ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

জনগণের জন্য নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে: আবুল কাসেম ফজলুল হক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
জনগণের জন্য নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে: আবুল কাসেম ফজলুল হক
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নাগরিক ক্ষমতায়নের জন্য সংবিধান’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

বর্তমান সংবিধানের বিভিন্ন অংশ সংশোধন করে আপাতত কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের জন্য নতুন করে সংবিধান লেখার কথা বলেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।  

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নাগরিক ক্ষমতায়নের জন্য সংবিধান’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সিটিজেন পাওয়ার ও বিডি পলিটি নামক সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা একমাত্র সংসদের। আর সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যায় না। এটা একটা একনায়কতন্ত্র। দলের নেতার বাইরে কথা বলা যাবে না। এটা স্বাভাবিক না। শেখ মুজিব নিজেই এটা করেছিলেন। সংবিধানে ১১টি ভাগ আছে। আপাতত বাংলাদেশকে চালানোর জন্য এর মধ্যে এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয় সংশোধন করতে হবে। কিন্তু জনগণের জন্য নতুন করে করতে হবে। যদি আমরা প্রকৃত জনগণের ক্ষমতার কথা বলি। তবে সেখানে বর্তমান সংবিধানের অভিজ্ঞতা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন সংবিধানে আমাদের ইতিহাসের সার সংকলন রাখতে হবে। অনেকে মনে করেন আমাদের ইতিহাস শুরু হয়েছে দ্বি-জাতি তত্ত্ব থেকে। আবার অনেকে মনে করেন বখতিয়ার খলজি থেকে। তাই সংবিধানে আমাদের আত্মপরিচয় থাকতে হবে। আমাদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অগ্রগতি রাখতে হবে। নতুন সংবিধান গঠনের ধারায় আমাদেরকে যেতে হবে।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান বর্তমান সংবিধানকে নাকচ করে দিয়েছে। নতুন করে সংবিধান তৈরি জন্য গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে। বিগত সরকারের সব অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। অভ্যুত্থানের সংগঠিত শক্তি নেই। আমাদের ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ঘাপটি মেরে আছে। রাষ্ট্রের মধ্যে থাকা ফ্যাসিবাদকে উচ্ছেদ করতে হলে নতুন সংবিধান লাগবে।

সিম্পোজিয়ামে ‘নাগরিক ক্ষমতায়নের জন্য সংবিধান’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডি পলিটির মুখপাত্র মাসুদ জাকারিয়া। এতে বর্তমান সংবিধানের গলদ, ১৯৭২ এর সংবিধানের সীমাবদ্ধতা, নাগরিক অধিকার সংকোচিত করা, নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রীয় গঠনতন্ত্র কেমন হওয়া উচিত, ক্ষমতাধারীদের জবাবদিহি, ক্ষমতার বৈধতা ও শাসন কাঠামো নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ জাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরুল হকের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।

কবির/এমএ/

 

শেষ সময়ে ভিড় প্রসাধনী-ব্যাগ ও জুতার দোকানে

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ এএম
শেষ সময়ে ভিড় প্রসাধনী-ব্যাগ ও জুতার দোকানে
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির জুতার দোকানে ক্রেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। তাই অনেকেই রাজধানী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন বাড়ির পানে। এতে ঢাকা অনেকটা ফাঁকা হলেও ভিড় আছে মার্কেট-শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলোতে। শেষ সময়ের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীবাসী। বানানোর সময় না থাকায় চাহিদা আছে রেডিমেড পোশাকের। বিশেষ করে প্রসাধনী-ব্যাগ-জুতা এসবের দোকানে এখন ভিড় বেশি। শেষ সময়ের এমন ভিড়ে খুশি বিক্রেতারাও।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর হাতিরপুলের বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকা ঘুরে দেখা যায়, এসব শপিংমলের রেডিমেড পোশাকের দোকানগুলোতে এখন ভিড় বেশি। বিশেষ করে শিশুদের জামার দোকানে ভিড় অনেক। এসব শপিংমলে ব্র্যান্ড ও জামার কোয়ালিটিভেদে দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ভিড় বেশি আছে ব্যাগ, জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে। 

শেষ সময়ে ঈদ কেনাকাটা সারছেন মূলত যারা ছুটির সময় রাজধানীতে থাকবেন তারাই। পরীবাগ থেকে বাসার পাশের ইস্টার্ন প্লাজায় এসেছেন শাহরিয়ার হোসেন। সঙ্গে আছে পরিবার। জামা-কাপড়ের বড় কেনাকাটা শেষে এখন ঘুরছেন বিপণিবিতানগুলোতে। তার মেয়ের জন্য ম্যাচিং ব্যাগ আর জুতা কিনতে। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভিড় এড়াতে আমরা ঈদের ছুটি শুরুর পর কেনাকাটা শুরু করেছি। কারণ আমরা ঢাকাই ঈদ করব। ফলে বাড়ি যাওয়ার তাড়া নেই। তাই গতকাল জামা-কাপড় কেনাকাটা সেরেছি। আজ সেগুলোর সঙ্গে ম্যাচ করে মেয়ে ব্যাগ, স্যান্ডেল, মাথার ব্যান্ড এগুলো কিনব।’ 

