ঢাকা ৬ বৈশাখ ১৪৩২, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
English

ঋতুস্রাবে করণীয় কী, প্রান্তিকে জানে না অনেক নারী

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
ঋতুস্রাবে করণীয় কী, প্রান্তিকে জানে না অনেক নারী
রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মাসিক সমতা ও যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ সংক্রান্ত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্যবহারের পরে নষ্ট করে ফেলা যায় এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন মাত্র ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ নারী চা শ্রমিক। ৮৭ দশমিক ১৩ শতাংশ নারী ঋতুস্রাবকালীন সময়ে এখনও পুনরায় ব্যবহারযোগ্য কাপড় ব্যবহার করেন। ৭৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ নারী শ্রমিক ঋতুস্রাবের প্রথম অনুভূতি বুঝতে পারেন না। ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ নারী শ্রমিক ঋতুস্রাবকালীন সময়ে করণীয় কী তা জানেন না। ৯২ শতাংশ নারীকে স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলাতে হয় চা বাগানের কোনো ঝোঁপের আড়াল বা উন্মুক্ত স্থানে।

গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (জিবিএফ) এর অধীনে ‘আনচার্টেড রেড ওয়াটারস’ প্রকল্পের অধীনে সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে ‘বাংলাদেশে নির্বাচিত প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মাসিক সমতা: নীতি ও কর্মসূচির আলোকে’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্পের গবেষক ফারিয়া রহমান ও বর্ষা আহমেদ এ তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, গত ২৩ নভেম্বর রাজবাড়ির দৌলতদিয়ায় যৌনকর্মীদের নিয়ে, ২১ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরীদের ওপর, ১৭ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকদের ওপর এবং ১৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বেদে সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছে।

রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মাসিক সমতা ও যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ সংক্রান্ত গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: খবরের কাগজ

সমীক্ষায় উঠে এসেছে যৌন পল্লীর ৫৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ নারী স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। সেখানে মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার তথ্য পাচ্ছেন। ২৪ শতাংশ নারী বলছেন ঋতুস্রাবকালীন সময়েও তাদের যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। বেদেপল্লীতে স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন ৪৮ শতাংশ নারী। এই সমাজে প্রথম ঋতুস্রাবের পরে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সচেতন নন শতকরা ৭৫ ভাগ নারী। এই সমাজের ৫৮ ভাগ নারী ঋতুস্রাবকালীন জটিলতার জন্য চিকিৎসকের কাছে যান না।

গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের অ্যালামনাই উপমা রশিদের সঞ্চালনায় এই আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল হাসান, আইসিডিডিআরবির হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ বিভাগের কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম, ইউনাইটেড নেশন্স পপুলেশন ফান্ড-ইউএনএফপিএ এর ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তা ডা. মেহবুবা নূর প্রথা, সাজিদা ফাউন্ডেশনের সালমা আহমেদ, ব্রাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ আব্দুল জব্বার, ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের গ্লোরিয়া চন্দ্রাণী বাড়ৈ, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের তেহসিনা খানম, শেয়ার-নেট বাংলাদেশের কান্ট্রি কো অর্ডিনেটর ড. ফারহানা হক, মানবমুক্তি সংস্থার আতাউর রহমান মঞ্জু, হাউজ অব ভলেন্টিয়ারসের সাদিয়া তাসনিম, বি-স্ক্যানের সালমা মাহবুব (বি-স্ক্যান)। 

আলোচনা সভার শুরুতে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্বের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঝর্ণা আক্তার, যৌনকর্মী আশা আক্তার (ছদ্মনাম), শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগানের শ্রমিক সীমা রাণী তাঁতী তুলে ধরেন । 

গবেষক মাহবুব উল আলম বলেন, ‘হাইজিন ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সেনিটারি ন্যাপকিন। সেটাকে আসলে ফ্যান্সি পণ্য হিসেবে দেখিয়ে ইমপোর্ট ট্যাক্স হিউজ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় প্রক্রিয়া (এমএসআর) নিয়ে সবাই কথা বলা শুরু করল। তখন এটা কিছু কমানো হয়। আমরা চাই, সেনিটারি ন্যাপকিন কোনো ফ্যান্সি প্রোডাক্টের আওতায় থাকবে না। জীবন রক্ষাকারী এ পণ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স কিছুই যদি না থাকে তাহলে দামটাও বেশ কমে আসবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এখানে ভূমিকা রয়েছে।’  

