ঢাকা ২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

শ্বেতপত্র কমিটির কাজ চুরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা: ড. দেবপ্রিয়

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পিএম
শ্বেতপত্র কমিটির কাজ চুরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা: ড. দেবপ্রিয়
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির কাজ চুরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা, চোর ধরা নয় বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির তালিকা তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মোট ১২ জন নামজাদা অর্থনীতিবিদ নিয়ে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়েছিল। একটি প্রতিনিধিত্বশীল কমিটির মাধ্যমে এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এই শ্বেতপত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, দুর্নীতির পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। এই কমিটির কাজ চোর ধরা নয়, চুরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা।’

কমিটির প্রতিটি সদস্য বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে। এমনকি যতটি সভা হয়েছে সেখানে একটি পয়সা সিটিং অ্যালাউন্স নেওয়া হয়নি।’

তবে বিদেশি পরামর্শক এনে এই শ্বেতপত্র করা হলে ন্যূনতম ২৫ কোটি টাকা খরচ হতো বলে জানান ড. দেবপ্রিয়।
 
তিনি বলেন, ‘কমিটি এই কাজ দেশের জন্য নিঃস্বার্থ অবদান হিসেবে করেছে, যা দেশের স্বার্থে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘রিপোর্টটিকে সাবধানতার কারণে এখনো খসড়া হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিছু পরিসংখ্যান পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে এটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা হবে। এই রিপোর্টের গ্রন্থস্বত্ব স্বয়ং বাংলাদেশ সরকার। এটিকে সরকার নিজস্ব দলিল হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।’

প্রথাগত গবেষণা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রতিবেদনের নানা দিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘৯০ দিনের মধ্যে আমরা নিজেরা ১৮ বার সভা করেছি। নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ২২ বার সভা করেছি। আমাদের প্রথম সভা ছিল ছাত্রদের সঙ্গে। তাদের সর্বোচ্চ জোর ছিল মানসম্মত শিক্ষার ওপরে। শ্বেতপত্রের পুরো প্রক্রিয়া না বুঝলে এই দলিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। জন-মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে এটি প্রস্তুত হয়েছে।’

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে কারা নির্যাতিত প্রবাসীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে কারা নির্যাতিত প্রবাসীদের আলটিমেটাম
প্রেসক্লাবে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কারা নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীরা। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসনে ছয় দফা দাবি পেশ করেছেন তারা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন আরব আমিরাত ফেরত খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষাতের অনুমতি না পেলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আগামী দিনে রেমিট্যান্স বন্ধের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ার দেন তিনি।

ছয় দফা দাবি হলো- আরব আমিরাতসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যেমন- যারা বিদেশ যেতে চান, সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে তাদের বিদেশ পাঠাতে ব্যবস্থা করা, যোগ্যতা অনুযায়ী দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা, যারা ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা হতে চান তাদের ব্যাংক/সংস্থার মাধ্যমে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং বয়স্ক প্রবাসীদের সরকারি ভাতার আওতায় নিয়ে আসা। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের নো-এন্ট্রি দিয়েছে, সেই নো-এন্ট্রি তুলে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া বন্ধসহ মামলা শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী এখনো বন্দি আছেন তাদের অতিদ্রুত মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা। প্রবাসীদের নামের তালিকা প্রস্তুতকারী বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনীতিক বিএম জামালসহ জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসনে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো ট্রাস্ট গঠন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরের তালিকায় কারা নির্যাতিত প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং জুলাই বিপ্লবের বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। 

খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আরব আমিরাত থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৯ প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন। এখনো সেখানে ধরপাকড় চলছে। শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টাকে আরব আমিরাতে যেতে হবে। পাকিস্তানের প্রবাসীদের বিরুদ্ধে নো-এন্ট্রি আইন তুলে নিয়েছে আরব আমিরাত। তাই অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ নিলে আবারও প্রবাসীরা আরব আমিরাতে যেতে পারবেন। এ সময় আমিরাত ফেরত হাফেজ মুহাম্মদ, ফরিদ শাহিন, জাহাঙ্গীর, আমিনুল ইসলাম ও সৌদি প্রবাসী মঈন উদ্দিন বাবু উপস্থিত ছিলেন। 

