ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এলএনজি আমদানি দেশের জন্য আর্থিক বোঝা: আনু মুহাম্মদ

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
এলএনজি আমদানি দেশের জন্য আর্থিক বোঝা: আনু মুহাম্মদ
জাতীয় প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি এবং এলএনজির আমদানি দেশের জন্য আর্থিক বোঝা এবং প্রাণ-প্রকৃতির বিনাশের সঙ্গে জড়িত।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মার্কেট ফোর্সেস এবং ফসিল ফ্রি চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্পের ব্যয় ও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি হয়।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বিগত সরকার যে এনার্জি পরিকল্পনা তৈরি করেছে তা অনিবার্য ছিল না। এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রযুক্তিগত বিকাশ দামে সস্তা। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিগত সরকারের এই জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। নীতিগত জায়গা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে এই মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। পিএসসিসহ অন্যান্য সব নীতির পরিবর্তন না হলে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। এজন্য বাংলাদেশি পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করতে হবে আর বিদেশিদের দিয়ে প্রস্তুত সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ধরার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদাদের সভাপতিত্বে এবং ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া অ্যানার্জি অ্যানালিস্ট মুনিরা চৌধুরী। 

মার্কেট ফোর্সেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনালগুলির জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলোর কারণে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে, একই সাথে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ খরচের চাপে রয়েছে এবং ব্যয়বহুল আমদানি করা এলএনজির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নতুন বিশ্লেষণে আরও প্রকাশিত হয়েছে যে, যখন দেশটি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বিদ্যুতের চাহিদার সংকটে রয়েছে, এলএনজির ওপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের এ বিনিয়োগের পরিবর্তে বাংলাদেশ ৬২ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ।

ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই গ্যাস ও এলএনজি প্রকল্পগুলো আমাদের জনগণের সম্পদ দখল করে গড়ে উঠেছে। 

মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক এবং প্রতিবেদনটির লেখক মুনিরা চৌধুরী বলেছেন, অন্যায্যভাবে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে দূষণকারী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে নির্ভরশীল করার চেষ্টা করছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক এবং ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, জাইকা এবং আইইইজে কর্তৃক প্রণীত ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) অবশ্যই সংশোধন করা উচিত, কারণ এটি বাংলাদেশকে এলএনজির ওপর নির্ভরশীল করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক মুনিরা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানি টার্মিনাল এবং ৪১টি নতুন এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ। যার সম্মিলিত ক্ষমতা দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন বহরের চেয়ে বেশি।’

তিথি/এমএ/

বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চার দিনের সফরে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রেসিডেন্টের সফরে দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র। 

সফরকালে ১৫ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

পরদিন ১৬ ডিসেম্বর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন তিনি। সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এদিন বিকেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করতে বঙ্গভবনে যাবেন। পরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। সফর শেষে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ১০ বছরের ব্যবধানে এটি তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।

সমন্বয়ের অভাবে কমছে না ভয়াবহ বায়ুদূষণ

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম
সমন্বয়ের অভাবে কমছে না ভয়াবহ বায়ুদূষণ
ফাইল ছবি

বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে নির্মাণকাজ, যানবাহন, শিল্প কারখানা ও নগর ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা। এই সব উৎসের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন। ফলে আন্তমন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় না হলে পরিবেশ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের পক্ষে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ বড় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছেন তারা।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতায় যত নির্মাণকাজ হয় সবগুলোতেই বায়ুদূষণ হচ্ছে। তারা তাদের দায়িত্ব ভুলে বসে আছেন। প্রতিটা মন্ত্রণালয় যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে, বায়ুদূষণ কমানো পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। সত্যিকার অর্থে যদি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাই তাহলে আন্তমন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেশন খুবই দরকার।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুর মান ব্যবস্থাপনা শাখার উপপরিচালক বেগম শাহনাজ রহমান খবরের কাগজকে বলেন, আগে বিধিমালা ছিল। এখন সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান করা হচ্ছে। এখানে সবার দায়িত্ব নির্ধারণ করা আছে। সেই অনুযায়ী সবাই মিলে কাজ করলে বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) বায়ুর মান নিয়ে লাইভ স্কোর প্রকাশ করে থাকে। 

স্কোর অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান অধিকাংশ দিনই খুবই অস্বাস্থ্যকর কিংবা দুর্যোগপূর্ণ থাকছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার স্কোর ছিল ২২৯, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই স্কোর ভোররাত পর্যন্ত আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে দেখানো হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের করা গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বায়ুর মানে ঢাকার স্কোর ছিল ২৮৭। শুধু ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। এই সূচকে নারায়ণগঞ্জের স্কোর ছিল ৩৬৬, রাজশাহীর স্কোর ২৩৩, সাভারের স্কোর ৩১১ এবং কুমিল্লার ২২০। আর দূষণের উপাদান হিসেবে অধিকাংশ শহরে পিএম ২.৫ এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে যা বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তুকণা বুঝায়। গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার স্কোর ছিল ৩৪১।

