা আবশ্যক। তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। সে সময়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের নিরপেক্ষতার শপথ ভঙ্গ করেছেন।'

মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন, সদস্য সাদিক আরমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবুর রহমান, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান।

বাংলাদেশ তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে: বিএনপি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
বাংলাদেশ তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে: বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘তুরস্কে ১২ হাজারের মধ্যে ৪ হাজার বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ কী করবে না করবে, তার বোঝার ও চিন্তার বিষয় আছে। আমরা মনে করি, বিগত দিনে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে। বিচারব্যবস্থা ঠিক না থাকলে বাকি কিছু ঠিক থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই তুরস্কের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘বিএনপির  ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সঙ্গে সফররত তুরস্ক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে কীভাবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে তাও উঠে এসেছে। দেশে যারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আছেন এবং রাজনীতিবিদ স্বৈরাচারের সঙ্গে একাত্মতা দেখিয়ে কাজ করে এত লোকের প্রাণহানি ঘটিয়েছেন। গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হেফাজতে হত্যাকাণ্ড, জেলে চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে মারা যাওয়াসহ সার্বিকভাবে যে কাজগুলো হয়েছে, যেটা অনেকটাই তুরস্কেও হয়েছিল।’

বৈঠকে চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতৃত্বে অংশ নেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজভীরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম। 

এ ছাড়া তুরস্কের জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলে ছিলেন রিসাট পেটেক, আহমেত সরগুন, হুসনু টুনা, ডক্টর রফিক কোরকুসুজ, কামাল কেয়া, রাসিম আইটিন, হান্না একবুলাটসহ ১৬ জন।

নাবিল/এমএ/

কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
ছবি: সংগৃহীত

কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজেক মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

প্রধান উপদেষ্টা কবির পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন তারুণ্যের শক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠ। তার কালজয়ী কবিতার মতোই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

লাবনী/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });