ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

সরকারি চাকরিজীবীদের ‘মহার্ঘ ভাতা’ পর্যালোচনায় কমিটি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
সরকারি চাকরিজীবীদের ‘মহার্ঘ ভাতা’ পর্যালোচনায় কমিটি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সরকারি চাকরিজীবীদের ‘মহার্ঘ ভাতা’ (ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স) দেওয়ার জন্য সাত সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মুখ্য সচিব। ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ওপর ভিত্তি করে এই ভাতা দেওয়া হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি পর্যালোচনা করে কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিয়ন্ত্রণ) কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ও সংসদীয় বিভাগের সচিব। 

কমিটির রেফারেন্স টার্মস অনুযায়ী, কমিটি মহার্ঘ ভাতা দেওয়া যায় কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ জমা দেবে। প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে সহযোগী সদস্য হিসেবে নিতে পারবে কমিটি। 

সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ৮১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা রাজস্ব বাজেটের ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত অর্থবছর থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘বিশেষ বৃদ্ধি’ (ইনক্রিমেন্ট) হিসাবে ৫ শতাংশ প্রদান করে আসছে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বশেষ পে-স্কেল কার্যকর করা হয় ২০১৫ সালে। তখন শতভাগ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বর্তমান কাঠামোতে ২০টি ধাপে সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন-ভাতা পান। এখন সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। এর মধ্যে জনপ্রশাসনে ১৪ লাখ। বাকি  ৭ লাখ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা রয়েছেন, যারা নিয়মিত সরকারি কোষাগার থেকে মাসিক বেতন পান। 

ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হাজারীবাগের ট্যানারি গোডাউনে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকাল পৌঁনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনটির ভেতরে দাহ্য বস্তু ছিল, ছিল না ফায়ার সেফটি প্ল্যান নিরাপত্তাব্যবস্থা।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। ভেতরে দাহ্য বস্তু, পানির সংকট, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে প্লাস্টিক, চামড়াজাতীয় দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আগুন ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

মাহফুজ/এমএ/

আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত
ভোলায় লঞ্চঘাট পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময় যে যা খুশি তা করেছে, এখন আর সেই সময় নেই। সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিবেন যে কী করলে কী হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে তিনি ২ দিনের সফরে ভোলায় অবস্থান করছেন।

লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০ টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে।'

চারপাশ নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, 'নতুন ঘাটগুলো ভোলা সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন, ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চল নৌ পথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।'

ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ইমতিয়াজ/সিফাত/

হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের ট্যানারি গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল পৌঁনে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে দুপুর দুইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

এ দিকে আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

নাবিল/এমএ/

হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি গোডাউনের আগুনের ঘটনায় উদ্ধার কাজে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে হাজারীবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন ৭তলা ভবনের চতুর্থ তলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, হাজারীবাগে লেদারের গোডাউনে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

এমএ/

চাষির স্বার্থ রক্ষা করে লবণ শিল্পের উন্নয়ন করা হবে: শিল্প উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
চাষির স্বার্থ রক্ষা করে লবণ শিল্পের উন্নয়ন করা হবে: শিল্প উপদেষ্টা
কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীতে লবণ মাঠ এবং প্রস্তাবিত লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউটের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।  ছবি: খবরের কাগজ

চাষিদের স্বার্থ রক্ষা করে লবণ শিল্পের উন্নয়ন ও উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।  

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লবণ শিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং পরে সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীতে লবণ মাঠ এবং প্রস্তাবিত লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউটের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এ সময় চৌফলদন্ডীতে স্থানীয় চাষিদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শুনতে চান উপদেষ্টা। 

পরে চাষিরা বর্তমানে লবণের নায্যমূল্য না পাওয়া, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, চাষের জন্য খাস জমি বন্দোবস্ত না পাওয়াসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।  

এ সময় আদিলুর রহমান বলেন, ‘লবণ উৎপাদন ও গুণগতমান বাড়ানের জন্য সরকার পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চৌফলদন্ডীতে লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউট হচ্ছে।’

এ ছাড়া চাষিরা যেন লবণের ন্যায্যমূল্য পান সেই লক্ষ্যে নীতিমালার আলোকেই লবণবোর্ড গঠনসহ নানা বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি। 

বিগত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক লবণ উৎপাদনের তথ্য দিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাইলটিং প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে লবণ উৎপাদন ও গুণগতমান যেমন বাড়বে তেমন চাষিরাও যেন ন্যায্যমূল্য পান এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’

এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও বিসিকের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিসিকের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চৌফলদন্ডীতে ৩০ একর জায়গায় লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি টাকা। প্রকল্প প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে। এ ছাড়া উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে চৌফলদন্ডীতে ভারত, চীন ও জাপানের চাষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়।

মুহিববুল্লাহ/পপি/