
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) নবনিযুক্ত প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, মানুষের সেবার জন্য তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বঞ্চিত ছিলাম। বিগত সরকারের আমলে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েছি। পুলিশের কম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে আমাকে বদলি করে দিনের পর দিন বেশি কাজ করানো হয়েছে। এরপরও আমি ধৈর্য ধারণ করেছি।
গত সোমবার খবরের কাগজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুন্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর আমি ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ডিবিতে দায়িত্ব পেয়েছি। তাই ঢাকাবাসীর সেবা করতে চাই। তিনি বলেন, ডিবিতে কোনো ভাতের হোটেল থাকবে না। টর্চার সেল থাকবে না। বিপদগ্রস্ত মানুষের আস্থার প্রতীক হবে ডিবি।
ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক ১৭তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯৮ সালে পুলিশে যোগ দেন। গত ১৮ বছর তিনি ঢাকার বাইরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা কথিত বিভিন্ন অভিযোগে পদোন্নতি পাননি তাদের মধ্যে তিনি একজন। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি ডিএমপির ডিবির প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ঢাকায় কোনো দখলদার, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি ও অবৈধ অস্ত্রধারীর ঠাঁই হবে না। ডিবির কাজ হবে মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা। ঢাকাবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন সেই জন্য তারা কাজ করছেন। মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন রাখছেন।
ডিবিতে আগে টর্চার সেল ছিল বলে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিবি অত্যন্ত সতর্কভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ডিবিতে কোনো টর্চার সেল থাকবে না। কোনো আয়নাঘর থাকবে না। কোনো ভাতের হোটেল থাকবে না। কেউ দিনের পর দিন গুম থাকবে না।
ডিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ রয়েছে এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা অভিযানে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে যদি ঘুষের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকাবাসীর প্রতি আপনার আহ্বান কী থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। আইন মেনে সব কার্যক্রম পরিচালনা করি। তাহলে সমাজে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না।
আরও পড়ুন