ঋতুস্রাবকালীন কর্মজীবী নারীদের জন্য যে ধরনের অবকাঠামো দরকার সেটি এখনো গড়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেনিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের পরে সেটি কি গৃহস্থালি বর্জ্য নাকি হাসপাতাল বর্জ্যের সঙ্গে ভাগাড়ে যাবে সেই ব্যবস্থাপনাও করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুরুষের অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিয়ে সামাজিক মহলে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন মাহবুব উল আলম। তাছাড়া প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আলাদা ব্যবস্থাপনা প্রণয়ণেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। 

ডা. মঈনুল হাসান সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিনামূল্যে সেনিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করা যায় কি না এমন একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করতে বলেন নাগরিক সমাজকে। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওষুধ, ইনজেকশন, ভ্যাকসিন ফ্রি দিচ্ছি। আমি মনে করি, এর মধ্যে সেনিটারি ন্যাপকিনটাও ইনক্লুড করা যায় কি না। সর্বমহল থেকে এমন প্রস্তাবনা এলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুভ করতে পারি। মেডিকেল সার্জিকেল রিঅ্যাজেন্ট প্রকিউরমেন্ট প্রসিডিউরে (এমএসআর) সেনিটারি ন্যাপকিন ইনক্লুড করতে পারি।

মাহফুজ/এমএ/

মেঘনা গ্রুপ ৮৬২ কোটি টাকার গ্যাস বিল দিচ্ছে না

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
মেঘনা গ্রুপ ৮৬২ কোটি টাকার গ্যাস বিল দিচ্ছে না
মেঘনা গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

মেঘনা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ধরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রায় ৮৬২ কোটি টাকার গ্যাস বিল বকেয়া রেখেছে। দফায় দফায় চিঠি দিয়েও এই বিল আদায় করতে পারেনি তিতাস। যখনই তিতাস কর্তৃপক্ষ বিলের জন্য চাপ দিয়েছে তখনই মেঘনা তিতাসকে উল্টো চাপে ফেলেছে। যখনই যিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, তখনই তাকে চেয়ার হারাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আগে কেউ মেঘনার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে সাহস পাননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক ছিল মেঘনা গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা কামালের। সেই সম্পর্ক ব্যবহার করে লুটপাট করেছেন তিনি।

মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ক্যাপটিভ কোম্পানি হিসেবে ২০১০ সালে  কার্যক্রম শুরু করে, যেটি উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রচলিত আছে শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ওই প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। তিতাস গ্যাস সূত্র জানিয়েছে, এই এভারেস্ট পাওয়ার লিমিটেডের কাছে তিতাসের পাওনা ৭৭০ কোটি টাকা। আর মেঘনা সুগার রিফাইনারির বকেয়ার পরিমাণ ৯২ কোটি টাকা।

একটি কোম্পানির কাছে এত টাকা আটকে থাকা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ। তিনি বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ বকেয়ার কারণে তিতাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার। আগে তারা বিভিন্ন সময় নানা প্রেশার গ্রুপ ব্যবহার করে পার পেয়েছে। এখন আমরা হার্ডলাইনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

এসব বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে সখ্যের সুযোগে মেঘনা গ্রুপ চুক্তির মাঝপথে এসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়ে নিয়েছে। শুরুতে কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ মেগাওয়াট ছিল। তিন বছর পর ২০১৪ সালে ৫০ দশমিক ৭০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। একই সঙ্গে ক্যাপটিভ থেকে স্মল আইপিপি হিসেবে রূপান্তরিত হয়ে যায় এভারেস্ট পাওয়ার। কেন্দ্রটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও মেঘনা ইকোনমিক জোনে অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে দেওয়া বিদ্যুতের গ্যাসের বিল আইপিপি রেটে এবং বাইরে বিক্রি করা বিদ্যুতের অংশের গ্যাসের দাম ক্যাপটিভ রেটে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু বিইআরসির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাপটিভ রেটে গ্যাস বিল দেয়নি।

ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ওই টিমের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা। সে সব তথ্যের ভিত্তিতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মোস্তফা কামাল ও তার পরিবারের সব সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অবরুদ্ধ করতে আদালতে আবেদন করার উদ্যোগ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। অবশ্য গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী ও গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি আক্তার এবং সন্তানদের ৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ৩০ দিনের জন্য ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ রাখার আদেশ চেয়ে শিগগিরই আদালতে আবেদন করবেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা কামাল ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজার ১৩১ কোটি ৩৩ লাখ ২১ হাজার ১২৬ টাকার শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের পণ্য আমদানি করেছেন। তবে এ সময়ে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) অনুযায়ী ইনভয়েস মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৪৮ হাজার ৩৬৮ কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৩১১ টাকা। সে হিসাবে আমদানির আড়ালে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে গোপনে ৭৯ হাজার ৭৬২ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

