
সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ ব্রহ্মচারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসকন।
গতকাল সোমবার তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই বিবৃতিতে ইসকন জানায়, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের যুক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত আপত্তিজনক।
পোস্টে বলা হয়, “ইসকন ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে যেন তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে যে আমরা একটি শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলন।”
তারা ইসকন নেতা চৈতন্য কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধও জানায়।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।
এদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করাকে “ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কণ্ঠরোধ এবং দমন করার চেষ্টা” বলে নিন্দা করেছে রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ (আরআরএজি)।
আরআরএজির পরিচালক সুহাস চাকমা বলেন, “এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করা হয়েছে যাতে হিন্দু সংখ্যালঘুরা সংগঠিত হতে না পারে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস (বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস) এখন বিরোধীদের দমাতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ব্যবহার করছেন।”
আরআরএজি ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। পরে গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় তিনিসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুনানির পর থেকে এই ব্রহ্মচারীকে বহনকারী পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকে বিক্ষোভ করছেন সনাতনীরা।
অমিয়/