ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি, সতর্কতা যুক্তরাজ্যের

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি, সতর্কতা যুক্তরাজ্যের
যুক্তরাজ্যের পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শে এই সতর্কতা জানিয়েছে।

সতর্কতায় বলা হয়, জনাকীর্ণ এলাকা, ধর্মীয় স্থাপনা ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, কিছু গোষ্ঠী এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করেছে, যাদের ইসলাম পরিপন্থী জীবনাচরণ ও মতামত রয়েছে বলে তারা মনে করে। বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করা হয়েছে। প্রধান শহরগুলোতে এসব হামলায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত এসব হামলা নস্যাতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।

ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতায় বলা হয়েছে, চারপাশ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে পুলিশের স্থাপনাগুলোর আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বড় ধরনের সমাবেশ এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি সংবলিত অন্যান্য জায়গা এড়িয়ে চলুন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়, যাতে অনেক মৃত্যু ও বহু আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো অস্থির রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশন বলেছে, রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এগুলো দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। দেশজুড়ে শহর ও নগরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। ঢাকা ও অন্যান্য শহরে অপরাধী চক্রের তৎপরতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাইকমিশন। 

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার: মাহফুজ আলম

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ পিএম
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার: মাহফুজ আলম
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বদলীয় বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আলোচনার স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। খসড়া ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্রমঞ্চসহ রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার সঙ্গে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে।’

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘ঘোষণাপত্র সরকার দেবে না। সরকার ঘোষণাপত্রের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করছে। ঘোষণাপত্র আসবে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। সেজন্য সংগঠন দুটির কর্মীরা সারাদেশ থেকে শহিদ মিনারে জড়ো হয়েছিল। এ ঘোষণাপত্র নিয়ে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং তখন এ উদ্যোগের সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে উল্লেখ করেছিল।

গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ওই রাতেই বৈঠক করে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাই এ লক্ষ্যে জনমত তৈরিতে সারা দেশে প্রচারপত্র বিতরণ ও জনসংযোগ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

মাহফুজ/এমএ/

এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
ছবি : সংগৃহীত

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজির সিলিন্ডারের ভোক্তাপর্যায়ে ৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫৯ টাকা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দামের ঘোষণা দেয় বিইআরসি। আজ সন্ধ্যা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫৯ টাকা, যা মাসের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪৫৫ টাকায়। 

এছাড়া বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি গ্যাসের দাম ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা ও রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম ১১৭ টাকা ৮১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়াও গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা।

এমএ/

বিনিয়োগ সংস্থাগুলোকে একত্রিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
বিনিয়োগ সংস্থাগুলোকে একত্রিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
যমুনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংয়ের সাক্ষাৎ। ছবি: পিআইডি

দেশে অধিকহারে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগ সংস্থাগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং এবং কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সাক্ষাতে কিহাক সাং বেশ কিছু সমস্যা উত্থাপন করে বলেন, এসব সমস্যা বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে। তিনি বড় আকারে বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা কিহাক সাং-কে জানান, কোরিয়ান ইপিজেডের ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা শিল্প পার্কে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এর সমাধান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই কোরিয়ান ইপিজেড সবার জন্য একটি মডেল হোক। আমরা আশা করি এটি বড় বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং এতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

কোরিয়ান ইপিজেডের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রশংসা করেন কিহাক সাং। তিনি বলেন, ‘আরও কোরিয়ান বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন।’

কিহাক সাং বলেন, ‘এটি অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য দরজা খুলে দেবে। কোরিয়ান ইপিজেড অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মডেল হবে।’

ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান সরকারকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য শিপমেন্ট প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম বন্দরে ধীর কার্যক্রমের কারণে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো উচ্চমানের ও ফ্যাশন পোশাকের অর্ডার দিতে আগ্রহী নয়।

তিনি বলেন, ফ্যাশন পোশাকের দ্রুত রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করা প্রয়োজন, সেটি ১০-১৫ দিনের মধ্যে হতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে কখনও কখনও শিপমেন্ট সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লাগে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কিহাক সাং ভিয়েতনামের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, সেখানে তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগ করেছেন। দেশটি রপ্তানি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বন্দরের কার্যক্রমে দক্ষতা বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী চট্টগ্রাম বন্দরকে এই অঞ্চলের শীর্ষ বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।

কিহাক সাং ও ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এ মতিন সকল বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তারা বলেন, এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একক সেবা প্রদান নিশ্চিত করবে।

কিহাক সাং বলেন, ইয়াংওয়ান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে নির্মাণ করেছে, যেখান থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি তরুণ প্রশিক্ষণ নেবে। তিনি জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে।

