ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নিপসমের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীেত ৮ গবেষণাপত্র  উপস্থাপন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
নিপসমের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীেত ৮ গবেষণাপত্র  উপস্থাপন
নিপসমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় বক্তরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর নিপসম কার্যালয় প্রাঙ্গণে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও গবেষণাপত্র উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করা হয়।

এ সময় সংক্রামক, অসংক্রামক রোগ ও পরিবর্তিত পরিবেশে ইমার্জিং রি ইমার্জিং রোগের ওপর জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ৮টি গবেষণাপত্রের উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আটটি গবেষণাপত্রের পোস্টার উপস্থাপিত হয়। গতকাল নিপসম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গবেষণাপত্র উপস্থাপনের একটি সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন নিপসমের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার। 
গবেষণায় উঠে এসেছে, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণ, রোগীর কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ক্রাশ প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ধ্বংস করতে হবে। 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিপসম সব সময়ই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করে আসছে। এর‌ ধারাবাহিকতায় নিপসমের কীটতত্ত্ব বিভাগ বর্তমান ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে এডিস মশা দমনে গবেষণা করে যাচ্ছে।

সমাজ বদলের জন্য প্রয়োজন যুক্তফ্রন্ট: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
সমাজ বদলের জন্য প্রয়োজন যুক্তফ্রন্ট: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলের মতো দেশের স্বাধীনতার পর ক্ষমতার পালাবদলে উন্নতি হলেও সমাজের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অতীতেও সমাজে যেমন মানুষের মধ্যে রাজা-প্রজার সম্পর্ক ছিল, এখনো সেই সম্পর্ক বিরাজমান। সমাজের এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিপ্লব, যেটি বাস্তবায়নে গঠন করতে হবে যুক্তফ্রন্ট। তবে এটি নির্বাচনমুখী হবে না, হবে সমাজ বদলের যুক্তফ্রন্ট। যদি যুক্তফ্রন্ট গঠন করা যায়, তা হলে বুর্জোয়াদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই সম্ভব হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের তিন দিনব্যাপী বিজয় উৎসবের উদ্বোধনকালে সমাজ বদলের জন্য যুক্তফ্রন্ট গঠনের কথা উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নতি হয়েছে, পাকিস্তানেও উন্নতি ছিল। তবে আইয়ুব শাসনামলে গণতন্ত্র ছিল। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেটি পুঁজিবাদী উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ফলে বৈষম্য, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা ও দেশপ্রেমের অবনতি ঘটেছে। শতকরা ২০ ভাগ মানুষের উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলে সংগ্রাম করল। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, আজ বাংলাদেশও উপনিবেশ হয়ে উঠেছে। হয়ে উঠেছে ধনীদের উপনিবেশ, এ ধনীরা লুণ্ঠন করে ধনী হয়েছে যেভাবে আগে লুণ্ঠিত হয়েছে। ২৩ বছরের শোষণ গেল, ৫৩ বছরের উন্নতি হলো, কিন্তু সমাজ আগের জায়গায় রয়ে গেল।’

সমাজে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক রাজা-প্রজার মতো অতীতেও ছিল, এখনো রয়েছে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সংস্কারের মাধ্যমে কী সমাজবদল সম্ভব! বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসহ সবগুলোই বুর্জোয়া। যে দল পালিয়ে গেল তারা যেমন বুর্জোয়া ছিল, তেমনি আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারাও ওই একই ধারার। যে রাজনীতি বাংলাদেশে প্রয়োজন সেটি হলো বিরোধী রাজনীতি। এই রাজনীতির জন্য প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব। এই বিপ্লবের জন্য সাংস্কৃতিক বিপ্লব প্রয়োজন।’

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা মিললেও মুক্তি মেলেনি উল্লেখ করে ঢাবির এই ইমেরিটাস অধ্যাপক আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা পেলেও আমরা সমাজকে বদল করতে পারিনি। ফের ওই জমিদার-প্রজার সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাই ধনী-দরিদ্রের বিভাজন মুছে ফেলতে হবে। পুঁজিবাদী উন্নয়নের ধারাকে মুছে ফেলে সামাজিক মালিকানার উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। গ্রাম-গঞ্জে এই সংস্কৃতি চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে এবং পুরোটাই হবে আদর্শ নির্ভর। সেই আদর্শ হচ্ছে সমাজ বদলের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার মূলে রয়েছে সমাজ বিপ্লবের চেতনা। সেই আদর্শ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

তরুণদের সম্পৃক্ত করে সমাজের এ বিপ্লবের জন্য বাম ঘরনার যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের যুক্তফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ছোট ছোট দল রয়েছে। যারা ভেঙে ভেঙে ছোট হয়ে আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে। সে সব দলের উচিত একত্রে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা। এই যুক্তফ্রন্ট গঠন না হলে আমরা সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে পারব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তফ্রন্টে থাকবে বাম গণতান্ত্রিক, বামপন্থি এবং সমাজপন্থিদের ঐক্য। ১৯৫৪ সালে আমরা যুক্তফ্রন্ট দেখেছি, সেই যুক্তফ্রন্ট ছিল নির্বাচনের যুক্তফ্রন্ট। তবে এবার যুক্তফ্রন্ট হবে সমাজ পরিবর্তনের যুক্তফ্রন্ট। এ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনি যুক্তফ্রন্ট হবে না।’

গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের তিন দিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সমন্বয়ক জামসেদ আনোয়ার তপন, মুক্তিযোদ্ধা ও বাসদের সাবেক সম্পাদক খালেকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা নূর মুহাম্মদ, আরিফ রহমানসহ আরও অনেক বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী দিনের ওই সন্ধ্যায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোক প্রজ্জ্বলন, গান, কবিতা আবৃত্তি ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। শনিবার থেকে শুরু হওয়া ওই আয়োজন চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগের শাসনামলের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স) সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কমিশন সদস্যরা এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও এ সময় জানান গুম কমিশনের প্রধান। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের প্রধান ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং সাবেক এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গুমের এসব ঘটনায় বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র‌্যাব বিলুপ্তিরও সুপারিশ করেছে গুম কমিশন। 

প্রধান উপদেষ্টা গুম কমিশনের সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সময় গুম কমিশনকে কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। 

এ বিষয়ে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন, যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। তিনি জানান, গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তারা এখনো ট্রমায় ভুগছেন। 

প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর এ ধরনের ঘটনার রিপোর্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সদস্যরা অধ্যাপক ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিকটিমরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে সেগুলো দেখতে যাবেন। 

গুম কমিশন গঠন প্রক্রিয়া

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে গোপন বন্দিশালা বা তথাকথিত আয়নাঘর থেকে অনেকেই দীর্ঘদিন পর মুক্ত হন। এতে করে গুমের তদন্ত ও বিচারের দাবি আরও তুঙ্গে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সরকার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই কমিশনের কাছে ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন কিংবা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এরপর অপর এক প্রজ্ঞাপনে এই কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। 

কমিশনের আওতাধীন কর্মপরিধি

প্রজ্ঞাপনে বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাকেও কমিশনের তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলপ্রয়োগকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে কমিশনটি গঠন করা হয়েছে।’

যে উদ্দেশ্যে গুম তদন্ত কমিশন

২০১০-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল সেটা নির্ধারণ করাই এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা যায়। জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা এবং এ ব্যাপারে সুপারিশ প্রদান, গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে আত্মীয়স্বজনকে অবহিত করা ও গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।

অভিযোগ ওঠা কর্মকর্তাদের বক্তব্য নিয়েছে কমিশন

গুমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য গ্রহণ করেছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না বলা হলেও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন। প্রাথমিকভাবে গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলেও জানান গুম কমিশনের তদন্তসংশ্লিরা।

দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার আইন করা উচিত: সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পিএম
দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার আইন করা উচিত: সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ
ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতিবাজদের সংক্ষিপ্ত বিচারে (সামারি ট্রায়ালে) প্রকাশ্যে চাবুক মারার আইন করার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিচারপতি এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেন, এই আইনে ২ বছরের মধ্যে ৩ বার চাবুক মারার পর কোনো দুর্নীতিবাজ সংশোধন হলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ‘দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত প্রথম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও আবুল কালাম আজাদকে সদস্যসচিব ঘোষণা করে ৩৩ সদস্যের ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি গঠন করা হয়। 

কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। তারা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, উইং কমান্ডার (অব.) মীর আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মণ্ডল, শওকত আলী খান, এস কে ইসলাম, সৈয়দ আবদুল মুয়ীদ, প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. শফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শরীফ সাকি ও মনোয়ার শামস।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দিন, ড. আবদুল হক তালুকদার, উইং কমান্ডার (অব.) আমিনুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পারভীন নাসের খান ভাসানী, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান, শওকত আলী খান, আদিনা খান, সেলিনা আক্তার শ‍্যামলী, এ‍্যানী, এম এম সাদ প্রমুখ।

এলিস/মেহদী/এমএ/

সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই: সাবেক আইজিপি এনামুল হক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই: সাবেক আইজিপি এনামুল হক
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক আইজিপি ড. এম. এনামুল হকের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আ পোর্ট্রেট ইন রিফ্লেকশনস (A Portrait in Reflections)’ এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় এনামুল হক বলেন, ‘সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই।’ 

নিজের লেখা বই সম্পর্কে তিনি বলেন, বইটিতে আমার পরিবার, চাকরি জীবনের নানা ঘটনা এবং দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের সভাপতি আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, বইটিতে এনামুল হক স্যার তার কর্মজীবনের নানা স্মৃতি এঁকেছেন। তিনি অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন, দুঃখের কথা বলেছেন। 'বইটি পড়লে আমরা উপকৃত হব।’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেখকের সহকর্মী, পরিবারের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যরা।

আল-আমীন/মেহদী/এমএ/

ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
ঢাকায় আসছেন পূর্ব  তিমুরের প্রেসিডেন্ট
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় আসার কথা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। তার এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিকদের ভিসা অব্যাহতি এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত (এফওসি) দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। শনিবার রাত ১১টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সফরকালে তিমুরের প্রেসিডেন্ট রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি ও ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এর আগে সকালে তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। 

সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল সকালে রামোস হোর্তা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এরপর তিনি মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেবেন। এরপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশে তার দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা-পরবর্তী তিমুরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন। এদিন রাতেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। 

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ১০ বছরের ব্যবধানে এটি তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });