রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করতে পারতেন, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে হতো না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রাজনীতিবিদরা সংস্কার করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তারা কি করেছেন? রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করতে পারেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।’
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালের রাজধানীর গুলশানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যক্তিগত গাড়িচালকদের পুনপ্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন চালিয়ে আগামী মাসের মধ্যে নীরব ১০টি এলাকা ঘোষণা করা হবে। হর্ন বাজালে তাকে জেলে পাঠানো সমাধান নয়। নিজের মধ্যে পরিবর্তন করে সমাধান আনতে হবে।
গাড়ির গতি কমালে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে তেমনি হর্নও বাজানোর দরকার হয় না। জনদুর্ভোগ হয়তো কিছুটা কমানো যাবে কিন্তু বায়ুর মান খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, বলেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য রাজধানীর প্রত্যেকটি সোসাইটিকে সহযোগিতা করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শব্দদূষণের কারণে ট্রাফিক পুলিশদের কাজ করাও দুঃসহ হয়ে পড়ছ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশে হর্ন দেওয়ার মানে হলো গালি দেওয়া। রাজধানীতে যতগুলো সোসাইটি আছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। হর্নের যন্ত্রণায় মানুষ বিকারগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছেন। শব্দদূষণের কারণে একটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।’
২০২৩ সালের বিভাগীয় শহরগুলোতে জরিপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে রাজধানীতে সর্বোচ্চ শব্দদূষণ হয় ১২৯ দশমিক ৪ ডেসিমাল আর সর্বনিম্ন ৩০ দশমিক ৭ ডেসিমাল।
অমিয়/