ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে: উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার মত প্রকাশ ও সমাবেশ করার স্বাধীনতার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমের হস্তক্ষেপ না করাকে তিনি তার সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন। সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের কার্যক্রমে কখনোই হস্তক্ষেপ করেনি। মিডিয়া এখন তার পেশাগত কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছরের ইতিহাসে দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম কখনো এমন স্বাধীনতা ভোগ করেছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরে এর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা ও রাজনৈতিক মতবিরোধ দমন করা হতো উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। যেহেতু দেশে ১৬ বছর স্বৈরাচারী অবস্থা ছিল, সেই সময়ে দেশবাসীর কাছে অনেক কথা ও দাবি জমা ছিল। এখন তারা সেগুলো প্রকাশ করছে। আমরা তাদের জন্য সেই পথ তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যাতে করে তারা যা বলতে চায় তা বলতে পারে।’

সরকারের ওপর আস্থা রেখে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘হয়তো আমরা এখনই তাদের সব দাবি পূরণ করতে পারছি না, তবে আমরা প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করছি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সরকারের প্রথম ১০০ দিনে অফিস সংস্কার, পরিবর্তন-পরবর্তী কর্মকর্তাদের রদবদল ও পরিকল্পনা তৈরিতে ব্যস্ত থেকেছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকাশনা ও তথ্যচিত্র তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জুলাই বিদ্রোহের বিশাল প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। শহিদ ও আহত সাংবাদিকদের জন্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংগঠন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করবে এবং আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়। আমরা আশা করছি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশের জনগণ বিচারের প্রমাণ পাবে।’

উপদেষ্টা জানান, তথ্য মন্ত্রণালয় গত ১ জুলাইয়ের পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পর্যালোচনার জন্য আট সদস্যের কমিটি গঠনের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ইতোমধ্যে ৩৫০ সাংবাদিককে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় চলচ্চিত্র উপদেষ্টা কমিটি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদানের জন্য জুরি বোর্ডসহ বিভিন্ন বোর্ড ও কমিটির জন্য যোগ্য প্রার্থী প্রস্তাব করার জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।

এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরসহ (ডিএফপি) মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সফলভাবে কিছু কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে ও কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুর্নীতির বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার চেতনা জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে, গণযোগাযোগ বিভাগ মাইকিং, ৫২৭টি তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং ১১৯টি উঠান বৈঠক এবং ১৭৩টি সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজনের মতো বিস্তৃত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

মাদ্রাসাশিক্ষায় সম্পৃক্তদের কর্মক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
মাদ্রাসাশিক্ষায় সম্পৃক্তদের কর্মক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে মাদ্রাসাশিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। ছবি: সংগৃহীত

মাদ্রাসাশিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার।

বুধবার (১৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে মাদ্রাসাশিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্ব কীভাবে পালন করলে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদানুযায়ী মাদ্রাসাশিক্ষাকে ঢেলে সাজানো যায়? তার জন্য রাষ্ট্র কী করতে পারে? এ ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের ভূমিকা কী? এসব নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে।’

সেমিনারে কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী প্রমুখ।

ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপ্রকাশের জেরে মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) সাংবাদিকের ওপর হামলা চেষ্টা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ইউজিসি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম শিহাব উদ্দীন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার। অভিযুক্তরা হলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অফিসে দায়িত্ব পালন করা সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অফিস সহায়ক খোকন খান।

ভুক্তভোগী জানান, ইউজিসি সচিব ড. ফখরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে বুধবার দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে যান শিহাব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউজিসির অফিস সহায়ক খোকন খান তাকে জেরা করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মব সৃষ্টি করে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান। এসময় কর্মকর্তা মামুনসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে মামুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, আমি হামলার চেষ্টা করিনি। তাকে তর্ক-বির্তক থেকে চেয়ারম্যানের রুমে নিয়ে যাই।

খোকন খান বলেন, আমাকে নিয়ে করা নিউজ নিয়ে জানতে চেয়েছি কে তথ্য দিয়েছে। তখন একটু উত্তেজনায় কথা হয়েছে।

কবির/এমএ/

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি-ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি-ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান মিয়ার (আবদুস সোবহান গোলাপ) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৯টি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক, যার বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা। দেশে থেকে টাকা পাচার করে তিনি বিদেশে ওই সব সম্পদ কিনেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া ওরফে গোলাপ ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজের ৫১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে ৯টি ফ্ল্যাট ও বাড়ি রয়েছে। বিদেশে থাকা ফ্ল্যাট ও বাড়ির বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা। তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জিত এসব অর্থসম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন; যা ২০০৪ সালের ৫(২) ধারায় ফৌজদারি অসদাচরণ এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অর্থ পাচারসংক্রান্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্ন অবান্তর।

জনগণের প্রাত্যহিক নানা সেবার প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি ও পৌর ওয়ার্ডগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনগণের প্রাত্যহিক দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। তবে এ বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালনাই সর্বোত্তম।’ 

মাহফুজ

ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তের দাবি এমএসএফের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তের দাবি এমএসএফের
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন। ছবি: সংগৃহীত

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ (৩৪) কে ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে একই দিনে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

হেজাজের মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবার দাবি করেছে, জামিনে থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাদের ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই হেজাজের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছু দিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হয় এজাজ। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। শনিবার (১৫ মার্চ) ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তার নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তার সঙ্গে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে গ্রেপ্তার ব্যক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এমএসএফ মনে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দারি রাখে কারণ রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। 

মাহফুজ/