মাহফুজ

চলতি মাসেই প্রস্তুত হবে জুলাই হত্যা মামলার একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
চলতি মাসেই প্রস্তুত হবে জুলাই হত্যা মামলার একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মাসের মধ্যেই প্রস্তুত হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আশা করি, এ মাসের মধ্যে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন চলে আসবে। এরপর আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলে তার কয়েক মাসের মধ্যেই মামলা অনুযায়ী একে একে বিচার শেষ হবে বলে আশা করছি।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে চলমান বিচার নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, 'কোন শাসক গোষ্ঠী এরকম ঘৃণ্য কোন অপরাধ করার দুঃসাহস যাতে না দেখায় সেজন্য নিরপেক্ষতার সঙ্গে জুলাই আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে পালনে সচেষ্ট।' এই বিচারের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে যেন এই বিচার সম্পন্ন  হয় সে আশাও ব্যক্ত করেন চিফ প্রসিকিউটর।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, যে সব অপরাধীর বিচার ট্র্যাইব্যুনালে চলছে তাদের অনেক টাকা পয়সা। বিগত সরকারের সময়ে নানা উপায়ে তারা বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন। দেশে বিদেশে প্রপাগান্ডার মাধ্যমে তারা এই বিচারটা বিতর্কিত করার জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের ১৮ কোটি জনগণ ও ছাত্র-জনতা তাদের প্রপাগান্ডা রুখে দেবে আমারা এ প্রত্যাশা করছি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মানের বিচার কার্যক্রম চলবে। তার উপযোগী করে ট্রাইব্যুনাল ভবনকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনটি সংস্কারের পূর্বে অনেকটাই জরাজীর্ণ ছিল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন বরাবর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। আর ১৭ টি মামলায় ১১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। যাদের মধ্যে ৩৫ জন কারাগারে রয়েছেন। এই ট্র্যাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমের ১৪ জন প্রসিকিউটর ও ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা যুক্ত রয়েছেন বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

প্রসিকিউশন নিয়োগ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। আরও ১৪ আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাগণ হলেন- পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এডিশনাল ডিআইজি মো. মাজহারুল হক, পুলিশ সুপার (অব.) মুহম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর, মোহা. মনিরুল ইসলাম, মো. জানে আলম খান, সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ আব্দুর রউফ, পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুস, মো. মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মদ আলমগীর সরকার ও মো. মশিউর রহমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) এক্ট-১৯৭৩ এর সেকশন ৮ (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ এক্টের সেকশন ৩-এর অপরাধসমূহের তদন্ত পরিচালনায় তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। এখন ১৭ জন কর্মকর্তা তদন্ত সংস্থায় যুক্ত রয়েছেন।

অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১৪ অক্টোবর পুনর্গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার। ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয় ২৪ নভেম্বর। আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে খসড়া অনুমোদন এবং অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে বিশিষ্ট আইনজীবী, বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এক্টকে যুগোপযুগী করতে মত বিনিময় করে আইন মন্ত্রণালয়।

ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু

গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। জাজ্বল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউসন বরাবর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। আরও ১৭টি মামলায় ১১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। যাদের মধ্যে ৩৫ জন কারাগারে রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হত্যা, গণহত্যা ও গুলিতে আহতদের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ এখনো দাখিল হচ্ছে। এসব অভিযোগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা, দলীয় ক্যাডারদেরকে আসামি করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করে। আগামীকাল শনিবার এ সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী টানা ৩৬ দিনের আন্দোলন নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের হামলায় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছে। গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে ৫ শতাধিক। চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন চার শতাধিক। আহত হয়েছেন ২৩ হাজার ছাত্র জনতা। তাদের অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন।

আ.লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আ.লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাসসকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুয়েমী মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার সহসাই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেনো, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন,  ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যেকোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদশের জনগণের চাওয়া প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছি। একটি গণঅভ্যুত্থান যারা ঘটায়, পরবর্তী প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা না থাকার কারণে আমরা অতীতে দেখেছি যে, অভ্যুত্থানের অর্জনগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরেও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করেই যারা স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা একটি দল গঠনের চিন্তা করেছে। তাছাড়া ৫ আগস্টের পর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকেই কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে যায়নি।’

বর্তমানে তাদের ভেতরেও রাষ্ট্র গঠনের স্পৃহা তৈরি হয়েছে। এই শক্তিটাকে সংহত করার জন্য একটা রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আসিফ বলেন, ‘দল গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও এ দলের কোন নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে নতুন দলটির আত্মপ্রকাশের বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি।’

ছাত্রদের নতুন দলে সরকারের কোনো প্রতিনিধি থাকবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জাবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের নীতিগত অবস্থান হলো- বর্তমান সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তাদের সরকারে থাকাটা ঠিক হবে না। কেউ যদি সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যায় তো অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করে তবেই সেখানে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ এ সরকার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার দায়িত্ব নিয়েছে। পাশাপাশি দেশের সংস্কার এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার কাজ শেষ করার দায়িত্বও তাদের ওপর অর্পিত রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো ধরণের কনফ্লিক্ট যেন তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দলে তিনি থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ভাবিনি। কিছু বিষয় পর্যালোচনা করছি। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সবাই জানতে পারবে।’

