ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশোধিত বিধিমালা ডিসেম্বরেই: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশোধিত বিধিমালা ডিসেম্বরেই: পরিবেশ উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। এতে বিধিমালায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের সামনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক এক কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না, মানুষকেও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। শব্দদূষণ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা দরকার।’

গাড়িচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাবুন হর্ন নষ্ট, বাজাবেন না। গাড়ির গতি কমালে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে।’

ঢাকার ১০টি এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই সচেতন হলে শব্দদূষণমুক্ত একটি বাসযোগ্য শহর গড়া সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দা মাছুমা খানম, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব।

উপদেষ্টা গুলশান লেক পরিদর্শনকালে এর দূষণ নিয়ন্ত্রণে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।

আনিসুর তপন/সাদিয়া নাহার/

কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতি পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, বাজার অর্থনীতির কারণে জমির অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে। যে কারণে নদ-নদী, জলাভূমি ও বনভূমি দখল করে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে কালোটাকার প্রভাবও দায়ী।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে যৌথভাবে বাপা ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত দুই দিনের বিশেষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, 'দেশের বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মানলেই পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব। আইন যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বিশেষ কমিশন গঠন করতে হবে।'

পরিবেশ ধ্বংস করে এমন প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, 'উন্নয়নকে সব সময় পরিবেশের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি; বরং ওই অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। আমাদের পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।'