অন্যদিকে কাঁঠাল বাগান থেকে ইস্টার্ন প্লাজায় প্রসাধনী ও ব্যাগ কিনতে এসেছেন তানিয়া আলম। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এখান থেকে আমি নিয়মিতই প্রসাধনী কিনি। তাই ঈদের আগে কিছু প্রসাধনী ও মেহেদি কিনতে এসেছি। সঙ্গে ব্যাগ কেনার পরিকল্পনা আছে। এখানে ব্যাগের কালেকশনও ভালো। ম্যাচ করতে পারলে নিয়ে নেব।’

ইস্টার্ন প্লাজার ব্যাগ বিক্রেতা সাইফুল বলেন, ‘আমাদের এখানে দেশীয়, চাইনিজ, থাই ও মালয়েশিয়ান ব্যাগের ভালো সংগ্রহ আছে। শেষ সময়ে এগুলোর জন্য ভালো ক্রেতা আসছে। বিক্রিও ভালো।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাগের কোয়ালিটিভেদে দাম নির্ধারণ হয়। আমাদের এখানে রেগুলার ইউজের ছোট ব্যাগগুলোর দাম পড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এর থেকে একটু ভালো কোয়ালিটির মাঝারি সাইজের ব্যাগগুলোর দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর হাইকোয়ালিটির একটু বড় ব্যাগগুলোর দাম পড়ে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।

পছন্দের জুতা কিনতে অনেকেই যাচ্ছেন এলিফ্যান্ট রোড ও ইস্টার্ন মল্লিকায়। ধানমন্ডি থেকে এলিফ্যান্ট রোডে জুতা কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন শরিফা ইয়াসমিন ও তার ১১ বছরের ছেলে তন্ময়। শরিফা খবরের কাগজকে বলেন, ‘ছেলের ও আমার জামা কেনা শেষ আড়ং থেকে। কিন্তু শেষ সময়ে সেখানে স্যান্ডেল পেলাম না ভালো। তাই এখানে এসেছি। কয়েকটি দোকান ঘুরেছি। কিন্তু এখনো পছন্দসই পাইনি।’

বড় সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত এলিফ্যান্ট রোডের জুতার মার্কেট। এক জায়গায় অনেক দোকান থাকায় ক্রেতারা দেখতে পারেন অনেক সংগ্রহ। এখানকার দোকানি শহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি অনেক বছর এখানে কাজ করি। বেশির ভাগ সময়ে লম্বা ছুটি পড়লে শেষের দিকে ক্রেতা পাওয়া যায় না। কিন্তু এবার তেমন নয়। এবার ছুটি শুরুর পর অনেকেই আসছেন। ফলে বেচাবিক্রিও ভালো, তাই মালিকও খুশি।’

জামা-জুতার পর আসে প্রসাধনী ও অন্যান্য অনুষঙ্গের আবদার। আর তা পূরণ করতেই ইস্টার্ন মল্লিকায় ভিড় করছেন অনেকে। রেডিমেড জামা-জুতার পাশাপাশি এখানে রয়েছে অনেক ব্যাগ-প্রসাধনী ও গয়নার দোকান। তাই বিভিন্ন জায়গায় না ঘুরে এক জায়গা থেকে সবকিছু কিনতে অনেকেই আসেন এই শপিংমলে। এখান থেকে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং গয়না কিনতে এসে সাদিয়া জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এখানে ভালো নেকলেস ও কানের দুল পাওয়া যায়। জামা কেনা শেষ তাই এখানে এসেছি জামার সঙ্গে ম্যাচিং দুল ও গলার ছোট নেকলেস কিনতে।’ 

গয়নার দোকানের বিক্রেতা মাসুম বলেন, ‘ঈদের আগ দিয়ে এই সময়ে গয়নার দোকানে অনেক ভিড় হয়। আমরাও অপেক্ষায় থাকি এই সময়ের জন্য। তবে ঈদের ছুটি এবার আগে থেকে শুরু হওয়ায় এবার এসবের কেনাকাটাও আগে থেকে শুরু হয়েছে। ফলে এখন অন্য সময়ের মতো উপচে পড়া ভিড় নেই তবে ভিড় কমও নয়। এবার শেষ সময়ে ক্রেতাদের অনেক চাপ না থাকলেও বেচাবিক্রি ভালো।’

