ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগের শাসনামলের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স) সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কমিশন সদস্যরা এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও এ সময় জানান গুম কমিশনের প্রধান। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের প্রধান ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং সাবেক এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গুমের এসব ঘটনায় বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র‌্যাব বিলুপ্তিরও সুপারিশ করেছে গুম কমিশন। 

প্রধান উপদেষ্টা গুম কমিশনের সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সময় গুম কমিশনকে কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। 

এ বিষয়ে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন, যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। তিনি জানান, গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তারা এখনো ট্রমায় ভুগছেন। 

প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর এ ধরনের ঘটনার রিপোর্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সদস্যরা অধ্যাপক ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিকটিমরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে সেগুলো দেখতে যাবেন। 

গুম কমিশন গঠন প্রক্রিয়া

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে গোপন বন্দিশালা বা তথাকথিত আয়নাঘর থেকে অনেকেই দীর্ঘদিন পর মুক্ত হন। এতে করে গুমের তদন্ত ও বিচারের দাবি আরও তুঙ্গে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সরকার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই কমিশনের কাছে ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন কিংবা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এরপর অপর এক প্রজ্ঞাপনে এই কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। 

কমিশনের আওতাধীন কর্মপরিধি

প্রজ্ঞাপনে বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাকেও কমিশনের তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলপ্রয়োগকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে কমিশনটি গঠন করা হয়েছে।’

যে উদ্দেশ্যে গুম তদন্ত কমিশন

২০১০-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল সেটা নির্ধারণ করাই এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা যায়। জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা এবং এ ব্যাপারে সুপারিশ প্রদান, গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে আত্মীয়স্বজনকে অবহিত করা ও গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।

অভিযোগ ওঠা কর্মকর্তাদের বক্তব্য নিয়েছে কমিশন

গুমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য গ্রহণ করেছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না বলা হলেও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন। প্রাথমিকভাবে গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলেও জানান গুম কমিশনের তদন্তসংশ্লিরা।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব
ডিআরইউ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল। সেই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। ভবিষ্যতে গণমাধ্যমে যাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হস্তক্ষেপ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর ব্যানারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার আমরা করতে যাচ্ছি কারণ গণমাধ্যমকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার ব্যবহার করেছে। আইসিটি নামে যেটা ছিল সেটা ন্যায়বিচার ছিল না। সেটা ভয়াবহ অন্যায় বিচার ছিল।

আমাদের দেশে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালভাবে কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস।

তিনি আরও বলেন, যারা চুরি করে তাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া। 

আলোচনা সভা থেকে ১৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমে নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব প্রতিষ্ঠা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ রোধে স্বতন্ত্র গণমাধ্যম কমিশন গঠন, মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকরির নিরাপত্তা, বেতন কাঠামোর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, বাজেটে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ রাখা, গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, আঞ্চলিক ও বিকল্প গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই এর মুখপাত্র প্লাবন তারিক, আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট আব্বাস উদ্দিন নয়ন, আইনজীবী মোল্লা ফারুক এহসান এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মাহবুব আলম প্রমুখ।

এমএ/

ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হাজারীবাগের ট্যানারি গোডাউনে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকাল পৌঁনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনটির ভেতরে দাহ্য বস্তু ছিল, ছিল না ফায়ার সেফটি প্ল্যান নিরাপত্তাব্যবস্থা।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। ভেতরে দাহ্য বস্তু, পানির সংকট, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে প্লাস্টিক, চামড়াজাতীয় দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আগুন ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

মাহফুজ/এমএ/

আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত
ভোলায় লঞ্চঘাট পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময় যে যা খুশি তা করেছে, এখন আর সেই সময় নেই। সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিবেন যে কী করলে কী হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে তিনি ২ দিনের সফরে ভোলায় অবস্থান করছেন।

লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০ টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে।'

চারপাশ নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, 'নতুন ঘাটগুলো ভোলা সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন, ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চল নৌ পথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।'

ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ইমতিয়াজ/সিফাত/

হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের ট্যানারি গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল পৌঁনে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে দুপুর দুইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

এ দিকে আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

নাবিল/এমএ/

হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি গোডাউনের আগুনের ঘটনায় উদ্ধার কাজে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে হাজারীবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন ৭তলা ভবনের চতুর্থ তলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, হাজারীবাগে লেদারের গোডাউনে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

এমএ/