তথ্য অনুযায়ী, যদি স্কোর ৫০-এর মধ্যে থাকে তাহলে বায়ুর মান ভালো হিসেবে ধরা হয়। আর ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সহনীয়, ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে থাকলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে থাকলে অস্বাস্থ্যকর এবং ২০০-৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুবই অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ৩০০ ছাড়ালে দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বাসার বাইরে গেলে মাস্ক পরা এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুইবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া সৃষ্টিকারী যানবাহন রাস্তায় বের না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অপরদিকে সময় যত গড়াচ্ছে বায়ুদূষণের মাত্রা তীব্র হচ্ছে। ক্যাপসের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, গত আট বছরে (২০১৬-২৩) নভেম্বরে দূষণের পরিমাণ ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আগে ঢাকার বায়ু মানের গড় স্কোর ছিল ১৭৬ দশমিক ৬৬ যা ২০২৪ সালের নভেম্বরে ছিল ১৯৫। বায়ুদূষণের পেছনে সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনার অভাবকেও দায়ী করেন অনেকে। ২০২৩ সালে বিআইপি প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। অথচ একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০-১৫ শতাংশ জলাশয় বা জলাধার থাকার কথা। একদিকে যেমন সবুজের পরিমাণ কমেছে আবার অন্যদিকে কংক্রিটের পরিমাণ বেড়েছে। ১৯৯৯ সালে যেখানে কংক্রিটের পরিমাণ ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ ভাগ, তা ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ। বাতাস চলাচলের করিডর সংকুচিত হওয়ায় নগরীতে তৈরি হচ্ছে হিট আইল্যান্ড বা তপ্ত দ্বীপ।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষুধা নিবারণে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তবুও ক্ষুধা নিবারণে বাংলাদেশে মাঝারি মাত্রার ঝুঁকি বিরাজ করছে বলে ‘বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক-২০২৪’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ওই প্রতিবেদন যৌথভাবে প্রকাশ করে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশ ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে। এ সূচকে ভারত ২৭ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে ১০৫তম এবং পাকিস্তান ২৭ দশমিক ৯ স্কোর নিয়ে ১০৯ম স্থানে রয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্ষুধা মোকাবিলায় অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুই দেশ নেপাল ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

সূচকে শ্রীলঙ্কা ১১ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে ৫৬তম এবং নেপাল ১৪ দশমিক ৭ স্কোর নিয়ে ৬৮তম স্থান দখল করেছে। 

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের পথে বাধা এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘অনিরাপদ কৃষি চর্চার ফলে আমরা নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে না।’ মাছসহ বাংলাদেশে যে রকম প্রাকৃতিক খাদ্য বৈচিত্র্য আছে তা রক্ষার ওপর জোর দেন তিনি। খাদ্য নিরাপত্তায় নারীর লোকজ জ্ঞানকেও গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। এ ছাড়া অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড খাদ্যব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড. মিশেল ক্রেজা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বহু খাতভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। দরিদ্র মানুষ অনেক সময় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দরিদ্রসহ অন্যান্য বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীকে আরও অগ্রাধিকার দিয়ে সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। 

স্বাগত বক্তব্যে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুধা হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, কিন্তু ২০২৪ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের দিকে তাকালে দেখা যায়, এখনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ক্ষুধার চক্রকে ভাঙতে আমরা কমিউনিটিভিত্তিক কর্মসূচি, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা ও জলবায়ু সহনশীলতার শক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ হাসান এবং বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সরকারের নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন অংশীদার, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও উন্নয়নকর্মীরা। তারা ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর করতে কার্যকর সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন।

তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টির কারণে সাধারণত নারী ও কন্যাশিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আবহাওয়ার চরম অবস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবেও বেশি ভোগান্তির শিকার হয়।

হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো আবু সাঈদের অসুস্থ বাবাকে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো আবু সাঈদের অসুস্থ বাবাকে
সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের অসুস্থ বাবা মকবুল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়েছে। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনা হয়। 

মকবুল হোসেন হৃদরোগ, কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, গত ৭ ডিসেম্বর জ্বর এবং পেটের পীড়া নিয়ে রংপুরের সিএমএইচে ভর্তি হন মকবুল হোসেন। পরে হৃদযন্ত্রের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখান থেকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে আর্মির হেলিকপ্টারে ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ১৬ জুলাই গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের হাতে শহিদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশনের সনদ তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মেহেদী

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৪৪

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৪৪
ডেঙ্গু (খবরের কাগজ গ্রাফিকস)

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৫৩৬ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া একই সময়ে মশাবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৬০৩ জন। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটির হাসপাতালে ২ এবং দক্ষিণ সিটির হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এ নিয়ে চলতি মাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হলো ৪৮ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা উত্তরে ৮৪ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৭৮, ঢাকা বিভাগে ৯৬, বরিশাল বিভাগে ২৩, চট্টগ্রামে ৭৩, খুলনায় ৪৫, ময়মনসিংহে ১৩, রাজশাহীতে ২৭, রংপুরে ৩ এবং সিলেটে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ১৩৪ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫১৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ৯৫ হাজার ১৫১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছর সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে নভেম্বর মাসে, ১৭৩ জন। গত মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৫২ জন। আর এর আগের মাস অক্টোবরে এই বছরের সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই মাসে মারা গেছেন ১৩৪ জন। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। এ বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });