ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

এই সরকারের বৈধতা হলো গণ-অভ্যুত্থান: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
এই সরকারের বৈধতা হলো গণ-অভ্যুত্থান: আসিফ মাহমুদ
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বর্তমান সরকারের বৈধতা হলো গণ-অভ্যুত্থান।

রবিবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সরকারকে বৈধতা দিতে অধ্যাদেশ হচ্ছে এবং সংস্কার কাজ কতদূর এগোলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের বৈধতা হলো গণ-অভ্যুত্থান। যেটা সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা হচ্ছে লিগ্যাল রেটিফিকেশন এবং অন্যান্য বিষয়। গত তিন মাস আমাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি আপনারা দেখেছেন। সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত বসছেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম চলবে।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্যই সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার রূপরেখা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আশা করি একটি নতুন বাংলাদেশ যেটার কথা মুখে বলছি, সেটার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে ১০৬-এ (সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ) এ সরকারের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। যে অর্ডিন্যান্সের কথা বলা হচ্ছে সেটার মাধ্যমে আরও লিগ্যাল রেটিফিকেশন হবে।’

এ সময় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রমিকদের বকেয়া সরকার দিতে গেলে দেশের রাজস্ব খালি হয়ে যাবে।’ 

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের যারা বেতন দিচ্ছে না সেসব মালিককে ধরে এনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট আটকে রাখা হচ্ছে। যাতে বিদেশ পালিয়ে না যায়।’

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আগের মতো শ্রমিক মেরে সমস্যা সমাধান নয়, বেতন পরিশোধের জন্য মালিকদের সহযোগিতা করছি। তবে তাৎক্ষণিক সমাধান একটি জটিল বিষয়।’ 

আগের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সভায় বাংলাদেশকে অপদস্থ হতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবারের আইএলওর কাছে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ইতিবাচক এবং প্রশংসনীয়। আইএলওর করা মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।’

তপন/সালমান/

সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদকে ঘিরে ভিড় বেড়েছে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাটে। ফিরেছে পুরোনো ব্যস্ততা। বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। কোলাহলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সদরঘাট টার্মিনাল এলাকা। এদিন বাড়তি ভাড়া যেন না নেওয়া হয়, এ বিষয়ে সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

বুধবার (৪ জুন) সদরঘাট এলাকার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ি ফিরতে টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড়। অগ্রীম টিকিট কেটে রেখেছেন অনেকেই। কেউ এসে টিকিটের জন্যে অপেক্ষা করছেন। কেবিনের চাহিদা থাকলেও সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তবে কেবিনের চেয়ে বেশি ভিড় লঞ্চের ডেকে।

বরিশালগামী যাত্রী আনোয়ার আলী বলেন, আমরা এসে শুনলাম কেবিনের টিকিট শেষ। ডেকেই যাব। বাড়িতো যেতেই হবে।

কর্ণফুলী লঞ্চের স্টাফ তোহা আলম জানায়, আজ থেকে চাপ বেশি হবে। আবহাওয়া ভালো থাকলেই হয় এখন। অগ্রীম টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে।

জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে ৪৪টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আরও প্রায় ৪০টি লঞ্চ বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাবে রাত পর্যন্ত। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সদরঘাট নৌ টার্মিনালের যুগ্ম পরিচালক মুহম্মদ মোবারক হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, আজকে (বুধবার) বিকেল ৫টার পর থেকেই ভালো ভিড় হয়েছে ঘাটে। এখন পর্যন্ত ৪৪টা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাতে আরও বেশি ছেড়ে যাবে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

যেমন থাকবে ঈদের দিনের আবহাওয়া

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
যেমন থাকবে ঈদের দিনের আবহাওয়া
ছবি: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ঈদের দিন (৭ জুন) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বুধবার (৪ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (ঈদের দিন) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

পরদিন রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। 

দুই নদীর পানি বিপৎসীমায়
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র জানায়, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরে পানির সমতল কমতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

জুনে তাপপ্রবাহ, বন্যার পূর্বাভাস
চলতি জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ মাসে দেশে ৬-৮ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসে দেশে ১-২টি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৭.৯°সে.) থেকে মাঝারি (৩৮-৩৯.১° সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

গুমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে সমাজের ভদ্র লোকেরা: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
গুমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে সমাজের ভদ্র লোকেরা: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশন সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।

একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে, জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।’

কমিশন সদস্যরা জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং তার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিনশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান তারা। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন প্রধান।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেন তিনি। অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।’

সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া। সূত্র: বাসস 

ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে ইসি দায়িত্ব শেষ করেছে: ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে ইসি দায়িত্ব শেষ করেছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার দায়িত্ব শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির ৬ষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।  

ইসি সানাউল্লাহ জানান, আজ (বুধবার) কমিশন সভায় আদালতের রায় ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত এই যে, যেহেতু গেজেট বহাল রয়েছে, শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকারের। সেক্ষেত্রে নতুন কোনো পদক্ষেপ ইসির নেওয়ার প্রয়োজন নেই। শপথের বিষয়টি সরকারের হওয়ায় ইসি আর কোনো আইনি পদক্ষেপ বা মন্ত্রণালয়ে কোনো ধরনের চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করে। 

তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় নোটিফিকেশনেরর মাধ্যমে তথা তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় গেজেট পাবলিকেশনের মাধ্যমে। তাই আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে। নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এ পর্যায়ে সমাধান কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে বলতে পারি, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে গেজেট পর্যন্ত পাবলিশ করা আর শপথের ব্যাপারটি স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে কারা এটা এডমিনিস্টার করবে। আমরা যেটা বলেছি, আমাদের চিঠির মাধ্যমে যে এখানে যদি আইনি কোনো ধরনের জটিলতা না থাকে বা অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে, তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। এখন আর কোনো (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে) চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি না।’ 

গত ২৭ এপ্রিল কমিশন ইশরাকের গেজেট করে। গেজেট প্রকাশ করার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসি সচিবালয় চিঠিও পাঠানো হয়। সেই গেজেট এখনও বহাল রয়েছে।

এলিস/

নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর: গোয়েন লুইস

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর: গোয়েন লুইস
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে কখন নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, নির্বাচন আগে না সংস্কার এটা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে। এতে জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই।

বুধবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিক্যাব টকে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি আরও বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন মানে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নয়। জাতিসংঘের সংজ্ঞা মতে সমাজে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণকেই অংশগ্রহণমূলক বলা হয়।

এই সময় ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত জানিয়ে তিনি বলেছেন, শিগগিরই ছোট আকারে অফিস চালু হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গোয়েন লুইস বলেছেন, তাদের কাজ খুবই জটিল। জাতিসংঘ মনে করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতে এটি সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।