
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা ও ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি চক্রের ইন্ধন আছে বলে মন্তব্য করে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এ ছাড়া যাদের আমরা ব্যান করেছি তাদের থেকেও কিছু ইন্ধন থাকতে পারে।’
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব বিষয়ে নজর দিচ্ছি। আমার মন্ত্রণালয় দুটিতে আমি নজর দিচ্ছি। অন্যরাও তাদের মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে নজর দিচ্ছেন। ৬-৮ আগস্টের পর থেকে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আমার হাতে ওরকম কিছু নেই যে আমি বলব হয়ে যাক আর হয়ে যাবে। তবে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়ার অবকাশ আছে এবং এজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।’
বিভিন্ন থানার অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সবগুলো থানার অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এজন্য অভিযান চলমান আছে। কারণ অস্ত্রগুলো বাইরে থাকলে থ্রেট থাকবেই। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং করার চিন্তা-ভাবনা হয়েছে। প্রথমে আমরা ঢাকায় করব। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বিভাগগুলোতে করব।’
৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেক ভুয়া মামলা হয়েছে। এই ভুয়া মামলায় যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গত আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসি, এসপি ও একজন লিগ্যালএইড অফিসার মিলে একটি কমিটি করে দেব। তারা দেখবেন কোন মামলাটি গ্রহণযোগ্য আর কোনটি নয়। এই ভুয়া মামলা যারা দিচ্ছে তাদেরও ধরিয়ে দিতে হবে। ভুয়া মামলাবাজদের আমরা আইনের আওতায় আনব।’
এর আগে বিকেল সাড়ে চারটায় সিলেট সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, বিজিবি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সভায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
শাকিলা/মাহফুজ/সালমান/