শেষ সময়ের প্রসাধনী কেনাকাটায় এখন তালিকা হাতে শপিংমলে ঘুরছেন ক্রেতারা। তালিকার কোনো জিনিস বাদ গেল কি না, তা দেখে কেনাকাটা সারছেন। শেষ সময়ে কাজল-আইলাইনার-মাসকারা-লিপস্টিক ও মেহেদীর মতো প্রসাধনীগুলো কিনছেন অনেকেই।

চিকিৎসাবিদ্যায় দান করা হলো সনজীদা খাতুনের দেহ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চিকিৎসাবিদ্যায় দান করা হলো সনজীদা খাতুনের দেহ
সনজীদা খাতুন

বাংলা সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনের লাশ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে।

সনজীদা খাতুনের পুত্রবধূ ও ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা খবরের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘আজ বেলা ১১টার দিকে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’ চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি সনজীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন।

দেহ দান করার সময় সনজীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ, ছোট মেয়ে রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় মেয়ের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট মেয়ের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সনজীদা খাতুন। সে দিন রাতে সনজীদা খাতুনের লাশ ওই হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে তার কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে। সেখানে তাকে শেষ বিদায় জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। সেখানে তাকে শেষ বিদায় জানান শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সনজীদা খাতুনের লাশ বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।

৩ পার্বত্য জেলায় চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ১৩ এপ্রিল

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
৩ পার্বত্য জেলায় চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ১৩ এপ্রিল
ছবি: সংগৃহীত

চৈত্র মাসের শেষ দিন আগামী ১৩ এপ্রিল। পঞ্জিকা অনুযায়ী এদিন বাংলা বছরের শেষ দিন। এদিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নির্বাহী আদেশে এ ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ছুটিকালীন রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।

এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসক, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এবং জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

তাতে আরও বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

‘স্বপ্ন নিয়ে’র উদ্যোগে আরও ১০ জনের কৃত্রিম পা সংযোজন

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
‘স্বপ্ন নিয়ে’র উদ্যোগে আরও ১০ জনের কৃত্রিম পা সংযোজন
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ক্রাচ, লাঠি কিংবা বাঁশের সাহায্যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্নভাবে পা হারানো ১০ অসহায় ব্যক্তি। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা নিয়ে এই অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন নিয়ে’। 

সংগঠনের উদ্যোগে গত ২০ মার্চ রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত কৃত্রিম পা, হাত ও ব্রেইস সংযোজন কেন্দ্র ইজি লাইফ ফর বাংলাদেশে ১০ জনের কৃত্রিম পা সংযোজনের কার্মক্রম শুরু হয়। পা সংযোজন ও ৭ দিন প্রশিক্ষণ শেষে গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) এই ১০ জনের কৃত্রিম পা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বপ্ন নিয়ের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নূরুস সাবা, ইজি লাইফ ফর বাংলাদেশের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, স্বপ্ন নিয়ের প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান, পরিচালক (অপারেশন) ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) মীর তানভীর আহমেদ, পরিচালক (ডেভেলপমেন্ট) অ্যাডভোকেট তসলিম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল ইসলাম আরিফ, সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ইলিয়াস হোসেন, সহকারী পরিচালক (আইটি) ইফতেখার হৃদয়, সদস্য জীবন চৌধুরী প্রমুখ।

কৃত্রিম পা লাগানোর প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, ‘আমরা প্রায়ই আমাদের চারপাশে পক্ষাঘাতগ্রস্থ অসহায় মানুষ দেখে থাকি। আমরা স্বপ্ন নিয়ের মাধ্যমে সবার সহযোগিতায় এর আগে ১১৭ জনের কৃত্রিম পা সংযোজন করে দিয়েছি। আমাদের সবার যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এসব মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিৎ। পক্ষাঘাতগ্রন্থ অসহায় ও গরিব মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসার পাশাপাশি যেন গতির সঞ্চার হয় এবং এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাপন আরও সহজ ও সুন্দর হয় সে লক্ষ্যেই স্বপ্ন নিয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে যারা আমাদের অর্থসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মুহাম্মদ আশরাফুল আলম খোকন

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব-১ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম খোকন এবং তার স্ত্রী রেজওয়ানা নূরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে খোকনের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৬ কোটি ১২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

খোকনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্বে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজের নামে দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও বাড়ি কিনেছেন। এ ছাড়া তার নিজের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এসব অর্থ-সম্পদ তিনি গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

আরেক মামলায় খোকনের স্ত্রী রেজওয়ানা নূর স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৬ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তার নিজের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার বিরুদ্ধে এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ মামলায় খোকনকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।