জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা সভা হয় গতকাল। এই সভার পর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নূর নবী নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঘোষণা দেন এবং সেই অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পক্ষে কথা বলেন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করেন। এ সময় তিনি টেবিল চাপড়ে কথা বলেন ও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে কনফারেন্স রুমে উপস্থিত থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দীন ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে শিক্ষার্থীদের সামনে কান ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সমন্বয়ক নূর নবী।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, মন্ত্রণালয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটা লিখিত আকারে প্রশাসনের কাছ থেকে দাবি জানিয়েছিলাম। কয়েকজন এসে আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন, যা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এর আগেও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে তারা বিভিন্ন দিকে মোড় ঘুরিয়েছে। সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সব জায়গায় তারা এসব করে। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সমন্বয়ক নেই, এটা স্পষ্ট। এ বিষয়ে জানতে জবির সমন্বয়ক নূর নবীকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ১৯ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করে। সেখানে প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টশন উইংয়ে নাম রয়েছে জবির নূর নবীর।