ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

‘রাজনীতিবিদরা সংস্কার করতে পারলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না’

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পিএম
‘রাজনীতিবিদরা সংস্কার করতে পারলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করতে পারতেন, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে হতো না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রাজনীতিবিদরা সংস্কার করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তারা কি করেছেন? রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করতে পারেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।’

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালের রাজধানীর গুলশানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যক্তিগত গাড়িচালকদের পুনপ্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন চালিয়ে আগামী মাসের মধ্যে নীরব ১০টি এলাকা ঘোষণা করা হবে। হর্ন বাজালে তাকে জেলে পাঠানো সমাধান নয়। নিজের মধ্যে পরিবর্তন করে সমাধান আনতে হবে।

গাড়ির গতি কমালে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে তেমনি হর্নও বাজানোর দরকার হয় না। জনদুর্ভোগ হয়তো কিছুটা কমানো যাবে কিন্তু বায়ুর মান খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, বলেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য রাজধানীর প্রত্যেকটি সোসাইটিকে সহযোগিতা করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শব্দদূষণের কারণে ট্রাফিক পুলিশদের কাজ করাও দুঃসহ হয়ে পড়ছ।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশে হর্ন দেওয়ার মানে হলো গালি দেওয়া। রাজধানীতে যতগুলো সোসাইটি আছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। হর্নের যন্ত্রণায় মানুষ বিকারগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছেন। শব্দদূষণের কারণে একটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।’ 

২০২৩ সালের বিভাগীয় শহরগুলোতে জরিপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে রাজধানীতে সর্বোচ্চ শব্দদূষণ হয় ১২৯ দশমিক ৪ ডেসিমাল আর সর্বনিম্ন ৩০ দশমিক ৭ ডেসিমাল।

অমিয়/

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব
ডিআরইউ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল। সেই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। ভবিষ্যতে গণমাধ্যমে যাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হস্তক্ষেপ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর ব্যানারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার আমরা করতে যাচ্ছি কারণ গণমাধ্যমকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার ব্যবহার করেছে। আইসিটি নামে যেটা ছিল সেটা ন্যায়বিচার ছিল না। সেটা ভয়াবহ অন্যায় বিচার ছিল।

আমাদের দেশে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালভাবে কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস।

তিনি আরও বলেন, যারা চুরি করে তাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া। 

আলোচনা সভা থেকে ১৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমে নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব প্রতিষ্ঠা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ রোধে স্বতন্ত্র গণমাধ্যম কমিশন গঠন, মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকরির নিরাপত্তা, বেতন কাঠামোর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, বাজেটে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ রাখা, গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, আঞ্চলিক ও বিকল্প গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই এর মুখপাত্র প্লাবন তারিক, আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট আব্বাস উদ্দিন নয়ন, আইনজীবী মোল্লা ফারুক এহসান এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মাহবুব আলম প্রমুখ।

এমএ/

ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হাজারীবাগের ট্যানারি গোডাউনে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকাল পৌঁনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনটির ভেতরে দাহ্য বস্তু ছিল, ছিল না ফায়ার সেফটি প্ল্যান নিরাপত্তাব্যবস্থা।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। ভেতরে দাহ্য বস্তু, পানির সংকট, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে প্লাস্টিক, চামড়াজাতীয় দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আগুন ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

মাহফুজ/এমএ/

আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত
ভোলায় লঞ্চঘাট পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময় যে যা খুশি তা করেছে, এখন আর সেই সময় নেই। সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিবেন যে কী করলে কী হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে তিনি ২ দিনের সফরে ভোলায় অবস্থান করছেন।

লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০ টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে।'

চারপাশ নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, 'নতুন ঘাটগুলো ভোলা সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন, ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চল নৌ পথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।'

ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ইমতিয়াজ/সিফাত/

হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের ট্যানারি গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল পৌঁনে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে দুপুর দুইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

এ দিকে আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

নাবিল/এমএ/

হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি গোডাউনের আগুনের ঘটনায় উদ্ধার কাজে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে হাজারীবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন ৭তলা ভবনের চতুর্থ তলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, হাজারীবাগে লেদারের গোডাউনে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

এমএ/