ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলেনি: দুদক আইনজীবী

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলেনি: দুদক আইনজীবী
বেগম খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কোনো অর্থ আত্মসাৎ হয়নি বলে তদন্ত শেষে রবিবার  (১০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান। এই মামলায় হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির শেষ দিনে আদালতকে তিনি এ তথ্য জানান।

এদিকে শুনানি শেষ হওয়ায় সোমবার (১১ নভেম্বর) এ বিষয়ে রায় (আদেশ) ঘোষণা করতে পারেন সর্বোচ্চ আদালত। 

রবিবার আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান আদালতে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি মামলার নথি থেকে খালেদা জিয়া এ মামলার অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন- এমন উপাদান পেশ করেন। মামলার চার্জশিট পড়ে আদালতকে তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমরা জিয়া অরফানেজের এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের তথ্য পেয়েছি, তবে এখানে অর্থ আত্মসাতের কোনো প্রমাণ পাইনি। মামলার এফআইআরে অর্থ আত্মসাতের তথ্য মেলেনি। বরং সুদে-আসলে সব অর্থ ব্যাংকেই জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।’

এর ফলে এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া তার খালাসের বিরুদ্ধে আজ আপিলের অনুমতি পেতে পারেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া। পরে গত ৪ নভেম্বর তার ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের ওপর শুনানির জন্য গতকাল আপিল বিভাগে শুনানি নেন চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে এ মামলায় বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে। কারণ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের জবানবন্দি ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। খালেদা জিয়ার এ জবানবন্দি তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে। 

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে বিচারের প্রেক্ষাপট, হয়রানির বিষয় এবং বিচার বিভাগের ওপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণের নানা দিক তুলে ধরেন। আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আইনগতভাবে এই মামলার মোকাবিলা করব। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়।’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাকি চার আসামি হলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন।

একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। পরে সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। আর সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি শেষ হয় রবিবার।

এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি। 

তবে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমার পরও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। মামলাটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে তিনি আইনজীবীদের বলেছেন।

তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছেন তিনি। 

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাইকমিশন প্রাঙ্গণ থেকে পতাকা খুলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

পরে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিতে দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

সালমান/

ডিসি সম্মেলন ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
ডিসি সম্মেলন ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিসি (জেলা প্রশাসক) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সকাল সাড়ে ১০টায় এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এর আগে গত সপ্তাহে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করার অনুমতি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সারসংক্ষেপ অনুমোদন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জানান, এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এখন শুধু তারিখ আর উদ্বোধনের সময় অনুমোদন হয়েছে। অধিবেশনের বিস্তারিত কার্যসূচি পরে নির্ধারিত হবে।

জানাগেছে, এই বিভাগ সারসংক্ষেপে ডিসি সম্মেলনের সাধারণ রেওয়াজগুলো (বিভিন্ন অধিবেশন) সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে ধারণা দেওয়ার কাজটি করা হয়ে থাকে। সারসংক্ষেপের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় তারিখ নির্ধারণসহ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশন(কার্যসূচি) ও অন্যন্য বিষয়ে নির্দশনা দিয়ে থাকেন।

ডিসিরা মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়, উন্নয়ন কর্মসূচি ও অন্যান্য বিষয়ে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে থাকেন ডিসিরা। এ জন্য এ সম্মেলন ও তাদের প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।

উল্লেখ্য গত বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন) ৩ থেকে ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আনিসুর রহমাম তপন/এমএ/

১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা
বিবিসির জরিপে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। এতে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু।

পেশায় নার্স রিক্তা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’ নামে  প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি নিজের অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারেননি। এরপর তিনি নিজের জমি বিক্রি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এখন স্কুলটিতে ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে।

স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য করা হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের সেবা দিয়ে থাকে। সূত্র: বিবিসি

সুমন/অমিয়/

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, কিন্তু তারা যদি আমাদের সঙ্গে পায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চায় তাহলে বাংলাদেশি কেউ আর ভারতমূখী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমাদের দেশে অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখব এবং সরকারের কাজই হলো এটি। অনেকেই তাদের মিডিয়াতে এসে হুমকি দিচ্ছেন। দয়া করে এটি আর করবেন না।’

বন্দরের নির্মাণকাজে অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, ‘পূর্বে যারা কাজটির অনিয়ম বা চুরি করেছে, তাদেরকে আর জাল দিয়ে ধরে আনা যাবে না। এখন যাতে কোন ধরনের চুরি না হয় সেটাই আমাদের দেখা দরকার। নানা কারণে কাজটি করতে দেরি হচ্ছে। যে কারণে নিজেই দেখার জন্য এসেছি। যে প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছে, তাদের আগেই চিন্তা করা দরকার ছিল যে কাজটিতে চ্যালেঞ্জ আছে। যদি তাদের কারণে বিশ্বব্যাংকের এই বরাদ্দ ফেরত যায়, তাহলে এই ঠিকাদারকে ধরব।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে একটি ভাল প্রকল্প হচ্ছে, আমি চাঁদপুরবাসীর কাছে অনুরোধ করব, আপনাদের যা যা সহযোগিতা করা দরকার, তাই করুন। অনেকে এখানে অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা তুলেছেন। আমরা কারও সঙ্গে আপোষ করব না।’

মেঘনায় ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে আসার সময় চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জের মাঝামাঝি ষাটনল এলাকায় দেখেছি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমাকে দেখে তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমি ছবি তুলে রেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ডেকেছি।’

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তসহ বিআইডাব্লিউটিএর স্থানীয় কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তাওফিক/অমিয়/

মেরিন ক্যাডেটরা হবে সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
মেরিন ক্যাডেটরা হবে সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ক্যাডেটদের হাতে পদক তুলে দিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরিদা আখতার বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি হতে চলেছে। কঠোর অধ্যবসায় এবং প্রগাঢ় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান ক্যাডেটদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির প্রধান ভিত্তি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা, মূল্যবোধ এবং দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠা। এই বোধগুলো আত্মস্থ করে ক্যাডেটরা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের জনসাধারণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল ও প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়নের মাধ্যমে এ একাডেমিকে যুগোপযোগী মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের আধার বঙ্গোপসাগর প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের জনগণের আমিষের চাহিদা মেটাতে বিপুল পরিমাণ মৎস্য সম্পদ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। এই বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্যসম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণসহ এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশদূষণ রোধে ক্যাডেটদের সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে ক্যাডেটরা যোগ দিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধিশালী করবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করবে।

এ সময় ফরিদা আখতার সাফল্যের স্বীকৃতি পুরস্কার হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। 

এর আগে চলতি বছর একাডেমির ৪৩তম ব্যাচে ১২ জন নারীসহ মোট ১০৬ জন ক্যাডেট পাসড আউট হন। 

এ বছর ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। 

তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. রায়হান হোসেন মজুমদার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. জোবায়ের আব্দুল্লাহ্ এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক অর্জন করেন। এ ছাড়া মহিলা ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ক্যাডেট শারমিন সুলতানা 'বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল অর্জন করেন।

মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমোডর মো. মনির উদ্দিন মল্লিক, বিএন, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন মো. ইবনে কায়সার তৈমুর এবং ন্যশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। 

ক্যাডেটদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন শিপিং এজেন্সির প্রতিনিধিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পপি/