সরকার চায় সংস্কার, রাজনৈতিক দলগুলো চায় নির্বাচন, এক্ষেত্রে বিষয়দুটি সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, ‘না, মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। এ বিষয়গুলোর পুরোটাই আমাদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার স্পষ্টই একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। ৫ আগস্টের পরে মানুষের মধ্যে এই মনোভাবই ছিল যে- যেকোনো একটি রাজনৈতিক দলকে যদি ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেও ওই একই গতানুগতিক ধারায় কাজ করবে। তবে এসব বিষয়ে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এই সরকারও ফেইস করছে। কারণ সমাজের প্রত্যেকটি কাঠামোতেই স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে।’

সংস্কার কমিশনের ছয় প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, এই রিপোর্টগুলো যথাযথ স্টেক হোল্ডারের কনসালটেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাঠ তৈরি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দলগুলো শেখ হাসিনার সময় বলে আসছিল, বিদ্যামান কাঠামোতে নির্বাচন সম্ভব নয়, তারা এখন আবার একই বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচনের কথা কোন গ্রাউন্ড থেকে বলছে এটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। সেটাও তাদেরকে স্পষ্ট করতে হবে। একই সংবিধান, আইনকানুন রেখে নির্বাচন করলে সেটা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচন থেকে কতটা আলাদা হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করে কোনো দলের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেই, তাদের জন্য সরকার চালানো কঠিন হবে। এ কারণেই ছয়টা সংস্কার কমিশনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারণ এগুলো শাসনতান্ত্রিক। বাকি সংস্কারগুলো জনস্বার্থমূলক। সেগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমরা মনে করি, এখানে মিনিংফুল সংস্কারের মাধ্যমেই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হতে পারে এবং সংস্কার কার্যক্রম ও আওয়ামী লীগের দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমেই নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।’

সুমন/

মিডিয়া সেন্সরশিপ নিয়ে ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনটি মিথ্যা: প্রেস উইং

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
মিডিয়া সেন্সরশিপ নিয়ে ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনটি মিথ্যা: প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশের মিডিয়া সেন্সরশিপ সম্পর্কে ইন্ডিয়া ডটকমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস- এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আবারও তারা অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে এমন জঘন্য দাবি করছে, বাস্তবতার সঙ্গে যার কোনও সম্পর্ক নেই।’ 

ভারতীয় গণমাধ্যমে এবার দাবি করা হচ্ছে যে, দরিদ্রদের জন্য যোদ্ধা হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্সরশিপের এক ভয়াবহ অভিযান শুরু করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিবেদনে কোনও সূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি এবং কোনও বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’ 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, তারা বর্তমান গণমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপের কোনও প্রক্রিয়া শুরু করেনি এবং এ ধরনের কোন ইচ্ছাও তাদের নেই।

বিবৃতি অনুসারে, মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ইউনূসকে আরও জানিয়েছে যে, তারা হাসিনার শাসনামলের কিছু বিতর্কিত কনটেন্ট তাদের আর্কাইভ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং সহিংসতা উসকে দিতে পারে এমন মিডিয়া কনটেন্ট অপসারণের জন্য তারা যথাযথ ও আইনি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। সূত্র: বাসস

এমএ/

গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই: ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই: ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত 'জনগণের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা। ছবি: খবরের কাগজ

দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। যার কারণে রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলো ভেঙ্গে পড়ে। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে, জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই। শোষিত শাসকদের হাতে যুগ যুগ ধরে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত 'জনগণের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান দেশের অশান্তি বিরাজ করছে একমাত্র নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে। তবে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে জনগণকে গণতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক সমাজ মানেই সর্বস্তরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন গণতন্ত্র চাই, ভোটের অধিকার এবং আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা চাই। তাছাড়া নির্বাচনে যেন দিনের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় এবং এই ভোটের মাধ্যমে দেশে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র যেন ফিরে আসে সেটাই চায় জনগণ।’

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নামান্তর স্বাধীনতা দিয়েই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।’

এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার উপদেষ্টা ও ঢাকা গ্রিন ওয়াচের সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুক্তরাষ্ট্র শাখা) এ.এস.এম রহমত উল্লাহ, লেখক ও কলামিস্ট কালাম ফয়েজী ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের মোজাম্মেল হোসেন শাহীন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/