
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিয়ে প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া ও সরকার। এখন 'ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস'কে (ইসকন) দিয়ে সেই প্রোপাগাণ্ডা ও দিল্লির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসকনকে সেই অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘ইস্কন মানেই সনাতনী নয়, তার প্রমাণ ইস্কন পুরান ঢাকার স্বামীবাগের সনাতনীদের মন্দির দখল করে নিয়েছে, সিলেটে রথযাত্রায় হামলা করেছে, বিভিন্ন এলাকায় সনাতনীর জমি দখল করে নিয়েছে। আপনারা সকল মিডিয়া ইস্কনের প্রোগ্রামকে সনাতনীদের প্রোগ্রাম বলে প্রচার করেছেন। আপনারা কি মনে করেন ইস্কন মানেই সনাতনী। তাহলে হাজার হাজার সনাতনী ভাই-বোনেরা ইস্কনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে তারা কারা।’
দিল্লির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে বসে দিল্লির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। ইসকনকে একটি শুধু কড়া সনাতনী সংগঠন হিসেবে প্রচার করার কারণেই আজকে এই পরিস্থিতি।’
ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশেকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত উল্লেখ করে সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর সংখ্যালঘু কার্ড খেলা শুরু করেছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি ইসলামি বিপ্লব হয়েছে। ভারত তাদের দেশের মিডিয়া ও সরকারের মাধ্যমে প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচিৎ ছিলো, ক্ষমতায় আসার পর বিষয়গুলো সারা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার করা, দেশে গণতান্ত্রিক বিপ্লব হয়েছে। সরকার এখনো জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেনি, বিচার শুরু করেনি। গ্রেপ্তার করলে আজকে চট্টগ্রামে নাসিরের লোকজন ইসকনের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করতে পারতো না।
কেন্দ্রীয় সদস্য নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘ভারতের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে কিন্তু একমাত্র বিজেপি সরকার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করে চলছে। ভারতকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গদি বাঁচান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নাই।’
এছাড়া কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার, সিনথিয়া জারিন আয়েশা, রফিকুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে আইনজীবী আলিফের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সম্প্রীতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরিফ জাওয়াদ/মেহেদী/এমএ/