কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সব সময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দাওয়াত ও তাবলীগ হেফাজতের লক্ষ্যে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা মো. ফজলুল করীম কাসেমী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ওলামাবিদ্বেষী, টঙ্গীতে মানুষ হত্যাকারী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাদপন্থিদের কাকরাইল ও টঙ্গীতে কোনো অধিকার নেই, থাকার কোনো প্রশ্নই নেই।’
মো. ফজলুল করীম কাসেমী বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা দুর্নীতিবাজদের তেলমর্দন করে মদদ দিয়েছে, ভোটারবিহীন নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দলীয় কর্মী হিসেবে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছে, আজকে প্রায় ষাটের অধিক আলেম-ওলামাসহ দুই হাজারের অধিক শহিদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের আস্থার প্রতীক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সমন্বয়কদের আশপাশে ওই সাদপন্থিদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী মতলববাজদের কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরামর্শে কান দেওয়া যাবে না। কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সব সময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশ এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে, দেশবাসী আলোর মুখ দেখার প্রহর গুনছে। সরকার দেশবাসীকে একটি শান্তির দেশ উপহার দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাদপন্থিদের নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা সানাউল্লাহ প্রমুখ।
শফিকুল/সালমান/