ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে চার জোড়া ট্রেন

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে চার জোড়া ট্রেন
ফাইল ছবি

ঢাকা-গাজীপুর রুটে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে চার জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের জনসংযোগের পরিচালক মো. নাহিদ হাসান খান সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরাগ ও জয়দেবপুর কমিউটার ট্রেনগুলো যাত্রীসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চারবার ছেড়ে যাবে। আবার জয়বেদপুর থেকেও চারবার ঢাকায় আসবে। তার মধ্যে তুরাগ কমিউটার ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় সকাল ৫টা আর জয়দেবপুর পৌঁছানোর সময় ৬টা। বিরতি থাকবে বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে। এদিকে জয়দেবপুর কমিউটার ঢাকা থেকে ছাড়বে ৫টা ২৫ মিনিটে আর জয়দেবপুর পৌঁছাবে ৬টা ২৫ মিনিটে। বিরতি থাকবে তেজগাঁও, বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে। আবার জয়বেদপুর থেকে তুরাগ কমিউটার ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায় আর ঢাকা পৌঁছাবে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে। বিরতি থাকবে তেজগাঁও, বনানী, বিমানবন্দর, ধীরাশ্রম ও টঙ্গী স্টেশনে। আর জয়দেবপুর কমিউটার জয়দেবপুর থেকে ছাড়বে ৭টা ১০ মিনিটে ও ঢাকায় পৌঁছাবে ৮টা ২৫ মিনিটে। বিরতি থাকবে তেজগাঁও, বনানী, বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে। এই ট্রেন আবার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে বেলা ১১টায় ও পৌঁছাবে দুপুর ১২টায়। বিরতি থাকবে তেজগাঁও, বনানী, বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে। একই স্টেশনে বিরতি দিয়ে জয়দেবপুর কমিউটার জয়দেবপুর ছাড়বে দুপুর সাড়ে ১২টায় ও ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে।

অন্যদিকে তুরাগ কমিউটার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে জয়দেবপুর ছাড়বে ও ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে। আবার ঢাকা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ও জয়বেদপুর পৌঁছাবে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে। 

তুরাগ কমিউটারের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও জয়দেবপুর কমিউটারের শনিবার। এই ট্রেনগুলোর টিকিট শুধুমাত্র নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ইস্যু করা হবে।

কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতি পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, বাজার অর্থনীতির কারণে জমির অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে। যে কারণে নদ-নদী, জলাভূমি ও বনভূমি দখল করে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে কালোটাকার প্রভাবও দায়ী।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে যৌথভাবে বাপা ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত দুই দিনের বিশেষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, 'দেশের বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মানলেই পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব। আইন যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বিশেষ কমিশন গঠন করতে হবে।'

পরিবেশ ধ্বংস করে এমন প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, 'উন্নয়নকে সব সময় পরিবেশের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি; বরং ওই অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। আমাদের পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।'