
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত অবরোধের ঘোষণার প্রেক্ষিতে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ ভারতের জন্য বৃহত্তম ব্যবসায়িক কেন্দ্র। ভারত কি আমাদের বিনা পয়সায় দেয়, না টাকার বিনিময়ে দেয়? তাহলে ওটা (বাণিজ্য) যদি তারা বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করুক।’
তিনি বলেন, ‘গরু বন্ধ করেছিল, তো গরু কি এখন আমরা খাই না? বন্ধ যদি উনারা করতে চায় তো উনাদের ব্যাপার। ওরা বন্ধ করলে ওদের ইকোনমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটার সঙ্গে লাখ লাখ লোক দু’দেশেই জড়িত। এটা পলিটিক্যাল বিষয়। পলিটিক্স উনারা করছেন, কিন্তু আমি মনে করি না ব্যবসায়ীরা এটা সাপোর্ট করবেন। এতো বড় একটা বাজার, সেই বাজারটা নষ্ট করবে বলে আমার মনে হয় না। একদিন দুইদিন অবরোধ তো আমরাও করি মাঝে মধ্যে।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ভারতীয় মিডিয়ার প্রোপাগন্ডার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা তাদের মিডিয়া চালানোর জন্য নানান রকম... এতে যেটা হচ্ছে সেটা হলো আমাদের চেয়ে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। কারণ বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকতে চায়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে বলেন, ৫০ বছর বা ৫২ বছরের বাংলাদেশে আপনারা শুনেছেন যে সব দল এক জায়গায় বসে কথা বলেছে? আপনিও শোনেন নাই, আমার বয়স বেশি আমিও দেখি নাই। রাজনীতিবিদরা আলটিমেটলি দেশ চালাবে, আজকে হোক কালকে হোক, সেই জায়গাতে যদি রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐক্যমত না হয়, তাহলে জাতীয় যে পথ নির্ধারণ করার দরকার সেটা তখন এলোমেলো হয়ে যায়। এক দল একরকম বলবে, আরেক দল অপোজ করবে, এখন যেহেতু সবাই একত্র বসেছে, এরপরে তো আমাদের ধর্মীয় নেতারা তারাও একসঙ্গে বসেছেন। এটা একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। এটা একটা উদাহরণ।
এর আগে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ভোমরা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদসহ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিজিবি, পুলিশ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নাজমুল শাহাদাৎ জাকির/মাহফুজ/এমএ/