ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সেমিনারে নৌপরিবহন উপদেষ্টা স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এএম
স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য
ছবি: সংগৃহিত

পুলিশকে মানবিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 


গতকাল শনিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত রাষ্ট্রব্যবস্থার চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ এখন আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না। দানবিক পুলিশ থেকে মানবিক পুলিশ গঠন করতে হলে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। 


কমিশনের সদস্যসংখ্যা পাঁচের বেশি না হওয়ার বিষয়ে মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এই উপদেষ্টা।


এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি। পুলিশের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ কমিয়ে দুই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত কম। তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে পদে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন সেই পদ থেকেই অবসরে যান। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট যখন পদোন্নতির কোনো আশা দেখেন না, তখন তিনি হতাশ হন। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। নিচের দিকের পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। 


সেমিনারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম, পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং সমাজবিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা পুলিশ সংস্কারের সম্ভাব্য রোডম্যাপ এবং একটি সম্ভাব্য পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম জহিরুল ইসলাম, ডিআইজি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুবুল করিম। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী।

ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
ঢাকায় আসছেন পূর্ব  তিমুরের প্রেসিডেন্ট
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় আসার কথা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। তার এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিকদের ভিসা অব্যাহতি এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত (এফওসি) দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। শনিবার রাত ১১টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সফরকালে তিমুরের প্রেসিডেন্ট রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি ও ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এর আগে সকালে তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। 

সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল সকালে রামোস হোর্তা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এরপর তিনি মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেবেন। এরপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশে তার দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা-পরবর্তী তিমুরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন। এদিন রাতেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। 

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ১০ বছরের ব্যবধানে এটি তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।

ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আ.লীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আ.লীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
পুলিশের হাতে আটক হত্যা মামলার আসামিরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনার মামলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), পল্লবী থানার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), পল্লবী থানার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ এলাকার আবু তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ভিকটিম আকরামের পিতা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। 

সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মিরপুর ১১ থেকে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় জড়িত আসামি মো. মামুন ও মো. সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বিকালে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ এর পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন ভিকটিম মো. আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। 

এ ঘটনায় ভিকটিম আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ঘটনায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে হামলার ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান খবরের কাগজকে জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আল-আমীন/মাহফুজ/এমএ/

প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি হয়েছে গত ১৫ বছর: শিল্প উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি হয়েছে গত ১৫ বছর: শিল্প উপদেষ্টা
রসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: খবরের কাগজ

বিগত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স) বসিয়ে রাখা হয়েছিল, নতুন করে কোনো গ্যাস খনন করা হয়নি। প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি হয়েছে গত ১৫টি বছর। দেশ বর্তমানে গ্যাস-সংকটের মধ্যেই আছে। গ্যাস-সংকট কেটে গেলে সারের ঘাটতি থাকবে না।

শনিবার (১৪ ‍ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে ভোলা থেকে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা চলছে। দেশে সারের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা চলছে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, যে অবস্থা ফ্যাসিবাদের হাতে ছিল এত বছর, গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসে জনগণের কাছে নিয়ে আসা। অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটানো, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ শুরু করে দেওয়া।’

এ সময় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরি, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শাওন খন্দকার শাহিন/এমএ/

গণহত্যায় জড়িতদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: সারজিস

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
গণহত্যায় জড়িতদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: সারজিস
রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে বক্তব্য রাখেন সারজিস আলম। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউণ্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘পুলিশ হোক বা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরিচয় যা-ই হোক গণহত্যায় যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যদি ডকুমেন্ট থাকে তাহলে আমাদের কাছে তার একমাত্র পরিচয় একজন খুনি, হত্যাকারী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৬২ জন শহিদ পরিবারের মধ্যে ৪২ জনের পরিবারের প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের লাশ উত্তোলন করা যাবে না উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারের জন্য যদি ডেডবডি কবর থেকে তোলা না হয়, তাহলে এই চব্বিশের অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ আনতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন—কেন তাদের লাশ উত্তোলন করতে হবে? তাই চব্বিশের অভুত্থানে যারা শহিদ হয়েছে তাদের হত্যা মামলার জন্য কারও লাশ উত্তোলন করা যাবে না। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, বিচারিক যে মন্ত্রণালয় রয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলকে একটি কথা বলে দিতে চাই- যে ভাইয়ের জীবনের রক্তের ওপরে ওই চেয়ারে আপনারা বসে রয়েছেন, আপনারা চার মাস পর তাদের লাশ উত্তোলন করতে পারেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা পিপাসু নই, বিবেকবোধের জায়গায় যদি আমাদেরও মনে হয়, আপনারা যারা এই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, এমনকি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসও যদি হয়, আমরা তাকেও ছেড়ে কথা বলবো না। আমরা বিবেকবোধ বিক্রি করে দেওয়া ওই প্রজন্ম না। বিবেকবোধ বেঁচে দেওয়া ওই প্রজন্ম হলে ভারতের দালালি করতাম। কিন্তু আমরা তা করি নাই, করবো না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, পৃথিবীর যে কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সমতা এবং মর্যাদার। কেউ বিন্দুমাত্র ডমিন্যান্ট করার চেষ্টা করলে তার সঙ্গে চোখ রাঙিয়ে কথা হবে, পুলিশের সামনে বুক পেতে দেওয়া হবে।’

