রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ চান দেশের ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। আর ৮৬ শতাংশ মানুষ চান নিরপেক্ষ পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘কেমন পুলিশ চাই’ জনমত জরিপে তারা এই মতামত জানান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জননিরাপত্তা বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জনমত জরিপের ফলাফল নিয়ে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে গিয়ে কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্য সহিংস ভূমিকা নেন। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এই বাহিনী সমালোচিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়, যার কার্যক্রম চলমান। আর এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনমত যাচাইয়ে সংস্কার কমিশনের একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়। জনমত জরিপে অংশ নেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন মানুষ। তাদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের ছিল হার ৮৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে সর্বাধিক যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দারা রয়েছেন।
জরিপে উঠে এসেছে, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ চেয়েছেন দেশের ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। আর ৮৬ শতাংশ মানুষ চেয়েছেন নিরপেক্ষ পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চেয়েছেন ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দেন ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ভুয়া এবং গায়েবি মামলার অবসান চেয়েছেন ৯৫ শতাংশ মানুষ। তা ছাড়া পুলিশের সেবাসংক্রান্ত ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৭টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে জনমত জরিপে। তবে পুলিশের ৯৯৯ জরুরি কল সার্ভিসের বিষয়ে সন্তোষজনক বলে মত দেন বেশির ভাগ উত্তরদাতা।
-1736858298.jpg)
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন- শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। দুপুরের সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন- শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামস উদ দ্দোজা। সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
