রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বৈদেশিক ঋণে নিত্যপণ্য আমদানির সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মোট ১১টি পণ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য ঋণ (বায়ার্স বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট) সুবিধা নিতে পারবেন আমদানিকারকরা। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর।
বায়ার্স বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট হলো স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ। বায়ার্স ক্রেডিটের ক্ষেত্রে এদেশীয় আমদানিকারক তার ব্যাংকের সহায়তায় বিদেশি ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানি করার সুবিধা পায়। সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় সাধারণত বিদেশি পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বা রপ্তানিকারক নিজেই বাকিতে ক্রেতাকে পণ্য দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (১১ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, পবিত্র রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিত্যপণ্যের আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে বিক্রয় মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এ সুবিধার আওতায় আমদানি করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে ওই সব পণ্য আমদানিতে ব্যাংকগুলোকে শূন্য মার্জিনে বা নগদ পরিশোধ ছাড়াই ঋণপত্র স্থাপনের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার কথাও বলা হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লিখিত পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার প্রদান ও একক গ্রাহক ঋণসীমা তুলে দিতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘আগামী রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহে যেন কোনো সংকট না হয় সে জন্য আমদানি নীতিমালা সহজীকরণ করা হয়েছে। দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সংকট নেই। তাই আমদানিতে প্রয়োজনীয় ডলারের সংকট হবে না।