ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি: সারজিস আলম

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি: সারজিস আলম
ছবি : খবরের কাগজ

শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

শনিবার (৯ নভেম্বর) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সিলেটের শহিদ পরিবারের সদস্যদের চেক বিতরণ শেষে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট কথা, শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি, অর্ধলাখ মানুষ রক্ত দেয়নি। এই মানুষগুলো বিগত ১৬ বছর ধরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল করাপটেড সিস্টেমগুলোর জন্য। এই ১৬ বছরে একটি ব্যর্থ সিস্টেম ছিল এই নির্বাচন কমিশন। তাহলে ওই নির্বাচন কমিশনেরও সংস্কার প্রয়োজন। আপনি নির্বাচন কমিশনে যাদেরকে ভোটার তালিকা দিলেন, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জনবল সেট করে দিয়ে আপনি তালিকা পাঠালেন, এভাবে তো কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কোনোদিনও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে না। পুরো দেশে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন সেটাকে স্ট্যাবল অবস্থায় আসতে হবে। তা না হলে আপনি নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে জবরদখল দেখবেন। এই জবরদখল আমরা দেখতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনকেন্দ্রিক ইস্যুগুলোকে নিয়ে যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয় এগুলোর জন্য তো বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। এই বিচার ব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন। আমরা এখনো দেখছি হাইকোর্টে এমন কিছু দুসর ফ্যাসিস্টরা বসে আছে যারা তাদের যোগ্যতা বলে সেখানে যায়নি। তারা সেখানে গিয়েছে তোষামোদ ও তেলবাজী করে, দলের চাটুকারিতা করে। তাদেরকে ওই জায়গাগুলো থেকে অপসারণ হওয়া প্রয়োজন। এবং যারা ওই জায়গাগুলোর জন্য যোগ্য তাদের সেই জায়গাগুলোতে যাওয়া প্রয়োজন। তাহলে আমি নূন্যতম যদি চিন্তা করি এই ১৬ বছর ধরে বা বিগত ৫৩ বছর ধরে যে সংবিধান এই বাংলাদেশকে এই দেশের মানুষকে ৫ বছরের জন্য জনতার সরকার উপহার দিতে পারেনি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা বলেন, ‘প্রতি ৫ বছরে দেখেছি অনেক বড় বড় ইশতেহার দিয়ে নির্বাচন করে। পরে ক্ষমতায় আসার কয়েক সপ্তাহ পর তারা ভুলে যায় কি ইশতেহার দিয়েছিল। তারা ভুলে যায় তারা জনতার সরকার। সেই জায়গা থেকে যে সংবিধান আমার সাংবিধানিক অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারেনি সেখানে আমাদের জায়গা থেকে আমরা পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এবং তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন।’ 

নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো বলছি রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে তারপর নির্বাচনে যান? আমরা কখনো বলছি না আপনি পাঁচ-ছয় বছর এই সংস্কার করে যান। কিন্তু মিনিমাম একটা স্ট্যান্ডার্ড সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান তার জায়গা থেকে এটি চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। ১৬ বছর ধরে এই সিস্টেমকে ধীরে ধীরে ভেঙে শেষ করা হয়। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি এই সিস্টেমগুলো একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’

সংবিধান সংস্কারের অধিকার নিয়ে সারজিস বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি বড় বড় দলগুলো মিলে তার টনক বিন্দুমাত্র নড়াতে পারেনি। সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছিল বলেই এই অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এই অন্তর্বর্তী সরকার ২১ জনের সরকার না। এই অন্তর্বর্তী সরকার এই অভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছিল সমর্থন দিয়েছিল তাদের সবার সরকার। এবং এত জীবনের বিনিময়ে এত রক্তের বিনিময়ে এত মানুষের সমর্থনে অভ্যুত্থান হয়ে এই সরকার এসেছে। এটি বাংলাদেশের সরকার। সেই জায়গা থেকে এই সরকারের ওই অধিকার নৈতিকভাবে আইনগতভাবে অবশ্যই রয়েছে।

এর আগে সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে জুলাই শাহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সিলেটের ১৮ জন শহিদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে চেক দেওয়া হয়। 

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ জানান, সিলেটে সর্বমোট শহিদের সংখ্যা ৩২ জন। আমরা ৩২ জনকেই চেক দেব। কিন্তু ১৮ জনের কাগজপত্র সম্পন্ন হওয়ায় তাদেরকে আজকেই চেক দিতে পেরেছি। বাকি ১২ জনের কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা বাকি আছেন তাদেরকেও শিগগিরই চেক দেওয়া হবে। আমাদের জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সবাইকে ৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। 

শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগের শাসনামলের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স) সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কমিশন সদস্যরা এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও এ সময় জানান গুম কমিশনের প্রধান। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের প্রধান ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং সাবেক এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গুমের এসব ঘটনায় বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র‌্যাব বিলুপ্তিরও সুপারিশ করেছে গুম কমিশন। 

