রাজধানীর জোয়ার সাহারায় সড়কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। সেই সঙ্গে জোয়ার সাহারায় বিআরটিএর ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তারা সড়কে চালক ও যাত্রীদের সড়ক ব্যবহার সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেন।
চালকদের সঙ্গে ও বিআরটিএর প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে তারা দেখতে পান, ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও সড়ক ব্যবহারের বহু নিয়ম চালকরা ভুলে গেছেন। কোন কোন স্থানে ওভারটেকিং করা যাবে না বা গাড়ি বের করার আগে গাড়ির কোন কোন বিষয় পরীক্ষা করতে হবে- তা তাদের অনেকে ঠিকমতো বলতে পারেননি। নিকুঞ্জ এলাকায় পেশাদার গাড়িচালকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ গাড়ি চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ ধরনের কেন্দ্র আরও বাড়ানো উচিত। প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিআরটিএর অনলাইন সেবা সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন বা ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়নি। গ্রাহকদের অনেকে এখনো জানেন না যে তারা নিজেরাই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেন। এ সংক্রান্ত প্রচার আরও বাড়ানো উচিত।
বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসান জাবের বলেন, ‘বিমানবন্দর সড়কে যেখানে-সেখানে চালকরা বাস দাঁড় করিয়ে রাখেন, গতিসীমা মানেন না। এসব কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলাসহ পাশের উড়াল সেতুতেও যানজট সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিআরটিএ, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত অভিযান না চালানোর বিষয়টি দুঃখজনক। সড়কে শৃংখলা রক্ষার জন্য ৩২টি সংস্থার মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীরা এর আগে ২০১৮ সালেও আন্দোলন করেছে। তারা গত ৫ আগস্টের পর থেকে অনেকদিন সড়কে দায়িত্ব পালন করেছে। এখনো বহু স্থানে তারা দায়িত্ব পালন করছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাগুলোকে সুসমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনাসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করতে হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন রেজওয়ান গাজী মহারাজ, মাহমুদুল হাসান, নেওয়াজ শরীফ, সজীব প্রমূখ।
কর্মসূচি চলাকালে ছাত্ররা বিআরটিএ চত্বরে ‘সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থীরা’ শীর্ষক প্রচারচিত্র উদ্বোধন করেন।
সালমান/