ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৩৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৮০০ জনে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল বিভাগে ১ জন, চট্টগ্রামে ১, ঢাকা বিভাগে ১, ঢাকা উত্তর সিটির ১ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩ জন। তাদের মধ্য চার পুরুষ ও তিন নারী রয়েছেন। পুরুষদের একজনের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছর, একজনের বয়স ২৬ থেকে ৩০ বছর, একজনের ৫১ থেকে ৫৫ বছর এবং একজন ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে। নারীদের একজনের বয়স ৫৬ থেকে ৬০, একজনের ৭১ থেকে ৭৫ এবং একজনের ৭৬ থেকে ৮০ বছর। এ নিয়ে চলতি মাসের ১১ দিনে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ১০৮ জন, চট্টগ্রামে ১৩৯, ঢাকা বিভাগে ২৯১, ঢাকা উত্তরে ২২১, ঢাকা দক্ষিণে ১৯০, খুলনায় ১৩০, ময়মনসিংহে ৪৩, রাজশাহীতে ৬৭, রংপুরে ১৮ এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ১১ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭০ হাজার ৪৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে- চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১০৫৫ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মারা যান। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হন ৩৩৯ জন। মারা যান ৩ জন। মার্চে ভর্তি হন ৩১১ জন। মারা যান ৫ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন। মারা যান ২ জন। মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন। মারা যান ১২ জন। জুনে ভর্তি হন ৭৯৮ জন। মারা যান ৮ জন। জুলাইয়ে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন। মারা যান ১২ জন।
আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় ওই মাসে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন। মারা যান ২৭ জন। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন। মারা যান ৮০ জন। অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। মারা যান ১৩৪ জন।
ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। এ বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন। ২০২০ সালে করোনার কারণে ডেঙ্গু প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে ২০১৯ সালে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়।