ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

নরওয়ের সঙ্গে নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
নরওয়ের সঙ্গে নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার
ছবি: পিআইডি

নরওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সোনালী প্রবেশদ্বার। সরকার চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সফলভাবে নৌবাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। 

বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে আরএমজি (রেডিমেড গার্মেন্টস) পণ্য রপ্তানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নরওয়েতেও বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নরওয়েসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশসমূহ থেকে বাংলাদেশও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়মিত আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশের আরএমজি পণ্য ইতোমধ্যে নরওয়ের বাজারে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহতে কার্গো পৌঁছাতে ৪০ থেকে ৪৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগে, যেখানে নরওয়েতে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। এতে গড়ে ১৮ থেকে ২৩ দিন কম সময় লাগবে। এছাড়াও, মালমাল বহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এ প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি বিশেষ নৌ-চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন বলে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভূ-কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ হাবে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও আমাদের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দুটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। মোংলা বন্দরকে একটি গ্রীনপোর্ট হিসেবে তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ দুটি বন্দরের ডকইয়ার্ড নির্মাণেই নরওয়ে কারিগরি ও আর্থিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নরওয়ে সরকারের মতো বাংলাদেশ সরকারও সমুদ্রে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বন্দরগুলোকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনতে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। নরওয়ে সরকার বাংলাদেশের বন্দরগুলোকে গ্রীন পোর্টে রূপান্তরিত করতে সহযোগিতা করতে পারে বলে এসময় জানান উপদেষ্টা।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এ সকল বিষয়ে বাংলাদেশকে নরওয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি জাহাজ চলাচলের বাতিঘর নির্মাণসহ জাহাজে বিদ্যুতায়ন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশগ্রহণ রয়েছে। মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার (আইএমও) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টরের বিভিন্ন নীতি নির্ধারনী বিষয়েও বাংলাদেশের ভূমিকা রয়েছে মর্মে তিনি মত প্রকাশ করেন। উপদেষ্টা আসন্ন ২০২৫ সালে আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে।

আনিসুর রহমান তপন/এমএ/

ডিসি সম্মেলন ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
ডিসি সম্মেলন ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিসি (জেলা প্রশাসক) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সকাল সাড়ে ১০টায় এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এর আগে গত সপ্তাহে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করার অনুমতি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সারসংক্ষেপ অনুমোদন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জানান, এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এখন শুধু তারিখ আর উদ্বোধনের সময় অনুমোদন হয়েছে। অধিবেশনের বিস্তারিত কার্যসূচি পরে নির্ধারিত হবে।

জানাগেছে, এই বিভাগ সারসংক্ষেপে ডিসি সম্মেলনের সাধারণ রেওয়াজগুলো (বিভিন্ন অধিবেশন) সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে ধারণা দেওয়ার কাজটি করা হয়ে থাকে। সারসংক্ষেপের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় তারিখ নির্ধারণসহ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশন(কার্যসূচি) ও অন্যন্য বিষয়ে নির্দশনা দিয়ে থাকেন।

ডিসিরা মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়, উন্নয়ন কর্মসূচি ও অন্যান্য বিষয়ে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে থাকেন ডিসিরা। এ জন্য এ সম্মেলন ও তাদের প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।

উল্লেখ্য গত বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন) ৩ থেকে ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আনিসুর রহমাম তপন/এমএ/

১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা
বিবিসির জরিপে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। এতে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু।

পেশায় নার্স রিক্তা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’ নামে  প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি নিজের অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারেননি। এরপর তিনি নিজের জমি বিক্রি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এখন স্কুলটিতে ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে।

স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য করা হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের সেবা দিয়ে থাকে। সূত্র: বিবিসি

সুমন/অমিয়/

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, কিন্তু তারা যদি আমাদের সঙ্গে পায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চায় তাহলে বাংলাদেশি কেউ আর ভারতমূখী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমাদের দেশে অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখব এবং সরকারের কাজই হলো এটি। অনেকেই তাদের মিডিয়াতে এসে হুমকি দিচ্ছেন। দয়া করে এটি আর করবেন না।’

বন্দরের নির্মাণকাজে অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, ‘পূর্বে যারা কাজটির অনিয়ম বা চুরি করেছে, তাদেরকে আর জাল দিয়ে ধরে আনা যাবে না। এখন যাতে কোন ধরনের চুরি না হয় সেটাই আমাদের দেখা দরকার। নানা কারণে কাজটি করতে দেরি হচ্ছে। যে কারণে নিজেই দেখার জন্য এসেছি। যে প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছে, তাদের আগেই চিন্তা করা দরকার ছিল যে কাজটিতে চ্যালেঞ্জ আছে। যদি তাদের কারণে বিশ্বব্যাংকের এই বরাদ্দ ফেরত যায়, তাহলে এই ঠিকাদারকে ধরব।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে একটি ভাল প্রকল্প হচ্ছে, আমি চাঁদপুরবাসীর কাছে অনুরোধ করব, আপনাদের যা যা সহযোগিতা করা দরকার, তাই করুন। অনেকে এখানে অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা তুলেছেন। আমরা কারও সঙ্গে আপোষ করব না।’

মেঘনায় ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে আসার সময় চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জের মাঝামাঝি ষাটনল এলাকায় দেখেছি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমাকে দেখে তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমি ছবি তুলে রেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ডেকেছি।’

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তসহ বিআইডাব্লিউটিএর স্থানীয় কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তাওফিক/অমিয়/

মেরিন ক্যাডেটরা হবে সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
মেরিন ক্যাডেটরা হবে সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ক্যাডেটদের হাতে পদক তুলে দিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরিদা আখতার বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি হতে চলেছে। কঠোর অধ্যবসায় এবং প্রগাঢ় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান ক্যাডেটদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির প্রধান ভিত্তি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা, মূল্যবোধ এবং দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠা। এই বোধগুলো আত্মস্থ করে ক্যাডেটরা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের জনসাধারণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল ও প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়নের মাধ্যমে এ একাডেমিকে যুগোপযোগী মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের আধার বঙ্গোপসাগর প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের জনগণের আমিষের চাহিদা মেটাতে বিপুল পরিমাণ মৎস্য সম্পদ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। এই বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্যসম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণসহ এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশদূষণ রোধে ক্যাডেটদের সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে ক্যাডেটরা যোগ দিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধিশালী করবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করবে।

এ সময় ফরিদা আখতার সাফল্যের স্বীকৃতি পুরস্কার হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। 

এর আগে চলতি বছর একাডেমির ৪৩তম ব্যাচে ১২ জন নারীসহ মোট ১০৬ জন ক্যাডেট পাসড আউট হন। 

এ বছর ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। 

তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. রায়হান হোসেন মজুমদার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. জোবায়ের আব্দুল্লাহ্ এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক অর্জন করেন। এ ছাড়া মহিলা ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ক্যাডেট শারমিন সুলতানা 'বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল অর্জন করেন।

মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমোডর মো. মনির উদ্দিন মল্লিক, বিএন, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন মো. ইবনে কায়সার তৈমুর এবং ন্যশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। 

ক্যাডেটদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন শিপিং এজেন্সির প্রতিনিধিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পপি/

বিচার বিভাগ সংস্কারে মতামত চেয়েছে কমিশন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
বিচার বিভাগ সংস্কারে মতামত চেয়েছে কমিশন
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন

অংশীজনদের কাছ থেকে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট মতামত ও প্রস্তাব চেয়েছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

এই কমিশনের সচিব মোহাম্মদ ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের জন্য কমিশন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। 

ওয়েবসাইটটির ঠিকানা; www.jrc.gov.bd

ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শ্রেণির জনগোষ্ঠী, অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পৃথক প্রশ্নমালা সন্নিবেশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রযোজ্য প্রশ্নমালা পূরণ করে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত দিতে জনসাধারণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

এ ছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে কারও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে কমিশন।

প্রস্তাবের সফটকপি কমিশনের ই-মেইলে ([email protected]:,[email protected]) এবং প্রস্তাবের মুদ্রিত কপি কমিশনের ঠিকানায়: বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ১৫ কলেজ রোড, ঢাকা-১০০০ এ পাঠানো যাবে।’

অমিয়/