ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর কাকরাইল মোড় এলাকায় র‌্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রমনা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন, কবির হোসেন, মো. শরিফ, মনির হোসেন ও হাবিবুর খন্দকার। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। 

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

ঘটনা সম্পর্কে ডিসি তালেবুর রহমান জানান, সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরের পর তাঁতীবাজারের রামের গদি নামক স্বর্ণালংকারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা একটি স্কুলব্যাগের ভেতরে নিয়ে বাসযোগে বাড্ডার বাসায় যাচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাসটি রমনার কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়লে হঠাৎ ১০-১২ জন লোক ওই বাসে উঠে নিজেদের র‌্যাবের সদস্য পরিচয় দেয়। তাদের মধ্যে একজন ‘র‌্যাব’ লেখা জ্যাকেট পরে ছিল এবং তার কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেট ছিল। তারা ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে তাদের ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে ওঠায়। একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে দুই হাত ও চোখ বেঁধে ডেমরা এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়। এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম রমনা মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন। সেই মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ডাকাত চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কালোটাকার প্রভাবে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে: রেহমান সোবহান

অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতি পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, বাজার অর্থনীতির কারণে জমির অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে। যে কারণে নদ-নদী, জলাভূমি ও বনভূমি দখল করে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে কালোটাকার প্রভাবও দায়ী।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে যৌথভাবে বাপা ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত দুই দিনের বিশেষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, 'দেশের বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মানলেই পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব। আইন যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বিশেষ কমিশন গঠন করতে হবে।'

পরিবেশ ধ্বংস করে এমন প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, 'উন্নয়নকে সব সময় পরিবেশের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি; বরং ওই অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। আমাদের পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।'