
চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী নিহতের ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতভর কোতোয়ালী, পাথরঘাটা, বান্ডেল কলোনী, আন্দরকিল্লা, হাজারী গলি সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এরমধ্যে একটি আইনজীবীকে হত্যা ও অপরটি পুলিশের উপর হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। সেখান থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হলে তার অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ডগ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেখান থেকে বাধে সংঘর্ষ। বিকাল ৩টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে নেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের প্রতিবাদে আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাইফুল ইসলাম আলিফ সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন।
এই আইনজীবী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা।
অমিয়/