ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি
জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্ত করতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাবেক বিডিআর সদস্য ফয়জুল আলম, জেলখানায় নিহত পরিবারের সন্তান অ্যাডভোকোট আব্দুল আজিজ, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য রেজাউল করিম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

কারা নির্যাতিত বিডিআর সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
 
২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর জওয়ান ও সাধারণ নাগরিকসহ ৭৪ জন শহিদ হন। 

এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে মামুন বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের নির্ভরযোগ্য পুনরায় তদন্ত হওয়া দরকার। দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা চাই নির্ভরযোগ্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সঠিক তদন্ত করা হোক। এতে দেশের মানুষ জানতে পারবে প্রকৃতপক্ষে সেদিন কী ঘটেছিল।’ 

আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিচার বিভাগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মনগড়া কাউকে ফাঁসি, কাউকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। সাজার মেয়াদ শেষ করে বিডিআর সদস্যরা যেন কোনো প্রতিবাদ ও সত্যটা উদ্ঘাটন করতে না পারেন, সে জন্য বিস্ফোরক মামলার নামে আরেকটি মামলা দিয়ে বিগত ১৬ বছর যাবৎ কারাগারে আটক করে রেখেছে।’  

লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। 

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- আওয়ামী লীগের আমলে প্রহসনমূলক মামলা ও মামলার রায় বাতিল, ১৬ বছর ধরে কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু করা।

বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত হওয়া বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং নিহত বিডিআর সদস্যদের পরিবারের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

বিজিবিকে পুনরায় বাংলাদেশ রাইফেলস নামে পুনঃস্থাপনের অনুরোধ জানান মামুন। 

পাশাপাশি প্রতিবছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে শহিদ সেনাদিবস ঘোষণার দাবিও জানানো হয় এ সংবাদ সম্মেলনে। 

জয়ন্ত/পপি/

কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতি পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, বাজার অর্থনীতির কারণে জমির অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে। যে কারণে নদ-নদী, জলাভূমি ও বনভূমি দখল করে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে কালোটাকার প্রভাবও দায়ী।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে যৌথভাবে বাপা ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত দুই দিনের বিশেষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, 'দেশের বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মানলেই পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব। আইন যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বিশেষ কমিশন গঠন করতে হবে।'

পরিবেশ ধ্বংস করে এমন প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, 'উন্নয়নকে সব সময় পরিবেশের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি; বরং ওই অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। আমাদের পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।'