প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী হবে সেটা আপনারা আপনাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন। হাসিনা এতগুলো মানুষকে খুন করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যে দেশে গেছে, বাংলাদেশের মানুষের দ্বারা তাড়িত হয়ে যাওয়া সেই খুনি হাসিনাকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছেন। যদি এই বাংলাদেশের সঙ্গে আপনারা সম্পর্ক স্থাপন করতে চান, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিন। তার বিচার এই বাংলাদেশের মানুষ করবে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের এই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ভুলে গিয়ে যদি ক্ষমতার দিকে তাকিয়ে থাকে, সেটা যদি নাহিদ, আসিফ, সারজিস, হাসনাতও হয় আপনারা তাদের বিরুদ্ধেও কথা বলবেন। এই বাংলাদেশে আর যেন কোনো ক্ষমতাপিপাসু নরপিশাচের জায়গা না হয়।’

এখনো আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সারজিস বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের চার মাস পেরিয়েছে। খুনি হাসিনার অন্যতম দোসর নাটোরের খুনি এমপি শিমুল আজও আমাদের সামনে রয়েছে। আজও পাবনার সাঈদ চেয়ারম্যান, এই বাংলাদেশে তার অস্তিত্ব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই খুনিরা প্রকাশ্যে আমার ভাইদের পুড়িয়ে মেরেছে, গুলি করে হত্যা করেছে। যে শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকে আপনারা উপদেষ্টা, পুলিশ সুপার, আইজিপি, ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে এই বেইমানি কীভাবে সম্ভব?’

সারজিস আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল খুনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে টাকার বিনিময়ে বাঁচানোর জন্য ব্যাকডোরে নেগোশিয়েশন করছে। এই যে মামলা বাণিজ্য, এতে রাজনৈতিক দল যেমন জড়িত রয়েছে তেমনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও জড়িত রয়েছেন। নতুন বাংলাদেশেও পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় মামলাবাণিজ্য করছে।’

পুলিশ দায়িত্বশীল হলে আগামী ছয় মাসেই বাংলাদেশ ঠিক হয়ে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের দালালি আপনাদের কাছ থেকে আমরা প্রত্যাশা করি না। আপনারা এটা করবেন না।’

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহরাব সিফাত, মোবাশ্বেরুজ্জামান, মাহিন সরকার, ‍রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান বক্তব্য রাখেন। 

এ সময় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারসহ শহিদদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/নাবিল/এমএ/

বিএসএমএমইউতে মাহবুব উর রাহমানের মরণোত্তর দেহদান

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
বিএসএমএমইউতে মাহবুব উর রাহমানের মরণোত্তর দেহদান
বিএসএমএমইউতে মাহবুব উর রাহমানের মরণোত্তর দেহদান। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাহবুব উর রাহমানের (৭৪) মরণোত্তর দেহদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় তার ছেলে জ্যোতির্ময় রহমান ও মেয়ে উজ্জয়ী রহমান  দেহ হস্তান্তর করেন।

বিএসএমএমইউ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম এবং এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। 

এমবামিং প্রক্রিয়া শুরুর প্রাক্কালে এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিনের পরিচালনায় এবং এনাটমি বিভাগের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়। 

উপাচার্য এই ধরণের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। মরণোত্তর দেহ দানকারী মাহবুব উর রাহমানের ছেলে জ্যোতির্ময় রহমান ও মেয়ে উজ্জয়ী রহমানসহ পরিবারের সবাইকে এই ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সকল মানুষের প্রতি এরকম মহতী কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ সাওন/নাবিল/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });