ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের সমাবেশ, আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের সমাবেশ, আল্টিমেটাম
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। ছবি: খবরের কাগজ

ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ করেছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সহস্রাধিক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। দাবি পূরণে সমাবেশে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া ২২ ডিসেম্বরের আগ মুহুর্তে লাগাতার কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে নিশ্চিত করেন বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের মহাসচিব রিপন শিকদার।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের ছয় দফা দাবি পূরণে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছি। শুক্রবার আমরা শহিদ মিনারে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসমাবেশ পালন করেছি। সমাবেশে দাবি পূরণে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না করা হলে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

লাগাতার কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিপন শিকদার বলেন, ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেও যদি দাবি পূরণ না হয়, আগামী ৮ ও ১০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে ১ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং ১৮ ডিসেম্বর ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি। এর মধ্যে যদি দাবি পূরণে ইতিবাচক সাড়া না পাই, তাহলে ২২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে দুপুর ২টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন, পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে শহিদ মিনার ত্যাগ করেন তারা।

৬ দফা দাবিগুলো হলো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দক্ষতা উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি পরিদপ্তর’ গঠন, দেশের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিকে (আইএইচটি) মেডিকেল টেকনোলজি কলেজে রূপান্তর করে, ঢাকার আইএইচটিকে কেন্দ্র করে একটি স্বতন্ত্র মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ বিষয়ভিত্তিক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রভাষক হতে অধ্যাপক পর্যন্ত বিভিন্ন পদে পদায়ন; মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদাসহ) বাস্তবায়ন করে ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নিয়োগ।

গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জন্য নবম গ্রেডের পদ সৃষ্টি করে স্ট্যান্ডার্ড সেট আপ ও নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত, মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল গঠন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের জন্য প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন, বিএসসি ও এমএসসি কোর্সে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা এবং স্কলারশিপ প্রদানসহ সব অনুষদে বিএসসি কোর্স চালু করে শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/

 

পল্লবীতে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
পল্লবীতে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ১
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে একটি মোটর সার্ভিসিংয়ের দোকানে গাড়িতে হাওয়া দেওয়া মেশিনের (কমপ্রেশার) সাহায্যে পেটে বাতাস গ্যাস ঢুকিয়ে চার বছরের শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশুর নাম আবু বকর সিদ্দিক। এ ঘটনায় আকাশ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের বাউনিয়াবাদ এলাকার একটি মোটর সার্ভিসিংয়ের গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে। 

পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন অজ্ঞাতনামাসহ চারজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির মা আয়শা। আসামিদের একজন কিশোর হওয়ায় শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে তার নাম উল্লেখ করা হলো না। বাকি দুই আসামি রাজু (২০) ও মো. সুজন খান (৩৬)।

তিনি বলেন, আকাশ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খেলার ছলে ঘটনাটি ঘটেছে দাবি করেছে ওই কিশোর। তবে চরম অমানবিক হত্যাকাণ্ড। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্থানীয়রা জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় স্কুলে ক্লাস শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবু বক্কর বাসায় ফিরে যায়। তার মা একজন গার্মেন্টস কর্মী। আবু বক্করের বড় ভাই জিহাদ (১১ বছর) স্থানীয় একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করে। এরপর বেলা ৩টার দিকে আবু বক্কর গ্যারেজে বড়ভাই জিহাদের কাছে গেলে ওই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। উপস্থিত কয়েকজন কিশোর বক্করের বড়ভাই জিহাদকে কলা-রুটি কিনে আনতে পাঠায়। এ সময় অন্য কিশোররা আবু বক্করের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করে। গাড়ির হাওয়া দেওয়ার পাইপ শিশুটির পায়ুপথে ঢুকিয়ে হাওয়া দেয়। এ সময় অতিরিক্ত চাপে শিশুটির পেট ফুলে যায়। আবু বক্কর বমি করে। তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।

এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটিকে প্রথমে রাবেয়া ক্লিনিকে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর আবু বক্করের পরিবার পল্লবী থানায় মামলা করেছেন।

 

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। খবর বাসসের।

কমিশনপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা, তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন।’

কমিশনপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শিকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’

তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।

 

অচিরেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
অচিরেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় শিগগিরই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের (এসআরএফ) কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। একপর্যায়ে  তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে আসেন।
 
এসআরএফের সভাপতি মাসউদুর রহমান, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম মল্লিক ও যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান ডালিম এ সময় প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানান।

প্রধান বিচারপতি তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় অচিরেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে। আইনজীবীদের বিশেষ করে নারী আইনজীবীদের যে অবকাঠামোগত অসুবিধা রয়েছে, তা অচিরেই দূর করা হবে। স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।

এসআরএফের কার্যালয় পরিদর্শনের আগে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব টয়লেট প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। 

ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোটের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞা ও স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

 

কবি রফিক আজাদের বাড়ি দখলের ষড়যন্ত্র!

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১ পিএম
কবি রফিক আজাদের বাড়ি দখলের ষড়যন্ত্র!
কবি রফিক আজাদের ভেঙে ফেলা বাড়ি। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ১ নম্বর সড়কে প্রয়াত কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী কবি-শিক্ষাবিদ দিলারা হাফিজ। তার ভাষ্য, বাড়িটি দখল করে হাউজিং কমপ্লেক্স তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

আশির দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪-এ বাড়িটি চারটি পরিবারকে সরকার থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ পরিবারও আছে। ওই বাড়িটির পশ্চিমাংশে কমবেশি ৫ কাঠা বরাদ্দ পান দিলারা হাফিজ। ওই বাড়িতে এখনো থাকেন তিনি। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রফিক আজাদের বাড়ির পাশের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাতে রফিক আজাদের বাড়ির একটি অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নাগরিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দিলারা হাফিজ বলেন, ‘বাড়িটি কিছু লোক দখল করার জন্য অনেক বছর থেকেই লেগে আছে। এ নিয়ে আদালতেও আমরা দৌড়ঝাঁপ করছি। কিন্তু কয়েক মাস ধরে বাড়িটি ছাড়তে আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, গত ১১ এপ্রিল বাড়িটি রফিক আজাদের নামে স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ, একটি পক্ষ তাদের এই বাড়ি ভাঙতে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে।

রফিক আজাদ ২০১৬ সালে মারা যান। এই বাড়িতে বসে তিনি তার আত্মজীবনী ‘কোনো খেদ নেই’ রচনা করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রফিক আজাদ লিখেছেন তার কালজয়ী কবিতা ‘ভাত দে হারামজাদা’।

 

ঢাকায় প্রবাসী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে: আসিফ নজরুল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
ঢাকায় প্রবাসী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে: আসিফ নজরুল
বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবাসী উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি : পিআইডি

ঢাকার গুলশানে শিগগির প্রবাসীদের কল্যাণে প্রবাসী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানান, হাসপাতালটি বিদেশফেরত প্রবাসীদের দিয়ে পরিচালিত হবে। প্রবাসীরা শেয়ার কেনার মাধ্যমে হাসপাতালটির মালিকানাও নিতে পারবেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ভবনের প্রবাসী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা, অসুস্থ প্রবাসীদের চিকিৎসা সহায়তা এবং প্রবাসে মৃতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান; বিমা ও মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

প্রবাসীদের কল্যাণে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ প্রবাসীকর্মীর লাশ দেশে ফেরত আসে। এই লাশ পরিবহনের জন্য আগে বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে প্রবাসীদের ভাড়া দিতে হতো। বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া সম্পূর্ণ ফ্রি করা হয়েছে এবং আরও দুটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স কেনা প্রক্রিয়াধীন।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রবাসীদের সাময়িকভাবে থাকার জন্য ঢাকায় বিমানবন্দরের কাছে খিলক্ষেত এলাকায় ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডরমেটরিকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ভবনে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’