প্রধান উপদেষ্টা গুম কমিশনের সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সময় গুম কমিশনকে কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। 

এ বিষয়ে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন, যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। তিনি জানান, গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তারা এখনো ট্রমায় ভুগছেন। 

প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর এ ধরনের ঘটনার রিপোর্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সদস্যরা অধ্যাপক ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিকটিমরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে সেগুলো দেখতে যাবেন। 

গুম কমিশন গঠন প্রক্রিয়া

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে গোপন বন্দিশালা বা তথাকথিত আয়নাঘর থেকে অনেকেই দীর্ঘদিন পর মুক্ত হন। এতে করে গুমের তদন্ত ও বিচারের দাবি আরও তুঙ্গে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সরকার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই কমিশনের কাছে ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন কিংবা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এরপর অপর এক প্রজ্ঞাপনে এই কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। 

কমিশনের আওতাধীন কর্মপরিধি

প্রজ্ঞাপনে বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাকেও কমিশনের তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলপ্রয়োগকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে কমিশনটি গঠন করা হয়েছে।’

যে উদ্দেশ্যে গুম তদন্ত কমিশন

২০১০-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল সেটা নির্ধারণ করাই এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা যায়। জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা এবং এ ব্যাপারে সুপারিশ প্রদান, গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে আত্মীয়স্বজনকে অবহিত করা ও গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।

অভিযোগ ওঠা কর্মকর্তাদের বক্তব্য নিয়েছে কমিশন

গুমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য গ্রহণ করেছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না বলা হলেও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন। প্রাথমিকভাবে গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলেও জানান গুম কমিশনের তদন্তসংশ্লিরা।

দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার আইন করা উচিত: সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পিএম
দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার আইন করা উচিত: সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ
ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতিবাজদের সংক্ষিপ্ত বিচারে (সামারি ট্রায়ালে) প্রকাশ্যে চাবুক মারার আইন করার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিচারপতি এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেন, এই আইনে ২ বছরের মধ্যে ৩ বার চাবুক মারার পর কোনো দুর্নীতিবাজ সংশোধন হলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ‘দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত প্রথম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও আবুল কালাম আজাদকে সদস্যসচিব ঘোষণা করে ৩৩ সদস্যের ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি গঠন করা হয়। 

কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। তারা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, উইং কমান্ডার (অব.) মীর আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মণ্ডল, শওকত আলী খান, এস কে ইসলাম, সৈয়দ আবদুল মুয়ীদ, প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. শফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শরীফ সাকি ও মনোয়ার শামস।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দিন, ড. আবদুল হক তালুকদার, উইং কমান্ডার (অব.) আমিনুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পারভীন নাসের খান ভাসানী, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান, শওকত আলী খান, আদিনা খান, সেলিনা আক্তার শ‍্যামলী, এ‍্যানী, এম এম সাদ প্রমুখ।

এলিস/মেহদী/এমএ/

সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই: সাবেক আইজিপি এনামুল হক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই: সাবেক আইজিপি এনামুল হক
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক আইজিপি ড. এম. এনামুল হকের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আ পোর্ট্রেট ইন রিফ্লেকশনস (A Portrait in Reflections)’ এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় এনামুল হক বলেন, ‘সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই।’ 

নিজের লেখা বই সম্পর্কে তিনি বলেন, বইটিতে আমার পরিবার, চাকরি জীবনের নানা ঘটনা এবং দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের সভাপতি আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, বইটিতে এনামুল হক স্যার তার কর্মজীবনের নানা স্মৃতি এঁকেছেন। তিনি অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন, দুঃখের কথা বলেছেন। 'বইটি পড়লে আমরা উপকৃত হব।’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেখকের সহকর্মী, পরিবারের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যরা।

আল-আমীন/মেহদী/এমএ/

ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
ঢাকায় আসছেন পূর্ব  তিমুরের প্রেসিডেন্ট
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় আসার কথা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। তার এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিকদের ভিসা অব্যাহতি এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত (এফওসি) দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। শনিবার রাত ১১টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সফরকালে তিমুরের প্রেসিডেন্ট রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি ও ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এর আগে সকালে তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। 

সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল সকালে রামোস হোর্তা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এরপর তিনি মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেবেন। এরপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশে তার দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা-পরবর্তী তিমুরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন। এদিন রাতেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। 

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ১০ বছরের ব্যবধানে এটি তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।

ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আ.লীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আ.লীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
পুলিশের হাতে আটক হত্যা মামলার আসামিরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনার মামলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), পল্লবী থানার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), পল্লবী থানার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ এলাকার আবু তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ভিকটিম আকরামের পিতা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। 

সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মিরপুর ১১ থেকে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় জড়িত আসামি মো. মামুন ও মো. সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বিকালে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ এর পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন ভিকটিম মো. আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। 

এ ঘটনায় ভিকটিম আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ঘটনায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে হামলার ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান খবরের কাগজকে জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আল-আমীন/মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });