সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণে সদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সব ধর্ম, জাতি ও গোষ্ঠী সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাসম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে সেনাপ্রধান ওই বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে যান। এ সময় সেনাপ্রধান সম্প্রীতির দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এ আয়োজনে সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পার্বত্য জেলাগুলোতে পর্যটনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয় ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
পরিদর্শন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতি শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথের, প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথেরসহ বিভিন্ন বিহার থেকে আসা পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর সেনাসদরে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। সে সময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক অনুদান দেন। এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ২৬৬টি বৌদ্ধ বিহারে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর দান পালিত হয়েছে।