জাফরুর নতুন সভাপতি আরেফিন অডেন, সম্পাদক আকতারুল

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১ পিএম
জাফরুর নতুন সভাপতি আরেফিন অডেন, সম্পাদক আকতারুল
জাফরু’র নতুন কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জার্নালিজম অ্যালামনাই ফোরাম অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটির (জাফরু) নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
 
এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান আরেফিন অডেন (তৃতীয় ব্যাচ)। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম (৪র্থ ব্যাচ)। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় ২৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।

কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফেরদাউস মোবারক (বিজনেস স্যান্ডার্ড) এবং মো. জাহাঙ্গীর আলম (খবরের কাগজ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহা (৭১ টিভি), সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহেল (মাছরাঙা টিভি), অর্থ সম্পাদক পারভেজ হাসান তরফদার (এজিএম, সোনালী ব্যাংক) মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত সিদ্দিক (বিবিসি এ্যাকশন), যোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান (সমকাল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফসারা তাসনিম (মাস্টার হেড পিআর) ও জনকল্যাণ সম্পাদক শামসুল হক শামস (পিআরও, আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়) নির্বাচিত হয়েছেন। 

কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রুহুল কুদ্দুস খান (সাবেক সভাপতি), মাহফুজ মিশু, যমুনা টিভি (সাবেক সাধারণ সম্পাদক), শাহানাজ সিদ্দিকী সোমা (বাসস), সরদার মহিউদ্দিন (ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়), নাজমুল হাসান (বাংলাদেশ পুলিশ), জুয়েল কিবরিয়া (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়), যোবায়ের শাওন (অতঃপর শব্দায়ন) ও মাইনুল হোসেন (জাগো নিউজ)।

কমিটি গঠনের আগে জাফরুর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস খান সুমনের সভাপতিত্বে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিশু অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় করেন।

জাহাঙ্গীর/মাহফুজ

বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্র হওয়ার উদাহরণ রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্র হওয়ার উদাহরণ রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশপন্থি (প্রো-বাংলাদেশ) পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে এ কথা বলেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শতাব্দী ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হাত মিলিয়েছে। একই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জাপানে বোমাবর্ষণ করেছিল। কিন্তু পরে তারা মিত্রে পরিণত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কী পাকিস্তানপন্থি হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মোটেও অবাক করেনি। এমন কিছু মানুষ সব সময়ই থাকবে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়কে খুব কমই বিশ্বাস করবে।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের জবাব স্পষ্ট ছিল। অতীতে দেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে এটি বাংলাদেশপন্থি নীতি হবে, যা আমাদের নিজস্ব স্বার্থে পরিচালিত হবে।’

এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে অন্য প্রতিবেশী থেকে দূরে সরে যাওয়া একটি স্বাধীন জাতির পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না বলে মনে করেন আজাদ মজুমদার।

আজাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টিকারী একটি আবেগঘন বিষয় হলো, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য দেশটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বিশ্বাস করতেন, ক্ষমা চাওয়া- সদিচ্ছা ও উদারতার কাজ হবে। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ও সামরিক আমলাতন্ত্র এর বিরোধিতা করেছে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো ক্ষমা চাওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের একটি অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

আজাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের আরও প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছে যা ১৯৭০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ/সংস্থাগুলো অনুদান হিসেবে দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের লাহোর শাখায় স্থানান্তরিত হওয়ার আগে এই অর্থ ঢাকার পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকে সংরক্ষিত ছিল।

আজাদ মজুমদার তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসনের আরেকটি বিষয় ছিল, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করেছিল। 

তিনি বলেন, এই বিষয়গুলোই দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ ও ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম বিকল্প হলো আলোচনা এবং অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক এটাই করার চেষ্টা করছে। পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার পাশাপাশি যথাযথভাবে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছে।

উপ-প্রেস সচিব স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ডিসেম্বরে মিশরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় বালুচের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। ওই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সুবিধার্থে অতীতের ইস্যুগুলো সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এখন এক সঙ্গে কাজ করা ও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভবত সময় এসেছে।

 

এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৯০ জনকে আটক করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়। ১০ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত, ডাকাত, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত ও দালালচক্রের সদস্যরা রয়েছে।

এতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বৈশাখী উৎসব ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালায়।

বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি, চলমান এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধান করতে দেশব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। বাসস।

মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধ হচ্ছে না: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধ হচ্ছে না: প্রেস সচিব
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে কলেজটি পরিদর্শনকালে তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, মেডিকেল কলেজ বন্ধ, স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অধিভুক্ত করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। কলেজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল আলম বলেন, কলেজের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি সম্যক অবহিত, যা সন্তোষজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে, দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে এবং দেশের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে উৎসাহিত করেন। এ সময় মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।