ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।’ 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে।’ ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম ও দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। 

গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।’ 

গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংস্কার করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় পত্রিকার সম্পাদকরা বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। 

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।

১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা
বিবিসির জরিপে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। এতে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু।

পেশায় নার্স রিক্তা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’ নামে  প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি নিজের অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারেননি। এরপর তিনি নিজের জমি বিক্রি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এখন স্কুলটিতে ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে।

স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য করা হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের সেবা দিয়ে থাকে। সূত্র: বিবিসি

সুমন/অমিয়/

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, কিন্তু তারা যদি আমাদের সঙ্গে পায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চায় তাহলে বাংলাদেশি কেউ আর ভারতমূখী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমাদের দেশে অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখব এবং সরকারের কাজই হলো এটি। অনেকেই তাদের মিডিয়াতে এসে হুমকি দিচ্ছেন। দয়া করে এটি আর করবেন না।’

বন্দরের নির্মাণকাজে অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, ‘পূর্বে যারা কাজটির অনিয়ম বা চুরি করেছে, তাদেরকে আর জাল দিয়ে ধরে আনা যাবে না। এখন যাতে কোন ধরনের চুরি না হয় সেটাই আমাদের দেখা দরকার। নানা কারণে কাজটি করতে দেরি হচ্ছে। যে কারণে নিজেই দেখার জন্য এসেছি। যে প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছে, তাদের আগেই চিন্তা করা দরকার ছিল যে কাজটিতে চ্যালেঞ্জ আছে। যদি তাদের কারণে বিশ্বব্যাংকের এই বরাদ্দ ফেরত যায়, তাহলে এই ঠিকাদারকে ধরব।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে একটি ভাল প্রকল্প হচ্ছে, আমি চাঁদপুরবাসীর কাছে অনুরোধ করব, আপনাদের যা যা সহযোগিতা করা দরকার, তাই করুন। অনেকে এখানে অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা তুলেছেন। আমরা কারও সঙ্গে আপোষ করব না।’

মেঘনায় ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে আসার সময় চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জের মাঝামাঝি ষাটনল এলাকায় দেখেছি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমাকে দেখে তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমি ছবি তুলে রেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ডেকেছি।’

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তসহ বিআইডাব্লিউটিএর স্থানীয় কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তাওফিক/অমিয়/

মেরিন ক্যাডেটরা হবে সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
মেরিন ক্যাডেটরা হবে সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ক্যাডেটদের হাতে পদক তুলে দিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরিদা আখতার বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারি হতে চলেছে। কঠোর অধ্যবসায় এবং প্রগাঢ় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান ক্যাডেটদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির প্রধান ভিত্তি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা, মূল্যবোধ এবং দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠা। এই বোধগুলো আত্মস্থ করে ক্যাডেটরা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের জনসাধারণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল ও প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়নের মাধ্যমে এ একাডেমিকে যুগোপযোগী মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের আধার বঙ্গোপসাগর প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের জনগণের আমিষের চাহিদা মেটাতে বিপুল পরিমাণ মৎস্য সম্পদ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। এই বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্যসম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণসহ এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশদূষণ রোধে ক্যাডেটদের সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে ক্যাডেটরা যোগ দিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধিশালী করবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করবে।

এ সময় ফরিদা আখতার সাফল্যের স্বীকৃতি পুরস্কার হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। 

এর আগে চলতি বছর একাডেমির ৪৩তম ব্যাচে ১২ জন নারীসহ মোট ১০৬ জন ক্যাডেট পাসড আউট হন। 

এ বছর ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। 

তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. রায়হান হোসেন মজুমদার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. জোবায়ের আব্দুল্লাহ্ এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক অর্জন করেন। এ ছাড়া মহিলা ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ক্যাডেট শারমিন সুলতানা 'বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল অর্জন করেন।

মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমোডর মো. মনির উদ্দিন মল্লিক, বিএন, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন মো. ইবনে কায়সার তৈমুর এবং ন্যশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। 

ক্যাডেটদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন শিপিং এজেন্সির প্রতিনিধিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পপি/

বিচার বিভাগ সংস্কারে মতামত চেয়েছে কমিশন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
বিচার বিভাগ সংস্কারে মতামত চেয়েছে কমিশন
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন

অংশীজনদের কাছ থেকে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট মতামত ও প্রস্তাব চেয়েছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

এই কমিশনের সচিব মোহাম্মদ ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের জন্য কমিশন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। 

ওয়েবসাইটটির ঠিকানা; www.jrc.gov.bd

ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শ্রেণির জনগোষ্ঠী, অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পৃথক প্রশ্নমালা সন্নিবেশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রযোজ্য প্রশ্নমালা পূরণ করে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত দিতে জনসাধারণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

এ ছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে কারও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে কমিশন।

প্রস্তাবের সফটকপি কমিশনের ই-মেইলে ([email protected]:,[email protected]) এবং প্রস্তাবের মুদ্রিত কপি কমিশনের ঠিকানায়: বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ১৫ কলেজ রোড, ঢাকা-১০০০ এ পাঠানো যাবে।’

অমিয়/

শাহজালালে সাড়ে ৭ কোটি টাকার সোনাসহ আটক ৫

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
শাহজালালে সাড়ে ৭ কোটি টাকার সোনাসহ আটক ৫
শাহজালালে সাড়ে ৭ কোটি টাকার সোনাসহ আটক ৫। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৭ কোটি টাকার সোনাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে মালয়েশিয়া থেকে আসা এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর গোপন সংবাদে তাদের আটক করা হয়।

জানা যায়, মালয়েশিয়া থেকে আসা পাঁচ যাত্রী অভিনব কায়দায় ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে সুক্ষ্মভাবে পেঁচিয়ে সোনার এই চালান নিয়ে আসেন।

ঢাকা কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া থেকে আসা এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস ঢাকার প্রিভেন্টিভ দল সন্দেহভাজন পাঁচ যাত্রীর সঙ্গে আনা কম্বলে প্যাঁচানো ওয়েল্ডিং মেশিন চিহ্নিত করে স্ক্যান করে। এ সময় প্রতিটি ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে পাঁচটি সোনার চাকতি, দুটি সোনার টুকরাে ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার মোট ওজন প্রায় সাত কেজি। যার বর্তমান বাজারমূল্য সাড়ে সাত কোটি টাকা। 

প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলো স্বর্ণ বলে নিশ্চিত হলে ওই পাঁচ যাত্রীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি অপরাধের মামলা করা হবে।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া বলেন, সোনার এই চোরাচালানের উৎস বা নেপথ্যে কারা, তা জানতে তদন্ত চলছে।

আলমগীর হোসেন/অমিয়/