কিহাক সাং অধ্যাপক ইউনূসকে ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। সূত্র: বাসস

‘প্লে উইথ এ পারপাস’ কর্মশালা শিশুর মানসিক বিকাশকে অতি জরুরি সেবা গণ্য করার সুপারিশ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
শিশুর মানসিক বিকাশকে অতি জরুরি সেবা গণ্য করার সুপারিশ
কক্সবাজারে ‘প্লে উইথ এ পারপাস’ শীর্ষক কর্মশালায় অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

শুধু স্বাভাবিক সময়ে নয়, দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতিতেও শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা সমান জরুরি। শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশকে অতি জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

‘প্লে টু লার্ন’ প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কক্সবাজারে ‘প্লে উইথ এ পারপাস’ শীর্ষক কর্মশালায় এ সুপারিশ করা হয়।

কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ তথা শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ নিশ্চিত করতে ব্র্যাক, আইআরসি ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে ‘প্লে টু লার্ন’ নামের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ।

সিসেমি ওয়ার্কশপ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিশুতোষ টেলিভিশন সিরিজ সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

দিনব্যাপী সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন।

কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন- শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। দুপুরের সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন- শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামস উদ দ্দোজা। সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিসেমি ওয়ার্কশপ ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাসহ দাতা সংস্থা, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও দেশি উন্নয়ন সংস্থার উর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা।

আলোচনায় যেকোনো দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতিতে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশকে অতি জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

কর্মশালার নানা পর্যায়ে ‘প্লে টু লার্ন’ প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে জানানো হয়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের খেলা ও বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করতে দুটি রোহিঙ্গা শিশু চরিত্র তৈরি করে সিসেমি ওয়ার্কশপ। নূর ও আজিজ নামের এই দুই শিশু চরিত্র রোহিঙ্গা শিশুদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। নূর ও আজিজকে নিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য রোহিঙ্গা ভাষায় তৈরি করা হয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষামূলক ভিডিও কন্টেন্ট। যা ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ব্র্যাকের প্লেল্যাব ও ইউএনএইচসিআর এবং সহযোগী সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন, টেরে দেস হোমস (টিডিএইচ), রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল ও কোডেক-এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিশুদের দেখানো হয়েছে এবং হচ্ছে। পাশাপাশি এ প্রকল্প থেকে ১২টি গল্পের বই বার্মিজ, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় উন্নয়ন ও প্রকাশ করা হয়েছে। এসব বই কক্সবাজারের ১৪টি সংস্থার শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রায় দুই লাখের মতো শিশুতোষ বইগুলো ব্যবহার করে আসছে। এছাড়া বাড়িতেও শিশু বিকাশের পরিবেশ তৈরিতে বিতরণ করা হয়েছে শিশু বিকাশ হোমকিট। একই সঙ্গে অভিভাবক ও শিশু যত্নকারিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, গত ছয় বছর ধরে চলমান ‘প্লে টু লার্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা শিশু, অভিভাবক এবং শিশু যত্নকারী সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রকল্পের আওতাধীন শিশুদের মধ্যে ৭০ শতাংশ শিশুর সার্বিক বিকাশ সাধিত হয়েছে। শতকরা ৯১ ভাগ শিশুর মানসিক বিকাশ হয়েছে এবং ৯৬ ভাগ শিশু যত্নকারী ও অভিভাবকরা শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হয়েছেন।

এমএ/

নির্বাচনের সময়সীমার সিদ্ধান্ত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর: গোয়েন লুইস

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
নির্বাচনের সময়সীমার সিদ্ধান্ত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর: গোয়েন লুইস
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, কোন সময়ে নির্বাচন হবে এটা সরকার ও এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা নির্বাচনে শুধু কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে চাই। জাতিসংঘ কারিগরিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গোয়েন লুইস এদিন বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলকে নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ, কীভাবে সহায়তা করা যায় তা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় জাতিসংঘের অ‍্যাসেসমেন্ট টিম, নির্বাচন কমিশন ছাড়াও বৈঠক করবেন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কারিগরি সহযোগিতা দিতে আগ্রহী জাতিসংঘ। আজ আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সহযোগিতা দেব।

গো‌য়েন লুইস বলেন, নির্বাচনে সহায়তার জন্য প্রতিনিধিদল আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম যাবে। সেখানে নির্বাচনি বিভিন্ন অংশীজন যেমন- রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রতিনিধি দল ফিরে এসে প্রতিবেদন দেবে।

এমএ/