ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ব্যাংককে প্রধান বিচারপতি উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা হবে

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পিএম
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা হবে
ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়পরায়ণ সমাজ অর্জন: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ এবং পৃথিবী জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায়বিচারের পথ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচার বিভাগের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করতে খুব শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সরকারকে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়পরায়ণ সমাজ অর্জন: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ এবং পৃথিবী জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায়বিচারের পথ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনের কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিচার বিভাগ সংস্কারে তার ঘোষিত রোডম্যাপের রূপরেখা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ছিল একটি গণমুখী, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা; যা জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত গণবিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। এই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি দেশের জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকা কতটা জরুরি তা পুনরায় উঠে এসেছে। 

এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ইতিহাসের আলোকে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে কলোনিয়াল লিগ্যাসি হিসেবে যে আনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে অনেক সময়ই তা গণপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। তারই সূত্র ধরে এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের শত বছরের প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আধুনিক যুগে নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে মর্মে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া উচ্চ আদালত বিভিন্ন জনস্বার্থ মামলা ও জুডিসিয়াল রিভিউয়ের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

ড. রেফাত আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি বা অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এদেশের গ্রাম আদালতসমূহের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, এই ব্যবস্থা তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষদের আইনি সেবা নিশ্চিত করছে। এছাড়া বিচার বিভাগ আইনি সহয়তার মাধ্যমে নাগরিকদের আইনি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার সক্ষমতা পদ্ধতি প্রয়োগ করে আইনি সহায়তার আওতা বিস্তৃত করেছে, ফলে আর্থিক অসঙ্গতি ছাড়াও অন্য প্রতিকূলতার কারণে যারা আইনজীবী নিয়োগে ব্যর্থ হন, তারা আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। 

প্রধান বিচারপতি আরও জানান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়া চালু করতে শিগগরিই  উদ্যোগ নেওয়া হবে উল্লেখ করেন। বিচার বিভাগের আধুনিকীকরণ এবং ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়ন শিগগিরই শুরু হবে, যেন বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ হয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বিচার বিভাগের আধুনিকীকরণ তথা বিচার ব্যবস্থায় বিচারপ্রার্থীর অভিগম্যতা বৃদ্ধিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়নে ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিচার ব্যবস্থা বিনির্মাণের মাধ্যমে ইনক্লুসিভ জাস্টিস নিশ্চিতকরণে তিনি জনবান্ধব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আঞ্চলিক কৌশলপত্র প্রণয়নে আন্ত:রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান জানান।

ইউএনডিপি, থাইল্যান্ড ইনস্টিটিউট অব জাস্টিস (টিআইজে), ইউএনডিপি, আইডিএলও, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ইউএন ওমেন এশিয়া অ্যান্ড দ্য স্পেসিফিক, পাথফাইন্ডারস এবং ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট- এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এবারের রিজিওনাল কনফারেন্সে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/এমএ/

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ২২ ডিসেম্বর

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ২২ ডিসেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

৪৪তম বিসিএস এর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পিএসসির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের ৫৪৪ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ‘৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২১ এর লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের পদসমূহের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি কমিশনের [www.bpsc.gov.bd] ওয়েবসাইটে অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে।

৪৪তম বিসিএস এ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্থগিত করা হয়। গত ১৮ জুলাই পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে সরকার পরিবর্তনের পর দায়িত্ব নেওয়া নতুন কমিশন সেটি বাতিল করে। নতুন করে সবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর সবার পরীক্ষা নেওয়া হবে।

কবির/এমএ/

৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক পরিবার নিশ্চিহ্ন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক পরিবার নিশ্চিহ্ন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
ছবি : খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মোটরবাইক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় গত পাঁচ বছরে দেড় শতাধিক পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পুরো পরিবার নিহতের প্রবণতা বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ শেষে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। 

প্রতিবেদন বলছে, গত পাঁচ বছরে ১২৩টি বাইক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে ২৪৬ জন এবং ৮৪টি দুর্ঘটনায় পিতা-পুত্র নিহত হয়েছে ১৬৮ জন। ৩৫২ অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৭৯ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ৭৫টি পরিবারের ২৮০ জন, এবং প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় ৭৬টি পরিবারের ২৪৯ জন নিহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৮টি পরিবারের ৭০ জন নিহত হয়েছে। 

এসব দুর্ঘটনার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল, অধিকাংশ মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সের ফিটনেস না থাকা, চালকদের অদক্ষতা ও বিশ্রামহীন ড্রাইভিং করা, ট্রাফিক আইন না মেনে বেপরোয়া মোটরযান চালনা।

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ/এমএ/

 

তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছেন তিনি। 

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাইকমিশন প্রাঙ্গণ থেকে পতাকা খুলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

পরে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিতে দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

সালমান/

ডিসি সম্মেলন ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
ডিসি সম্মেলন ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিসি (জেলা প্রশাসক) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সকাল সাড়ে ১০টায় এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এর আগে গত সপ্তাহে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করার অনুমতি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সারসংক্ষেপ অনুমোদন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জানান, এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এখন শুধু তারিখ আর উদ্বোধনের সময় অনুমোদন হয়েছে। অধিবেশনের বিস্তারিত কার্যসূচি পরে নির্ধারিত হবে।

জানাগেছে, এই বিভাগ সারসংক্ষেপে ডিসি সম্মেলনের সাধারণ রেওয়াজগুলো (বিভিন্ন অধিবেশন) সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে ধারণা দেওয়ার কাজটি করা হয়ে থাকে। সারসংক্ষেপের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় তারিখ নির্ধারণসহ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশন(কার্যসূচি) ও অন্যন্য বিষয়ে নির্দশনা দিয়ে থাকেন।

ডিসিরা মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়, উন্নয়ন কর্মসূচি ও অন্যান্য বিষয়ে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে থাকেন ডিসিরা। এ জন্য এ সম্মেলন ও তাদের প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।

উল্লেখ্য গত বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন) ৩ থেকে ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আনিসুর রহমাম তপন/এমএ/

১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা
বিবিসির জরিপে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। এতে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু।

পেশায় নার্স রিক্তা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’ নামে  প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি নিজের অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারেননি। এরপর তিনি নিজের জমি বিক্রি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এখন স্কুলটিতে ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে।

স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য করা হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের সেবা দিয়ে থাকে। সূত্র: বিবিসি

সুমন/অমিয়/